প্রথম পাতা

অনুমোদিত কারখানায় ভেজাল ওষুধ

শুভ্র দেব

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার, ৯:১৫ অপরাহ্ন

দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নকল ওষুধ। দেশীয় নামিদামি কোম্পানির ওষুধের পাশাপাশি নকল হচ্ছে বিদেশি ওষুধও। এসব কাজে জড়িত একাধিক চক্র। বহু বছর ধরে ঢাকার মিটফোর্ডকেন্দ্রিক একটি চক্র নকল ওষুধ তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। চক্রগুলো ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের কারখানাতেই হুবহু নকল করে তৈরি করছে অন্য কোম্পানির ওষুধ। পরে এসব ওষুধ মিটফোর্ডের অবৈধ ব্যবসায়ী চক্র কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠাচ্ছে সারা দেশে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফার্মেসির মালিকরা অধিক লাভের আশায় জেনেশুনে এসব ওষুধ কিনে নিচ্ছে। গত দুই মাসে মহানগর গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি’র লালবাগ বিভাগ অভিযান চালিয়ে অন্তত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। যারা প্রত্যেকেই নকল ওষুধের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া ডিবি’র অন্যান্য টিমও চলতি বছরে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার ডিবি’র লালবাগ বিভাগ বিভাগ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-ফয়সাল আহমেদ (৩২), সুমন চন্দ্র মল্লিক (২৭) ও মো. লিটন গাজী (৩২)। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ। ওইদিন  ডিবি বাবুবাজার সুরেশ্বরী মেডিসিন প্লাজার নিচতলার মেডিসিন ওয়ার্ল্ড ও লোকনাথ ড্রাগ হাউস এবং পার্শ্ববর্তী হাজী রানী মেডিসিন মার্কেটের নিচতলায় রাফসান ফার্মেসিতে অভিযান চালায়। অভিযানে ডিবি’র কোতোয়ালি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুর রহমান আজাদ, ওষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক এটিএম কিবরিয়া খান ও মো. মওদুদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
ডিবি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ফয়সাল আহমেদের কাছ থেকে নকল ৫০০টি উইটফিল্ড মলম ও ২৫০টি নিক্স রাবিং বাম, ৩৫০টি বেটনোভেট সি ২০ গ্রাম টিউবি ক্রিম, ৩০টি রিং গার্ড টিউবি ক্রিম উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো সে নবাবগঞ্জের বান্দুরার একটি কারখানায় তৈরি করতো। জাহিদ ও মিজান নামের আরও দু’জনের সঙ্গে পার্টনারশিপে সে এই কারখানাটি পরিচালনা করে। এই কারখানায় আগে শুধু  ভেজাল ওষুধ তৈরি করতো। এখন বাংলাদেশে ভারতীয় বহুল ব্যবহৃত বাম ও মলমও তারা নকল তৈরি করছে। মিটফোর্টে মেডিসিন ওয়ার্ল্ড নামের একটি ফার্মেসি রয়েছে তার। এই ফার্মেসি ব্যবসার আড়ালে এই কাজ করতো। প্রায় ১২ বছর ধরে ভেজাল ওষুধ কারবারের সঙ্গে সে জড়িত।
