দেশ বিদেশ
‘গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ গভীর সংকটে’
স্টাফ রিপোর্টার
২০২১-০৯-১৪
দেশে ভোটের অধিকার নেই। গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ আজ গভীর সংকটে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মাফিয়াদের অসভ্য মেলবন্ধন ক্রমে ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়েছে। কেবল করোনার এই দেড় বছরে ছয় হাজার নতুন কোটিপতি পরিবারের জন্ম হয়েছে। আর প্রতিবছর প্রায় লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। ‘মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর: জনআকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্?যাপন পরিষদ নামে একটি সংগঠন। আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বছর স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্?যাপিত হচ্ছে কিন্তু ‘সুবর্ণ’ কতোটুকু আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার কতোটা নিশ্চিত হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরিবারতন্ত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে উল্লেখ করে গণফোরাম নেতা মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য লড়েছেন। তিনি জনগণের নেতা ছিলেন। তিনি ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করেননি। কিন্তু আজকের রাজনৈতিক নেতারা জনগণকে নিয়ে ভাবেন না। জনগণের কাছে যান না। রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী ও ব্রতী’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মোর্শেদ বলেন, যে নেতা দায়িত্ব নেন, তিনি আজীবন একই পদে থাকতে চান।
এই মনস্তত্ত্বের কারণে দেশে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠছে না। দেশের বামপন্থি দলগুলোর বিভক্তি নিয়ে আত্মসমালোচনা জরুরি উল্লেখ করে প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বামপন্থিদের বড় ভূমিকা ছিল। কিন্তু বিভক্তির কারণে তারা এখন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারছে না। পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে ও শোষণ-বৈষম্য মুক্তির আন্দোলনে বামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এই মনস্তত্ত্বের কারণে দেশে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠছে না। দেশের বামপন্থি দলগুলোর বিভক্তি নিয়ে আত্মসমালোচনা জরুরি উল্লেখ করে প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বামপন্থিদের বড় ভূমিকা ছিল। কিন্তু বিভক্তির কারণে তারা এখন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারছে না। পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে ও শোষণ-বৈষম্য মুক্তির আন্দোলনে বামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ প্রমুখ বক্তব্য দেন।