দেশ বিদেশ
সমুদ্রপথে ৬০০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পৌঁছলেন অস্ট্রেলিয়া
মানবজমিন ডেস্ক
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ৬:৫৯ অপরাহ্ন
কোনো ফ্লাইট ধরতে পারেননি পল স্ট্র্যাটফোল্ড। ওদিকে সময়ও পেরিয়ে যাচ্ছে। তাকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে। সেখান থেকে আবাসিক ভিসা নবায়ন করতেই হবে। কোনো উপায় না দেখে তাহিতি’তে আটকে পড়া এই ব্যক্তি জীবনের ঝুঁকি নিলেন। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে ৬০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তিনি পৌঁছালেন অস্ট্রেলিয়া। এ জন্য তার সময় লেগেছে এক মাস। পল ৪১ বছর বয়সী একজন পেশাদার নাবিক। তবে জীবনে এত বড় ঝুঁকি এর আগে তিনি কখনো নেননি। করোনাভাইরাসের মহামারি তাকে তাই নিতে বাধ্য করেছে। এক মাসের চলার পথে ৫০ ফুটের ইয়াট বা প্রমোদতরী নিয়ে দু’দিন তিনি পড়েছিলেন ঝড়ের কবলে। কোনো কিছুর সঙ্গে সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য কখনো ৪০ মিনিটের বেশি ঘুমাতে পারেননি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ঘরে ফেরার জন্য আমার কাছে এটাই ছিল একমাত্র উপায়। গত ৩রা জুলাই তিনি কুইন্সল্যান্ডের সাউথপোর্টে উপস্থিত হন।
করোনা মহামারি, কঠোর কোয়ারেন্টিন, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ আর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে মানুষের এমন বেপরোয়া আচরণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় দুই বছরের এই সংকটের কারণে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলোর হাজার হাজার নাগরিক বিদেশে আটকা পড়েছেন।
তারা দেশে ফেরার ফ্লাইট ধরতে সক্ষম হননি।
বৃহস্পতিবার মেলবোর্ন থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের নিয়ে ফ্লাইট শুরু হয়েছে। ভিক্টোরিয়াতে নতুন করে হোটেল কোয়ারেন্টিন নিয়ম চালু করা হয়েছে। ভিক্টোরিয়াতে ৫ দিনের লকডাউন দেয়ার পর মধ্য ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
এমন অবস্থায় অনেক মানুষ মানবিক সংকটে পড়েন। নিউজিল্যান্ডে অন্তঃসত্ত্বা এক নারী দেশের কোয়ারেন্টিন মডেলকে চ্যালেঞ্জ জানান। তিনি বারজেন গ্রাহাম। বয়স ৩৩ বছর। স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছিলেন নিজের দেশ এল সালভাদরে। সেখানে ফেব্রুয়ারিতে তিনি সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়েন। কিন্তু তার পর্যটক ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে তিনি লস অ্যানজেলেসে চলে যান এবং দেশে ফেরার চেষ্টা করতে থাকেন। মেডিকেল হাই রিস্কে থাকা গ্রাহাম ৬ বার নিউজিল্যান্ডে কোয়ারেন্টিনে রাখতে একটি জায়গা চেয়ে আবেদন করেন। তার আইনজীবী ফ্রাঁসেস জয়চাইল্ড বলেছেন, তার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যায়, যখন জয়চাইল্ড সরকারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন। তিনি দাবি করেন, কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা নিউজিল্যান্ডের বিল অব রাইটস অ্যাক্ট লঙ্ঘন করছে। এই আইনে প্রতিজন নাগরিকের দেশে প্রবেশের অধিকার আছে। জয়চাইল্ড বলেন, পরের দিনই ফোন করে সরকার এ সমস্যা সমাধানের কথা বলে। তারপর তারা বারজেন গ্রাহামকে একটি স্থানের ব্যবস্থা করে দেয়। এরপর ১৬ই সেপ্টেম্বর গ্রাহাম ও তার স্বামী অকল্যান্ডে অবতরণ করেন এবং কোয়ারেন্টিনে চলে যান।
করোনা মহামারি, কঠোর কোয়ারেন্টিন, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ আর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে মানুষের এমন বেপরোয়া আচরণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় দুই বছরের এই সংকটের কারণে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলোর হাজার হাজার নাগরিক বিদেশে আটকা পড়েছেন।
তারা দেশে ফেরার ফ্লাইট ধরতে সক্ষম হননি।
বৃহস্পতিবার মেলবোর্ন থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের নিয়ে ফ্লাইট শুরু হয়েছে। ভিক্টোরিয়াতে নতুন করে হোটেল কোয়ারেন্টিন নিয়ম চালু করা হয়েছে। ভিক্টোরিয়াতে ৫ দিনের লকডাউন দেয়ার পর মধ্য ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
এমন অবস্থায় অনেক মানুষ মানবিক সংকটে পড়েন। নিউজিল্যান্ডে অন্তঃসত্ত্বা এক নারী দেশের কোয়ারেন্টিন মডেলকে চ্যালেঞ্জ জানান। তিনি বারজেন গ্রাহাম। বয়স ৩৩ বছর। স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছিলেন নিজের দেশ এল সালভাদরে। সেখানে ফেব্রুয়ারিতে তিনি সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়েন। কিন্তু তার পর্যটক ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে তিনি লস অ্যানজেলেসে চলে যান এবং দেশে ফেরার চেষ্টা করতে থাকেন। মেডিকেল হাই রিস্কে থাকা গ্রাহাম ৬ বার নিউজিল্যান্ডে কোয়ারেন্টিনে রাখতে একটি জায়গা চেয়ে আবেদন করেন। তার আইনজীবী ফ্রাঁসেস জয়চাইল্ড বলেছেন, তার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যায়, যখন জয়চাইল্ড সরকারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন। তিনি দাবি করেন, কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা নিউজিল্যান্ডের বিল অব রাইটস অ্যাক্ট লঙ্ঘন করছে। এই আইনে প্রতিজন নাগরিকের দেশে প্রবেশের অধিকার আছে। জয়চাইল্ড বলেন, পরের দিনই ফোন করে সরকার এ সমস্যা সমাধানের কথা বলে। তারপর তারা বারজেন গ্রাহামকে একটি স্থানের ব্যবস্থা করে দেয়। এরপর ১৬ই সেপ্টেম্বর গ্রাহাম ও তার স্বামী অকল্যান্ডে অবতরণ করেন এবং কোয়ারেন্টিনে চলে যান।