দেশ বিদেশ
ফুলতলায় জমির কাগজপত্র জাল জালিয়াতির অভিযোগ
ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ৭:৫২ অপরাহ্ন
ফুলতলা উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় জমির কাগজপত্র জাল-জালিয়াতি করে কিছু অসাধু দালালচক্র অসহায় সাধারণ মানুষের জমি ক্রয়-বিক্রয়, খাজনা পরিশোধ, মিসকেস, খাস জমির ইজারা নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন ভূমি অফিসে খবর নিয়ে দেখা গেছে, ৮-১০ জন দালাল অবৈধভাবে ভূমি অফিসের ভেতর গুরুত্বপূর্ণ নথি নড়াচড়া করছে। অফিসগুলোতে শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেটের একটি চক্র সর্বক্ষণ ঘোরাফেরা করে। অনেকে আবার ভূমি অফিসের ভেতরে চেয়ারে বসে কাজ করে। জানতে চাইলে বলে- আমার নিজস্ব কাজে এখানে এসেছি। কিছু দালালচক্র সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে জমির দলিলাদি, কাগজপত্র জাল-জালিয়াতি করে নাম সংশোধনী, নামজারিসহ তামিল করে দিচ্ছে। সম্প্রতি সোহেল রানা নামক এক ব্যক্তির শিরোমনি মৌজাধীন তার জমির কাগজপত্র জাল-জালিয়াতি করে তহসিল অফিসের মাধ্যমে শিরোমনি মৌজার ৩৫০নং খতিয়ানের আর এস ১১৭৪, ১২৪৮, ১২৪৯, ১২৫০, ১২৫১ ও ১২৫২ নং দাগের ৪ শতক ৬৩ পয়েন্ট জমির রেকর্ডসহ নামজারি করা হয়েছে। যার রেকর্ড কেস নং (৯৬-ওঢ-ও ২০১৮-১৯) রেকর্ডভুক্ত করে শিরোমনি তহসিল অফিস থেকে তামিল করা হয়েছে। ওই একই কেস নং গিলাতলা গ্রামের হাফেজ মো. আসাদুল্লাহ আল গালিবের গিলাতলা মৌজার ৫৫৬ নং খতিয়ানের ২৬৭১ নং দাগের ৪ শতক জমির ক্ষেত্রে দেখা যায়। এভাবে একের পর এক ফুলতলার বিভিন্ন ভূমি অফিস থেকে দালাল চক্র এবং অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ নামজারি/নামপত্তন করতে ৮-১০ হাজার টাকার ঘুষ বাণিজ্যসহ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ দালালচক্রের হাত থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন, আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ফুলতলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুলি বিশ্বাস বলেন, আমি সবসময় চেষ্টা করছি ভূমি অফিসকে দালালমুক্ত করতে। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পেলে দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।