বাংলারজমিন
সখীপুরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ৭:০০ অপরাহ্ন
টাঙ্গাইলের সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে। সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২০২০-২১ অর্থবছরে যন্ত্রপাতি মেরামতের জন্য সরকারি বরাদ্দের ২ শতাংশ টাকা ব্যয় করার কথা থাকলেও ৩ শতাংশ টাকার বিল ভাউচার করে মো. মাহমুদ সরকার নামের এক ঠিকাদারের নাম ব্যবহার করে তা উত্তোলন করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সোবহান। ১০৮ নম্বর ভাউচারে ১টি ইলেকট্রিক অটোক্লেড মেশিন ৮ হাজার ৫০০, ১টি অ্যানেসথেসিয়া মেশিন (এএমএস, কোরিয়া) ১ লাখ ১৩ হাজার ৭০০, ২টি ওটি লাইট ছোট (ডোম লাইট) ১১ হাজার ৫০০, ১টি ওটি লাইট বড় (ডোম লাইট) ১৭ হাজার, ২টি ওটি টেবিল সার্ভিসিং ২৬ হাজার, ২টি স্টেবিলাইজার ৬ হাজার ৩৮৬, ২টি সেন্ট্রিফিউজ মেশিন ১২ হেল ২১ হাজার, ১টি ইসিজি মেশিন ১৩ হাজার, ২টি সকর মেশিন ৯ হাজার ৫০০, ১টি ডায়াথার্মি মেশিন ২১ হাজার, ১টি এক্স-রে মেশিন ৪৫ হাজার ৫০০, ১টি ডেন্টাল চেয়ার ৪৯ হাজার ২০০, ২০টি রোগীর বেড ৪০ হাজার, ১টি কলোরিমিটার ৭ হাজার, ১টি মাইক্রোসকোপ ৯ হাজার ২০০, ১টি ল্যাব বেটেটর ৪ হাজার ৯০০ টাকাসহ মোট ৪ লাখ ৩ হাজার, ৩৮৬ টাকার বিল করা হয়।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র নার্স জানান, একটি অ্যানেসথেসিয়া মেশিন (এএমএস, কোরিয়া) মেরামত বাবদ ১ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে অথচ নতুন কিনতে লাগে ৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি অ্যানেসথেসিয়া মেশিন আছে, যার কোনোটিই বিকল নয়। ৩০টি বেড স্টকে থাকা সত্ত্বেও ২০টি বেড ঠিক করার নামে ভুয়া বিল ভাউচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। ডেন্টাল ও এক্স-রে মেশিন প্রসঙ্গে স্বস্ব দপ্তরের কর্মচারীরা জানান যন্ত্রপাতির কোনো কাজ করা হয়নি। এভাবে ১৬টি যন্ত্রপাতি ঠিক করার নামে বিল ভাউচার করে টাকা উত্তোলন করা হলেও অনেক যন্ত্রপাতি ঠিক করা হয়নি। এ ঘটনায় ঠিকাদার মো. মাহমুদ সরকার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এদিকে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লিনেন ধৌত (ধোপার) বিল ১২১ নম্বর ভাউচার অনুযায়ী ২ লাখ ১৯ হাজার ৯৫৭ টাকা ধরা হলেও ২০১৯ জুলাই থেকে ২০২০ জুন অর্থবছরের বিল ১২৫ নম্বর ভাউচার অনুযায়ী ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪ টাকা লিনেন ধৌত (ধোপার) বিল উত্তোলন করা হয়। যা ছিল পাঁচগুণ বেশি। এই টাকা মেসার্স মোস্তফা এন্টারপ্রাইজের নাম ব্যবহার করে ডা. আব্দুস সোবহান নিজেই হাতিয়ে নিয়েছেন। এ নিয়ে ঠিকাদার গোলাম মওলা বলেন, বিল ভাউচারের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ধোপার বিল নিয়ে একাধিক নার্স জানান, ২০১৯-২০ সালের বিলের খাতা আমাদের কাছে একটা, আর স্যারের কাছে আরেকটা। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে- ডা. আব্দুস সোবহান উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ায় ভুক্তভোগীরা তার এসব অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করলেই নানা ভয়ভীতি দেখানো হয়। এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে ক্যান্টিনের ভাড়া তোলা হয় রশিদ বই ছাড়াই। প্রতিমাসে সেই ক্যান্টিন থেকে প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা ভাড়া উঠান ডা. আবদুস সোবহান। কিন্তু সেই ভাড়া উত্তোলনের কোনো রশিদ বা আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব নেই। এসব অভিযোগের ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা ডা. আব্দুস সোবহান বলেন, সবকিছুই ঠিকাদারের মাধ্যমে হয়েছে। এখানে দুর্নীতি নেই। আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত চলছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র নার্স জানান, একটি অ্যানেসথেসিয়া মেশিন (এএমএস, কোরিয়া) মেরামত বাবদ ১ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে অথচ নতুন কিনতে লাগে ৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি অ্যানেসথেসিয়া মেশিন আছে, যার কোনোটিই বিকল নয়। ৩০টি বেড স্টকে থাকা সত্ত্বেও ২০টি বেড ঠিক করার নামে ভুয়া বিল ভাউচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। ডেন্টাল ও এক্স-রে মেশিন প্রসঙ্গে স্বস্ব দপ্তরের কর্মচারীরা জানান যন্ত্রপাতির কোনো কাজ করা হয়নি। এভাবে ১৬টি যন্ত্রপাতি ঠিক করার নামে বিল ভাউচার করে টাকা উত্তোলন করা হলেও অনেক যন্ত্রপাতি ঠিক করা হয়নি। এ ঘটনায় ঠিকাদার মো. মাহমুদ সরকার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এদিকে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লিনেন ধৌত (ধোপার) বিল ১২১ নম্বর ভাউচার অনুযায়ী ২ লাখ ১৯ হাজার ৯৫৭ টাকা ধরা হলেও ২০১৯ জুলাই থেকে ২০২০ জুন অর্থবছরের বিল ১২৫ নম্বর ভাউচার অনুযায়ী ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪ টাকা লিনেন ধৌত (ধোপার) বিল উত্তোলন করা হয়। যা ছিল পাঁচগুণ বেশি। এই টাকা মেসার্স মোস্তফা এন্টারপ্রাইজের নাম ব্যবহার করে ডা. আব্দুস সোবহান নিজেই হাতিয়ে নিয়েছেন। এ নিয়ে ঠিকাদার গোলাম মওলা বলেন, বিল ভাউচারের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ধোপার বিল নিয়ে একাধিক নার্স জানান, ২০১৯-২০ সালের বিলের খাতা আমাদের কাছে একটা, আর স্যারের কাছে আরেকটা। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে- ডা. আব্দুস সোবহান উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ায় ভুক্তভোগীরা তার এসব অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করলেই নানা ভয়ভীতি দেখানো হয়। এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে ক্যান্টিনের ভাড়া তোলা হয় রশিদ বই ছাড়াই। প্রতিমাসে সেই ক্যান্টিন থেকে প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা ভাড়া উঠান ডা. আবদুস সোবহান। কিন্তু সেই ভাড়া উত্তোলনের কোনো রশিদ বা আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব নেই। এসব অভিযোগের ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা ডা. আব্দুস সোবহান বলেন, সবকিছুই ঠিকাদারের মাধ্যমে হয়েছে। এখানে দুর্নীতি নেই। আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত চলছে।