অনলাইন
অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নির্যাতন, স্বামী-শাশুড়ি-ননদ গ্রেপ্তার
সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, সোমবার, ২:৫৯ অপরাহ্ন
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীরকোট গ্রামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বীরকোট জাহাজি বাড়িতে দফায় দফায় নির্যাতন চালিয়েছে তারা। পরে ওই গৃহবধূ জীবন বাঁচাতে সুযোগ বুঝে তার ৪ বছরের আফ্রান নামে এক সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে আসেন সেনবাগ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। নির্যাতন সহ পালিয়ে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৃহবধূর ভাই মো: রুমান হোসেন। খবর পেয়ে রাতেই সেনবাগ থানার এএসআই কায়সারের নেতৃত্বে পুলিশ বীরকোট থেকে তিনজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন স্বামী আনোয়ার হোসেন (২৭), শাশুড়ি হরমুজা বেগম ও ননদ শাহেদা বেগম। স্বামী আনোয়ার হোসেন ওই গ্রামের তনু মিয়ার পুত্র। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কল্পনা আক্তার (২২) জানান, ৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ৪ বছরের আফ্রান নামে একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর স্বামী আনোয়ার চলে যান বাহরাইন। এর মধ্যে শাশুড়ি ও ননদ মারধর করতো। ৪ মাস আগে স্বামী বাহরাইন থেকে দেশে আসার পর থেকে শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। এতে শুরু হয় কলহ। পিতা মাতার সাথে কথা বলতে দিতো না। তারা ভাতের সাথে বিষ মেখে আমাকে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে বলবে আমি আত্মহত্যা করেছি। তাদের পরিকল্পনা জেনে ফেলায় স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ লাঠি পেটা, লাথি ও কিল-ঘুষি দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সোমবার দুপুরে সেনবাগ থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে । ভিকটিম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অপরদিকে, সেনবাগের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজারামপুরে বহুল আলোচিত গৃহবধূ আমেনা বেগম (৩০)কে প্রকাশ্যে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত স্বামী আমির হোসেন (৪০) ও ননদ হাসিনা বেগম(২৮) ও বীরকোটের নারী নির্যাতন মামলা সহ অন্যান্য মামলার ৭ আসামিকে সোমবার দুপুরে নোয়াখালীর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।