গ্রেপ্তার আরেক আসামির নাম সুমন চন্দ্র মল্লিক। সে মিটফোর্ডের লোকনাথ ড্রাগ নামের একটি ফার্মেসির মালিক। সে তার ভাই বিকাশ চন্দ্র মল্লিককে নিয়ে ভেজাল ওষুধের কারবার করতো। তারা সাভার ও বগুড়ার দু’টি কারখানা থেকে নকল ওষুধ তৈরি করতো। ডিবি সুমনের কাছ থেকে ১ হাজার পিস প্রটোবিট-২০ এমজি ক্যাপসুল, ৩ হাজার পিস  নেপ্রোক্সিন প্লাস, ৪০০ পিস সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১ হাজার ৫০০ পিস পেরিয়াক্টিন ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে। সুমন প্রায় ১৫ বছর ধরে ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। অপর আসামি রাফসান ফার্মেসির মো. লিটন গাজীও ৮ থেকে ১০ বছর ধরে  একই কাজে জড়িত। তার কাছ থেকে ১০০ পিস জন্মবিরতিকরণ আই পিল, ১৬০ পিস সুপার গোল্ড কস্তুরি,  ৩ হাজার ৪৫০ পাতা ইনো,  ১১০টি টিউব মুভ, ৪২০ কৌটা গ্যাকোজিমা, ৩০০টি ভিক্স কোল্ড প্লাস, ২০ কৌটা ভিক্স উদ্ধার করা হয়েছে।  ডিবি সুত্র জানিয়েছে, এই তিনজনের কাছ থেকে যেসব কোম্পানির ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে, ইউনিক ফার্মাসিউটিক্যাল, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন ফার্মাসিউটিক্যাল, মডার্ন হারবাল রিচার্স, ইউনিকিউর রিমিডিস, এম এন্ড এইচ ম্যানুফ্যাকচারিং, জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যাল,  ইন্দোবাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল,  সিটি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ, গ্যাকো ফার্মাসিউটিক্যাল ও ভারতের সিফলা কোম্পানি।
ডিবি জানিয়েছে, এই তিনজনের বড় বড় কয়েকটি গোডাউন রয়েছে। এসব গোডাউনে তারা নকল ওষুধ রাখে। পরে দেশের বিভিন্ন জেলার ফার্মেসির মালিকদের চাহিদার ভিত্তিতে অর্ডার নিয়ে বাজারজাত করে। ফার্মেসির মালিকরা অর্ডার করলে তারা এসব ওষুধ পাঠানোর জন্য দু’টি কুরিয়ার সার্ভিসকে ব্যবহার করে। তারমধ্যে এজেআর ও জোনাকী কুরিয়ার সার্ভিসকে তারা বেশি ব্যবহার করে। ডিবি লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার সাইফুর রহমান আজাদ মানবজমিনকে বলেন, নকল ওষুধ তৈরি ও বিক্রিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, অধিক লাভের আশায় তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব দেশি ও বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের ওষুধ ও ক্রিম মিডফোর্ডসহ সারা দেশে  বাজারজাত করে আসছিল। এদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। রিমান্ডে এনে তাদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তিনি আরও বলেন, গত দুই মাসে নকল ওষুধ চক্রের ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। মামলা হয়েছে চারটি। জীবন রক্ষার এসব ওষুধ নকলকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা আরও কয়েকটি চক্রের সন্ধান পেয়েছি। তাদেরকে নজরদারিতে রেখেছি। শিগগির তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
গত ১২ই জুলাই ডিবি’র কোতোয়ালি জোনাল টিম ভেজাল ওষুধ কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। এদের মধ্যে মিটফোর্ড এলাকার বিল্লাল শাহ্‌ মার্কেটের পাইকারি ওষুধ বিক্রেতা মো. রবিন ছিল। সে         দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকও ছিল। এছাড়া ফয়সাল হোসেন নামের আরেক ওষুধ ব্যবসায়ীও রয়েছে। বাকিরা হলো, নাসির উদ্দিন, মো. ওহিদুল, মামুন কারাল, আবু নাঈম, মো. ইব্রাহিম ও ফয়সাল মোবারক। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তারা দেশের জেলা এবং উপজেলায় ভেজাল ওষুধ ছড়িয়েছে। তাদের কাছ থেকে ডিবি নামিদামি কোম্পানির নকল ওষুধ উদ্ধার করেছে। এছাড়া ওষুধ তৈরির ডাইস, ক্যাপসুল তৈরির মেশিন, ফয়েল পেপার, ড্রায়ার জব্দ করা হয়।
