দেশ বিদেশ

মেডিকেল কলেজে ফিরেছেন শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:০২ অপরাহ্ন

দেড় বছর বন্ধ থাকার পর দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো খুলেছে। শুরু হয়েছে ক্লাস। গতকাল ক্লাস শুরুর প্রথমদিনে প্রথম, দ্বিতীয় ও পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়েছে। গতবছর করোনা মহামারি শুরু হলে ১৭ই মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। দেড় বছরের কিছু বেশি সময় পর সোমবার দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো খোলা হলো। মেডিকেল কলেজগুলো তো এতদিন অনলাইনে থিওরেটিক্যাল অর্থাৎ তাত্ত্বিক  বিষয়গুলোতে পাঠদান অব্যাহত থাকলেও প্র্যাকটিক্যাল ব্যবহারিক ক্লাস বন্ধ ছিল। গতকাল ক্লাস খোলার প্রথমদিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমবিবিএস কোর্সের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশনও হয়েছে। আগামীদিনে চিকিৎসক হতে যাওয়া এসব শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে বেলুন দিয়ে সাজানো হয় কলেজ ক্যাম্পাস। ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটু মিঞা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও পঞ্চম বর্ষের প্রথম এক ঘণ্টার ক্লাস হবে অনলাইনে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আছেন ২২৯ জন। উপস্থিতি ৯৫ শতাংশের বেশি।  স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য এখন আমরা সীমিত আকারে ক্লাস নিচ্ছি। তাদের আমরা ছোট ছোট গ্রুপ করে দিয়েছি। সেই সঙ্গে অনেক সময় ধরে ক্লাসে ধরে রাখতে চাই না জানিয়ে অধ্যাপক ডা. টিটু মিঞা বলেন, ব্যবহারিক ক্লাস হবে দুই ঘণ্টার মতো, সেখানেও ভাগ করে নেয়া হয়েছে। তাত্ত্বিক ক্লাস অনলাইনেই হবে। তিনি বলেন, বড় গ্যাদারিং অ্যাভয়েড করছি আমরা। হয়তো সপ্তাহ দুই/তিন অথবা একমাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পুরোদমে ক্লাসে ফিরে যাবো। বিশেষ করে দ্বিতীয় এবং পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে, বেশি বেশি ক্লাস করতে। তাদের  প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসগুলোতে আমরা জোর দিচ্ছি। ধীরে ধীরে সময় আমরা বৃদ্ধি করবো। অধ্যাপক টিটু মিঞা বলেন, শিক্ষার্থীদের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে তারা ঠিক আছে। একইসঙ্গে তারা নিজেদের প্রিয় চত্বরে ফিরে ভীষণ উচ্ছ্বসিত। আমরা সব সময়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছি, শিক্ষকরা তাদের সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন। সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল প্রস্তুত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে যেখানে হয়তো বড় এক রুমে ১০ জন থাকতেন সেখানে এভাবে পাঁচজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেড় বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের পরিকল্পনা কী জানতে চাইলে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটু মিঞা বলেন, এতদিন অনলাইনে ক্লাস হয়েছে, তারা কিন্তু একটা প্রসেসের মধ্যে দিয়েই গিয়েছে। এমন কি কিছু পরীক্ষাও হয়েছে অনলাইনের মাধ্যমে। ক্ষতিটা হয়েছে কিছুটা ব্যবহারিক বা প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসগুলোতে। আর এখন কেবল প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসই রাখা হয়েছে এবং সেটাও হচ্ছে দুইবার করে। আর যদি সংক্রমণের হার বেশি না হয়ে যায়, কেউ যদি সংক্রমিত না হন তাহলে ক্লাসের পরিমাণ বাড়িয়ে সে ক্ষতিটুকু পুষিয়ে দিতে পারবো। প্রসঙ্গত, দেশে ৩৭টি সরকারি এবং ৭১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status