বাংলারজমিন
পুলিশের ভূমিকায় প্রাণে বাঁচলো অন্তঃসত্ত্বা নারী
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, বুধবার, ৯:০১ অপরাহ্ন
ময়মনসিংহের কোতোয়ালি পুলিশের মানবিক দায়িত্বশীল ভূমিকায় ৫ মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী প্রাণে বেঁচে গেল। ওই নারীর নাম সোমা। সে নগরীর জেসি গুহ রোডের জনৈক আব্দুল হাকিমের স্ত্রী। জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পান, নগরীর জেসি গুহ রোডে জনৈক মো. আব্দুল হাকিম এর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সোমা (২৫) ব্যথা নিয়ে তালাবদ্ধ ঘরে কাতরাচ্ছে। ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ তাৎক্ষণিক এসআই শুভ্র সাহা, কোতোয়ালি মডেল থানা সঙ্গীয় ফোর্সসহ রাত্রীকালীন ডিউটিরত মোবাইল টিম-১ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় পুলিশ স্থানীয় লোকজনের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে বাসার সামনের দিকের তালাবদ্ধ দোকান ঘর দিয়ে ওই নারীর বাসায় ঢোকা সম্ভব নয়। পুলিশ উপস্থিত লোকজনের সহযোগিতায় বাড়ির পিছনের দিকের বাথরুমের দেয়াল ভেঙে অন্তঃসত্ত্বা সোমাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। জরুরি বিভাগের ডাক্তার সোমাকে তৎক্ষণাৎ লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মিসক্যারেজজনিত কারণে হাসপাতালে ডিএনসি করানো হয়। সোমার মারাত্মক রক্তশূন্যতা সহ শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল। পরবর্তীতে সোমাকে ওটিতে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সোমা সুস্থ আছেন। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ বলেন, জররি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে রাত দুইটার দিকে খবর পান। খবর পেয়ে যে কোনো উপায়ে সোমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে নির্দেশ দেই। ঘটনার সময় ঐ বাসায় কেউ ছিল না। নির্দেশমতে মধ্যরাতে দেয়াল ভেঙে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা কোতোয়ালি থানা পুলিশের মানবিক কাজের প্রশংসা করেছেন। স্থানীয়দের দাবি করছেন এর আগে কোনো পুলিশ অফিসার এ ধরনের মানবিক কাজে এগিয়ে আসেনি।