এক্সক্লুসিভ
সেই মিনুর ২ সন্তানের দায়িত্ব নিলো কেএসআরএম
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৮:২২ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামে অন্যের হয়ে ৩ বছর জেল খাটা আলোচিত মিনু আক্তারের দুই সন্তান ইয়াসিন (১২) ও গোলাপের (৯) পড়ালেখাসহ যাবতীয় ভরণ- পোষণের দায়িত্ব নিয়েছে ইস্পাত নির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত অনাথ দুই সন্তানের দায়িত্ব নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। দেশের অন্যতম এই শিল্প প্রতিষ্ঠানের কেএসআরএম’র মিডিয়া এডভাইজার মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাতের আগ্রহের কথা ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। মূলত জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী কেএসআরএম করণীয় নির্ধারণ করবে। কেএসআরএম চায় হতভাগ্য মিনু আক্তারের অনাথ দুই সন্তান যেন সমাজের নিষ্ঠুরতার বলি না হয়। তারা যেন পৃথিবীর আলো বাতাসে আর দশটা শিশুর মতো হেসে খেলে বড় হতে পারে।’ এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, শিল্প গ্রুপ কেএসআরএম মিনু আক্তারের অনাথ দুই সন্তানের সার্বিক দায়িত্ব নিতে চেয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করা হয়েছ। আমরা এতে সম্মত হয়েছি। এই শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠানটির করণীয় আমরা বলে দেবো। আর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে নিয়মিত আপডেট নেয়া হবে। আদালত সূত্রে জানা যায়, স্বামী পরিত্যক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন মিনু আক্তার তার তিন সন্তানের ভরণ-পোষণের আশ্বাসে অন্যের হয়ে কারাগারে যায়। কথা ছিল অল্পদিনের মধ্যে মুক্তি পাবেন। কিন্তু প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর গোলাম মওলা নামে চট্টগ্রামের এক আইনজীবীর উদ্যোগে চলতি বছরের ১৬ই জুন জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান মিনু। আর এই কারামুক্তির ১৩ দিনের মাথায় রহস্যজনক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ৩২ বছর বয়সী এই নারী। জানা যায়, মিনু কারাগারে থাকা অবস্থায় নানা অভাব-অনটনে তার মেয়ে জান্নাত মারা যায়।
ছোট ছেলে গোলাপ থাকে দিনমজুর মামার আশ্রয়ে। আর বড় ছেলে ইয়াসিন অর্থাভাবে চাকরি নেয় ষোলশহরে চায়ের দোকানে। তবে মিনুর মৃত্যুর পর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় ইয়াসিন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ শিশু কিশোর সংশোধনাগার থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
ছোট ছেলে গোলাপ থাকে দিনমজুর মামার আশ্রয়ে। আর বড় ছেলে ইয়াসিন অর্থাভাবে চাকরি নেয় ষোলশহরে চায়ের দোকানে। তবে মিনুর মৃত্যুর পর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় ইয়াসিন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ শিশু কিশোর সংশোধনাগার থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।