দেশ বিদেশ

অপপ্রচার-অপরাজনীতি সত্ত্বেও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছি

স্টাফ রিপোর্টার

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৯ অপরাহ্ন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, অপপ্রচার-অপরাজনীতি সত্ত্বেও সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছি। নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমিয়েছি। আমরা ঘরে ঘরে গিয়েছি। ২৭ হাজারের মতো আবাসিক ভবন স্থাপনা পরিদর্শন করেছি। যেখানে- যেখানে মশার উৎসস্থল পেয়েছি সেখানে গিয়ে মশার উৎসস্থল বিনষ্ট করেছে আমাদের জনবল। পর্যাপ্ত কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে লার্ভা ধ্বংস করেছি বলেই আমরা এই সফলতা অর্জন করতে পেরেছি।
বুধবার সকালে রাজধানীর নিউমার্কেট সংলগ্ন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধনের সময় মেয়র এসব কথা বলেন। শেখ তাপস বলেন, ২০১৯ সালকে আমরা আমাদের সবচেয়ে খারাপ সময় হিসেবে বিবেচিত। আমরা ২০১৯ সালকে বিবেচনায় রেখে কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছি, কাজ করছি। ফলে এ বছর অনেক অপপ্রচার, অপরাজনীতি, কূটকৌশল, বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের বিভিন্ন চক্র থাকা সত্ত্বেও আজ অবধি আমাদের এক হাজার ৫০ জন মশক কর্মী ও কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মশক শাখার কর্মকর্তাসহ সকলের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে ২০১৯ সালের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১০ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের পরিসংখ্যানে লক্ষ্য করা যায়, শুধু আগস্ট মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫২ হাজারের ঊর্ধ্বে। সেপ্টেম্বর মাসে হয়েছিল ১৬ হাজারের ঊর্ধ্বে। জুলাই মাসে হয়েছিল ১৬ হাজারের ঊর্ধ্বে। সব মিলিয়ে তখন সরকারি হিসাব অনুযায়ী এক লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে এ বছর সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ও আমাদের নিরলস পরিশ্রমের কারণে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা অবধি পরিশ্রমের কারণে আমরা ১৫ হাজারের মধ্যে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা রাখতে সক্ষম হয়েছি।
বিগত পাঁচ দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪০-এর নিচে রয়েছে জানিয়ে তাপস বলেন, যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রাথমিকভাবে যে তথ্য পাওয়া যায় সেটা অনেক বড় মনে হয়। কিন্তু আমরা এটা যখন যাচাই-বাছাই করি, তখন দেখা যায় এই সংখ্যা আরও কম। গত পাঁচদিনের পরিসংখ্যানে সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১৮ ভাগের নিচে চলে এসেছে। আর সেপ্টেম্বর মাসে এই হার ৩০ ভাগের কম। ফলে ডেঙ্গু এখন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা শহরই সারাবিশ্বের একমাত্র শহর যেখানে উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পড়ে থাকে। দায়িত্ব নেয়ার পরেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আমূল পরিবর্তন করার লক্ষ্যে আমরা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। গত বছর মে পর্যন্ত দীর্ঘ ৪৫ বছরে মাত্র ২০টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র ছিল। আমরা এরই মাঝে আরও ১২টি নির্মাণ সম্পন্ন করেছি। আজকে নিউমার্কেটে ১৮ নং ওয়ার্ডে আমরা বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করলাম। এর মাধ্যমে এখন ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৬টি ওয়ার্ডে আমাদের বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশাবাদী এ বছরের মধ্যে ঢাকা শহরের ৭৫টি ওয়ার্ডেই আমরা বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র স্থাপন করবো। এটা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। কারণ জমির সংকুলান হয় না এবং বিভিন্ন বাধা আসে। তারপরও এ কার্যক্রম আমরা সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করে চলেছি। এর মধ্যে আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করছি। অচিরেই ঢাকা শহরকে আধুনিক শহরে রূপান্তরিত করা হবে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী  খায়রুল বাকের ও মুন্সি মো. আবুল হাশেম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status