ডিবি জানিয়েছে, নীলফামারী, পিরোজপুর ও সাভারের চারটি কোম্পানিতে এসব ভেজাল ওষুধ তৈরি হতো। ফয়সাল মোবারক নামের এক ব্যক্তি ইউনানি ব্যবসার লাইসেন্স নিয়ে সাভার ও পিরোজপুরে দু’টি কারখানায় ভেজাল ওষুধ তৈরি করতো। অন্য দু’টি কারখানার মধ্যে একটির মালিক চক্রের প্রধান ইমরানুল ইসলাম ওয়াহিদ। অন্য কারখানার অবস্থান নীলফামারীর সৈয়দপুরে। আতিয়ার নামের এক কেমিস্ট ওই কারখানার মালিক। তার দেওয়া ফর্মুলাতেই চারটি কারখানায় নকল ওষুধ তৈরি হতো। ডিবি জানিয়েছে, চক্রটি করোনা মহামারিতে বহুল ব্যবহৃত এক্‌মি ল্যাবরেটরিজের মোনাস-১০ এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের মনটেয়ার-১০ স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের সেফ-৩ সেকলো-২০ জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যালসের ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস-৫০০ উৎপাদন করতো। এবং এই ওষুধগুলো সংশ্লিষ্ট কোম্পানির দামের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করতো। এর আগে ২৯শে জুন ডিবি’র গুলশান টিম ঢাকার হাতিরপুল, রামপুরা, মালিবাগ ও নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ভেজাল ওষুধ তৈরির সঙ্গে জড়িত আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে এলোপ্যাথি ওষুধ উৎপাদনের জন্য ২৮৪টি কোম্পানিকে অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এছাড়া ২৮১টি ইউনানি, ৩৪টি হারবাল ও ২১২টি আয়ুর্বেদিক কোম্পানিকেও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কিন্তু ইউনানি, হারবাল ও আয়ুর্বেদিক কোম্পানিগুলো তাদের নিজস্ব ওষুধ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানির নকল ওষুধ তৈরি করছে। তাদের কাছ থেকে মিটফোর্ডকেন্দ্রিক কিছু চক্র এসব ওষুধ কিনে এনে দেশব্যাপী বাজারজাত করছে। যে কোনো ওষুধ বাজারজাত করার আগে তা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে নমুনা সরবরাহের পর অনুমতি নিয়ে বাজারজাত করতে হয়। কিন্তু তারা এই প্রক্রিয়াটি মানছে না। নকল ওষুধ নিয়ে ডিবি’র কোতোয়ালি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের তদন্তে একাধিক অনুমোদিত কোম্পানির নাম উঠে এসেছে যারা নকল ওষুধ তৈরি করছে। যে কেউ চাইলে এসব কোম্পানি তাদের কারখানায় নকল ওষুধ তৈরি করে দেয়। এদের মধ্যে রয়েছে, পিরোজপুরের মিটফোর্ড ইউনানি, কুমিল্লার বেসিক ইউনানি ও চৌদ্দগ্রামের হাকিম রাজ্জাক ইউনানি। এভাবে আরও অসংখ্য ইউনানি, হারবাল ও আয়ুর্বেদিক কোম্পানি রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত ওষুধ নকল করছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেভাবে বিভিন্ন চক্র সারা দেশে নকল ওষুধ ছড়িয়ে দিচ্ছে এতে করে এসব ওষুধ খেয়ে মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। নকল ওষুধ তৈরি রোধে সরকারের ওষুধ প্রশাসনের ঢিমেতালে নজরদারির কারণে বিভিন্ন চক্র এই সুযোগটাকে কাজে লাগাচ্ছে। সংস্থাটি ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ ও নকল ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে যে ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা সেটি নিচ্ছে না। নিয়মিত তাদের অভিযান চালানোর কথা থাকলেও বছরে দৃশ্যমান ও উল্লেখযোগ্য কোনো অভিযান চোখে পড়ে না। ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের কারখানায় অন্য কোম্পানির নকল ওষুধ তৈরি করছে তাদের লাইসেন্স বাতিল করে শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
