প্রথম পাতা

আবারো চিঠি পাঠানো হচ্ছে

রানাকে ফেরাতে দু’দফা চিঠিতেও সাড়া দেয়নি ভারত

মরিয়ম চম্পা

২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, বুধবার, ৮:৫৯ অপরাহ্ন

ই-অরেঞ্জের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় আলোচিত বনানী থানার পরিদর্শক শেখ সোহেল রানাকে ভারত থেকে দেশে ফেরত পেতে ইতিমধ্যে দুই দফা চিঠি দিলেও সাড়া দেয়নি ভারতের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। নতুন করে তৃতীয় দফা চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ সদর দপ্তর।

গত ৫ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের এনসিবি শাখা থেকে সোহেল রানাকে ফেরত চেয়ে ভারতের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) প্রথম চিঠি দেয়া হয়। প্রথম চিঠির বিষয়ে সাড়া না পেয়ে পর পরই অতিরিক্ত তথ্য সংযুক্ত করে দ্বিতীয় দফায় চিঠি পাঠানো হয়। সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া দেয়নি ভারত। সদর দপ্তর সূত্র জানায়, এখন তৃতীয় দফায় আরেকটি চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আজ-কালের মধ্যে নতুন চিঠিটি পাঠানো হতে পারে।

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ভারতের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) আমরা নতুন করে তৃতীয় চিঠি পাঠাবো। এ বিষয়ে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা আশাবাদী এ চিঠি পাওয়ার পরে এ ব্যাপারে তারা ইতিবাচক সাড়া দেবেন। এবং বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখবেন।

আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা দেশ থেকে পালানোর পর ৩রা সেপ্টেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে গ্রেপ্তার হন। এরপর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ সদর দপ্তর। গত আগস্টের মাঝামাঝিতে, ই-অরেঞ্জ এর বিরুদ্ধে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হওয়ার পর আলোচনায় আসেন সোহেল রানা। বর্তমানে তিনি ভারতের কোচবিহারের কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন। সেখানে তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল রানা বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে তার বিপুল সম্পদ রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের পাশাপাশি তিনি মানব পাচারের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বলে তথ্য এসেছে। পুলিশে চাকরি করার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিদেশে লোক পাঠাতেন বা পাঠাতে সহযোগিতা করতেন। এর বিনিময়ে তিনি বিপুল অর্থ অর্জন করেন। এই অর্থে অন্তত তিনটি দেশে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ ক্রয় করেছেন বলে বিভিন্ন তদন্তে উঠে এসেছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status