অনলাইন

বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন

বাংলাদেশে ইন্টারনেট আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ

মানবজমিন ডিজিটাল

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, সোমবার, ১২:২২ অপরাহ্ন

বাংলাদেশে ইন্টারনেট আইন (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) এর অধীনে রোববার একজন হাই প্রোফাইল কার্টুনিস্ট এবং সুইডেনভিত্তিক সাংবাদিক সহ সাতজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সমালোচকদের মতে বিরোধী মতের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ওই আইনটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম বলেছেন, ঢাকার একটি আদালত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর এবং মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক তাসনিম খলিলের বিরুদ্ধে পুলিশের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গ্রহণ করেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে দ্য হিন্দু, আরব নিউজ সহ বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছেঃ

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর এবং মিথ্যা তথ্য প্রকাশ, মানহানি এবং ইচ্ছাকৃতভাবে 'ডিজিটাল কন্টেন্ট' প্রকাশ করার অভিযোগ আনা হয়েছে যেগুলো অশান্তি বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের ১০ বছরের জেল হতে পারে।

শামীম বলেছেন, "আদালত পলাতক চারজনের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।"

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ১৬ কোটি ৯০ লাখ মানুষের দেশটিতে সরকারের সমালোচকদের নীরব করা ও ভয় দেখানোর জন্য আইনটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

৪৫ বছর বয়সী কিশোর বলেছেন, তিনি ‘অন্যায়ের শিকার’।

চার্জ ঘোষণার পর তিনি এএফপিকে ফোনে বলেন, "কার্টুন আঁকা কোনো অপরাধ নয়।"

গত বছরের মে মাসে ইন্টারনেট আইনের অধীনে প্রাথমিক অভিযোগে কিশোরকে আটক করার পর
রাজপথে বিক্ষোভের মুখে গেলো মার্চ মাসে তাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল।

কিশোর জানান, পুলিশ তাকে আটক দেখানোর আগে তার উপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল।

নির্যাতনের অভিযোগে তিনি ঢাকার আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন, যা পুলিশ অস্বীকার করেছে। ওই আবেদনটির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

কিশোর বলেন, কথিত নির্যাতনকারীরা তার আঁকা কার্টুন সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করেছিল, যেগুলোতে সরকারের ঘনিষ্ঠ একজন শক্তিশালী ব্যবসায়ীকে ব্যঙ্গ করার পাশাপাশি করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছিল।

শামীম অবশ্য কার্টুনিস্ট কর্তৃক কথিত সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিস্তারিত বর্ণনা করেননি।

অ্যামনেস্টি জুলাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলেছে যে, ওই মাস পর্যন্ত ইন্টারনেট আইনের অধীনে বাংলাদেশে অন্তত ৪৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, তাদের অধিকাংশকেই অনলাইনে মিথ্যা ও আপত্তিকর তথ্য প্রকাশের অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status