ডিবি’র শনিবারের অভিযানের সময় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এটিএম কিবরিয়া খান উপস্থিত ছিলেন। জানতে চাইলে তিনি মানবজমিনকে বলেন, ভেজাল ওষুধ তৈরির সঙ্গে যেসব চক্র ও অনুমোদিত কোম্পানি জড়িত আছে এদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান সবসময়ই চলে। আমরা ডিবি’র সহযোগিতা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি কারা এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। ডিবি এবং ওষুধ প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করবে। আমাদের পক্ষ থেকে জড়িত কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এছাড়া অন্যান্য পদক্ষেপও নেয়া হবে।  তিনি বলেন, আমরা যখন কোনো ওষুধের অনুমোদন দেই তার আগে সেটি আমরা ল্যাবে পরীক্ষা করি। পরীক্ষা করার জন্য আমাদের দু’টি ল্যাব আছে। পরীক্ষা করে আমাদের যে ক্রাইটেরিয়া আছে সেগুলো যদি ফিলাপ হয় তবেই আমরা অনুমোদন দেই। প্রতিটি জেলায় জেলায় আমাদের একটা অফিস রয়েছে। প্রত্যেক মাসে একজন অফিসারকে কমপক্ষে দশটা নমুনা ল্যাবে পাঠাতে হয়। কোনো ধরনের সমস্যা পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হয়। মিটফোর্ডকেন্দ্রিক চক্র নিয়ে বলেন, এখানে অল্প জায়গায় অনেক ওষুধের মার্কেট ও দোকান রয়েছে। পাশাপাশি ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিক্রির চক্রও সক্রিয়। আমরা মিটফোর্ডে নিয়মিত অভিযান চালাই।  
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী মাসুদ মানবজমিনকে বলেন, অধিক মুনাফার জন্য কিছু দুষ্টু লোক কাজগুলো করছে। ভেজাল ওষুধ আমাদের সবার স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। এগুলো মনিটরিং করার জন্য ঔষধ প্রশাসন রয়েছে। তাদের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। যদিও সবকিছু আইন ও প্রশাসন দিয়ে মোকাবিলা করা সম্ভব না। মানুষকেও সচেতন হতে হবে। এরপরেও বিষয়টি যেহেতু জনস্বাস্থ্যর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত সেহেতু প্রশাসনের ওপর একটা দায়িত্ব বর্তায়। নিয়মনীতি অনেক আছে কিন্তু সেটা কতোটুকু প্রয়োগ হচ্ছে দেখতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঔষধ প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সেলিম রেজা মানবজমিনকে বলেন, আমরা মৌখিকভাবে বলছি ৯৭ শতাংশ ওষুধ আমরা নিজেরা তৈরি করছি। বাস্তবে সেটা হচ্ছে না। এছাড়া দেশে ওষুধ তৈরি করার সঠিক গাইডলাইন মানা হচ্ছে না। ঔষধ প্রশাসনের তরফে কোয়ালিটি মেইনটেন্স করার বিষয়ে যতটুকু নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলোও যদি সঠিকভাবে তদারকি করা হতো তবে ওষুধ নকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকতো না। তিনি বলেন, অনুমোদিত কোম্পানির প্লান্ট আরেকটি অনুমোদিত কোম্পানি চুক্তি করে ব্যবহার করতে পারে। এই সিস্টেমটাকে টুল ম্যানুফ্যাকচারিং বলে। তবে কোনো কোনো নামসর্বস্ব কোম্পানির প্লান্টে ভেজাল ওষুধ তৈরি করছে। এসব কারণেই আমরা সততা ও নীতিগতভাবে পিছিয়ে আছি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status