দেশ বিদেশ
আটক তিব্বতীদের যথাযথ খাদ্য-বস্ত্র ও চিকিৎসা না দেয়ার অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার, ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
সম্প্রতি ভাষার অধিকার ও তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার ‘নিষিদ্ধ’ ছবি রাখায় চীন সরকারের সাড়াশি অভিযানে ১২১ তিব্বতীকে আটক করা হয়েছে। সিচুয়ানের কার্দজে প্রদেশে আটক এসব তিব্বতীদের সঠিক খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ ওঠেছে দেশটির কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে।
রেডিও ফ্রি এশিয়ার (আরএফএ) প্রতিবেদনে বলা হয়, আটক ব্যক্তিরা সিচুয়ানের কার্দজে প্রদেশের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এক তিব্বতী বলেন, ‘স্থানীয় একটি গ্রুপের অনেক সদস্যই তিব্বতী ভাষার ব্যবহার বাড়াতে সচেষ্ট ছিলেন। যেখানে সরকারি আদেশে চাইনিজ ভাষাকে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার একমাত্র মাধ্যম ঘোষণা করা হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরএফএ’র একটি সূত্র বলেছে, ‘যদিও তিব্বতী ভাষা সংরক্ষণের জন্য অনেকগুলো গ্রুপ কাজ করে। তবে চীন এই সময় প্রধানত 'অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য প্রিজারভেশন অব তিব্বতী ল্যাঙ্গুয়েজ’ গ্রুপটিকেই টার্গেট করেছে।
সূত্রটি বলছে, ‘চীন সরকার এখন তিব্বতীদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষার প্রবেশাধিকারকে ব্যাপকভাবে হ্রাস করছে। এর ফলে তিব্বতীরা চীনের এই প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়া আমরা অনেক ভাষা অধিকার কর্মীদের দমন ও গ্রেপ্তার হতে দেখছি।’
এর আগে, চীনা ভাষায় শ্রেণিকক্ষে নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হলে সরকার একটি তিব্বতী স্কুল বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিল। সরকার প্রাইভেট টিউটরিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যাতে শিশু ও বাবা-মায়ের ওপর বোঝা কমানো যায়। কিন্তু সাংহাইয়ের প্রায় ৬৮ শতাংশ টিউটরিং শিল্প ইংরেজি ভাষায় পরিচালিত হচ্ছে এবং বেইজিংয়ের পদক্ষেপের পেছনে একটি বড় কারণ হতে পারে বলে রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মের ওপর নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা জানিয়েছে, মঠগুলোতে সনাতন সন্ন্যাস শিক্ষা দেওয়া নিষিদ্ধ, অথচ এটি তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সন্ন্যাস ও সন্ন্যাসীরা মূলত ‘দেশপ্রেম শিক্ষা’ লাভ করে। অন্যান্য রাজনৈতিক প্রচারাভিযান মূলত তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে।
চীনের দখলের কারণে তিব্বতের পরিবেশ ধ্বংস হয়েছে। সম্পদ অবৈধভাবে পরিবহন করা হয়েছে ও নদীগুলো দূষিত করা হয়েছে। তাদের দখলদারিত্বের ফলে তিব্বতীরা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নিপীড়ন ও দমনমূলক কট্টরপন্থী নীতির অধীনে তিব্বতের অভ্যন্তরে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র : এএনআই
রেডিও ফ্রি এশিয়ার (আরএফএ) প্রতিবেদনে বলা হয়, আটক ব্যক্তিরা সিচুয়ানের কার্দজে প্রদেশের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এক তিব্বতী বলেন, ‘স্থানীয় একটি গ্রুপের অনেক সদস্যই তিব্বতী ভাষার ব্যবহার বাড়াতে সচেষ্ট ছিলেন। যেখানে সরকারি আদেশে চাইনিজ ভাষাকে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার একমাত্র মাধ্যম ঘোষণা করা হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরএফএ’র একটি সূত্র বলেছে, ‘যদিও তিব্বতী ভাষা সংরক্ষণের জন্য অনেকগুলো গ্রুপ কাজ করে। তবে চীন এই সময় প্রধানত 'অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য প্রিজারভেশন অব তিব্বতী ল্যাঙ্গুয়েজ’ গ্রুপটিকেই টার্গেট করেছে।
সূত্রটি বলছে, ‘চীন সরকার এখন তিব্বতীদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষার প্রবেশাধিকারকে ব্যাপকভাবে হ্রাস করছে। এর ফলে তিব্বতীরা চীনের এই প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়া আমরা অনেক ভাষা অধিকার কর্মীদের দমন ও গ্রেপ্তার হতে দেখছি।’
এর আগে, চীনা ভাষায় শ্রেণিকক্ষে নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হলে সরকার একটি তিব্বতী স্কুল বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিল। সরকার প্রাইভেট টিউটরিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যাতে শিশু ও বাবা-মায়ের ওপর বোঝা কমানো যায়। কিন্তু সাংহাইয়ের প্রায় ৬৮ শতাংশ টিউটরিং শিল্প ইংরেজি ভাষায় পরিচালিত হচ্ছে এবং বেইজিংয়ের পদক্ষেপের পেছনে একটি বড় কারণ হতে পারে বলে রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মের ওপর নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা জানিয়েছে, মঠগুলোতে সনাতন সন্ন্যাস শিক্ষা দেওয়া নিষিদ্ধ, অথচ এটি তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সন্ন্যাস ও সন্ন্যাসীরা মূলত ‘দেশপ্রেম শিক্ষা’ লাভ করে। অন্যান্য রাজনৈতিক প্রচারাভিযান মূলত তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে।
চীনের দখলের কারণে তিব্বতের পরিবেশ ধ্বংস হয়েছে। সম্পদ অবৈধভাবে পরিবহন করা হয়েছে ও নদীগুলো দূষিত করা হয়েছে। তাদের দখলদারিত্বের ফলে তিব্বতীরা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নিপীড়ন ও দমনমূলক কট্টরপন্থী নীতির অধীনে তিব্বতের অভ্যন্তরে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র : এএনআই