বাংলারজমিন

৮ মাসেও হয়নি ফুলবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পের রাস্তা

রবিউল ইসলাম বেলাল, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) থেকে

২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ৭:৩৯ অপরাহ্ন

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ৩৯টি ঘরের মধ্যে ২৬টি ঘর থাকে তালাবদ্ধ। হস্তান্তরের ৮ মাসেও নির্মাণ হয়নি যোগাযোগের রাস্তা। ফলে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের সোনাইকাজি গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩৯টি ঘর থাকলেও বসবাস করছেন মাত্র ১৩ পরিবার। তাদেরকে পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ। ক্ষেতের আইল দিয়ে যাতায়াতের রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায়। গত ২৩শে জানুয়ারি বরাদ্দ পাওয়া ৩৯টি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এসব ঘর। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১৬৫টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০৫টিসহ  মোট ২৭০টি ভূমিহীন, আশ্রয়হীন ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের সোনাইকাজি গ্রামের (শেখ হাসিনা সেতুর পশ্চিম পার্শ্বে) এক একর খাস জমিতে নির্মাণ করা হয় প্রকল্পের ৩৯টি ঘর। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। দু’টি রুম, বারান্দা, বাথরুম ও রান্নাঘর সংযুক্ত রয়েছে। প্রতিটি ঘরে আলাদা আলাদা বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। ১০টি ঘর মিলে ১টি নলকূপ। সরজমিন দেখা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৯টি ঘর আছে। সেখানে বসবাস করছেন ১৩টি পরিবার। প্রকল্পের ৭নং ঘরের বাসিন্দা আয়শা বেগম, ৮নং ঘরের বাসিন্দা এরশাদ আলী এবং ১৫নং ঘরের বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান ২৬টি পরিবারের কেউই এখানে থাকেন না। ১৪নং ঘরের বাসিন্দা মমিনুলের পরিবর্তে থাকেন তাহের আলী ও ২০নং ঘরের বাসিন্দা ছাইমনের পরিবর্তে ঘরে থাকেন রাশিদা বেগম। যার জমি টাকা পয়সা আছে তাদেরকে ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন। যাদের জমি নেই তাদেরকে দেয়া হয় নাই। সঠিকভাবে তদন্ত করে ঘরগুলো দেয়া উচিত ছিল বলে তারা মনে করেন। আর সরকারি অফিসাররা আসলে তালিকা দেখে ফোন করে, তখন চলে আসে। তাছাড়া এখানে থাকা যায় না, অনেক সমস্যা। আসা-যাওয়া করার রাস্তা নেই, অন্যের জমির আইল দিয়ে হাঁটলে অকথ্য গালিগালাজ করে। রাস্তায় কাটা পুঁতে রাখে জমির মালিকরা। বিদ্যুৎ সংযোগ আছে, নলকূপের পানিতে আয়রন, দুর্গন্ধ। সংশ্লিষ্ট সোনাইকাজি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জমশেদ আলী বলেন, এ ব্যাপারে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বহুবার বলেছি, কিন্তু তারা কর্ণপাত করেননি। শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা জাহেদুল হক বলেন, প্রকল্পে যারা বসবাস করেন তাদের তালিকা করা হচ্ছে। আর যারা নেই তাদের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত জানান, আমরা ঘরের চাবি ও দলিলপত্র বুঝে দিয়েছি। এখন মানুষ না থাকলে আমরা কী করবো। তারপরও আমি গিয়ে দেখে আসবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তবে যোগাযোগের রাস্তাটি যতদ্রুত সম্ভব করা হবে।

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status