বাংলারজমিন
মৌলভীবাজারে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না করোনার টিকা
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ৮:০০ অপরাহ্ন
প্রবাসী ও পর্যটন অধ্যুষিত সীমান্তবর্তী মৌলভীবাজার জেলায় করোনার টিকা গ্রহণে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিদিন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা গ্রহণ করছেন। আবার অনেকেই টিকা না পেয়ে বাড়ি ফিরছেন। গতকাল প্রতিদিনের ন্যায় ভোর থেকে হাসপাতালের সামনে ছিল দীর্ঘ লাইন। তীব্র রোদ উপেক্ষা করেই ছিল টিকা নিতে আসা মানুষের লম্বা লাইন। দীর্ঘ সময় রোদে দাঁড়ানোর পর কর্তৃপক্ষ তাদের জানালেন ‘টিকা নেই’। অসহনীয় গরমে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকা পাননি প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা আনোয়ার মিয়া জানান, সকাল ১১ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়ান। পরে জানতে পারেন টিকা দেয়া শেষ হয়েছে। তিনি টিকা না পেয়েই বাড়ি ফিরেন। আমেনা বেগম নামের এক নারী জানান, আগের দিন লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা দিতে পারেননি। পরের দিন সকাল ৬টার মধ্যে লাইনে দাঁড়ান। দুপুরের দিকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে টিকা দিয়ে বাড়ি ফিরেন। এমদাদ আলী জানান টিকার রেজিষ্ট্রেশন কাগজ নিয়ে আসেন কিন্তু মোবাইলে এসএমএস না পওয়ায় টিকা দিতে পারেননি। তিনি গণটিকার প্রচার জেনে টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন। গণটিকার লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা পাননি। তিনি আরও জানান, একমাসের অধিক সময় হলেও তার মোবাইলে টিকা দেয়ার এসএমএস পাননি। এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, টিকার ঘাটতি আছে। আমি গতকাল রোববার ১২ই সেপ্টেম্বর রাজনগর থেকে ১ হাজার টিকা আনিয়েছি। গতকাল ৮০০ এসএমএস গিয়েছে টিকা নিতে আসার জন্য। যারা এসএমএস পেয়েছে তারা টিকা পাওয়ার কথা। সিভিল সার্জন আরও বলেন, ২-৩ দিনের মধ্যেই টিকা চলে আসবে। করোনার টিকা সর্বশেষ চীনের সিনোফার্ম কোম্পানির ৮৫ হাজার ডোজ টিকা গত ৫ই সেপ্টেম্বর এসেছে। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টিকা রেজিস্ট্রেশনকারীরা অপেক্ষমাণ রয়েছেন। প্রতিদিন জেলার ৭টি কেন্দ্রে প্রায় ৪ হাজার টিকা দেয়া হচ্ছে। এসএমএস প্রাপ্তির পর টিকা দিতে আসার জন্য পরামর্শ দেন। জেলা সিভিল কার্যালয় সূত্রে জানা যায় এ পর্যন্ত জেলায় ৭,৯৬২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। সুস্থ হয়েছেন ৬,৭৩৫ জন। জেলার সরকারি হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও আইসোলেশনে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ২৪ জন। সরকারি হিসাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় মৃত্যুবরণ করেন ৭২ জন। তবে বেসরকারি হিসাবে জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩৫ জন।