লালমোহনে যে কারণে স্বামীকে হত্যা করেন স্ত্রী

ভোলার লালমোহনে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ ও গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন স্ত্রী নূরুন্নাহার। রোববার রাতে নূরুন্নাহারকে আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে এই নৃশংস হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করে।
নিহত আব্দুল মান্নান বেপারীর স্ত্রী নূরুন্নাহার প্রাথমিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছে, শারীরিকভাবে বিভিন্ন সময় আব্দুল মান্নান বেপারী তাকে অমানবিক নির্যাতন করতো। নির্যাতনের পর সেসব কথা কাউকে না জানাতেও নিয়মিত হুমকি দিতো মান্নান বেপারী। যা সহ্য না করতে পেরেই গত রোববার ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় দা দিয়ে কুপিয়ে পুরুষাঙ্গ ও গলা কেটে তাকে হত্যা করে নূরুন্নাহার। রোববার রাতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ।
এ ঘটনায় লালমোহন থানায় নিহতের ভাই আব্দুল মোতালেব বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর সোমবার সকালে অভিযুক্ত নূরুন্নাহারকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে লালমোহন থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত রোববার ভোরে লালমোহন উপজেলার ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দরবেশ বাড়ির নিজ বসতঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে আব্দুল মান্নান বেপারী (৪০) নামের ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে তার স্ত্রী নূরুন্নাহার।