এক্সক্লুসিভ
সরজমিন- শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম
রাশিম মোল্লা
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, সোমবার, ৯:৪২ অপরাহ্ন
৫৫নং কালিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এটি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নে অবস্থিত। সকাল ৯টা বাজার আগেই শুরু হয় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসে। নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল গেটে প্রতিটি শিক্ষার্থীর তাপমাত্রা মেপে ঢোকানো হয়। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গতকাল স্কুল খুললেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। স্কুলের ১১৭০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল মাত্র ২৮২ জন।
অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই স্কুলে দুই শিফটে শিক্ষার্থীদের ক্লাস হয়। সকালের শিফটে বালিকা ও বিকালের শিফটে বালকদের ক্লাস হয়। কথা হয় স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহমুদা বেগমের সঙ্গে। তিনি মানবজমিনকে জানান, তাদের স্কুল দুই শিফটে শিক্ষার্থীদের ক্লাস হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে বলা হয়। সে অনুযায়ী অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে সকাল সকাল স্কুলে চলে আসেন। তিনি আরো জানান, সকালের শিফটে তৃতীয় শ্রেণির ২৭০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৭ জন শিক্ষার্থী এবং ৫ম শ্রেণির ৩২৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮১ জন উপস্থিত ছিল। অর্থাৎ ৫৯৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২৮ জন উপস্থিত হয়েছে। অপরদিকে, বিকালের শিফটে তৃতীয় শ্রেণির ৩০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৫ জন এবং ৫ম শ্রেণির ২৭২জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৯ জন উপস্থিত ছিল। অর্থাৎ ৫৭২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৫৪ জন উপস্থিত হয়। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলেছে। এখানকার অভিভাবকরা বেশির ভাগ কর্মমুখী। মা-বাবারা তেমন একটা সচেতন নয়। তবে তিনি মনে করেন আজ থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে।
সরজমিন দেখা যায়, স্কুল আঙিনার দুই পাশের দুই ভবনে নির্ধারিত সময় সকাল ৯টায় ক্লাস শুরু হয়। প্রতিটি ক্লাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে বসানো হয়েছে। কোনো বেঞ্চেই দু’জনের বেশি বসতে দেয়া হয়নি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সবার মুখে ছিল মাস্ক। স্কুলে আসতে পেরে তাদের বেশ খুশি দেখা গিয়েছে। কথা হয় অভিভাবক রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, স্কুল খোলার কারণে সরকারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। তাদের এক ছেলে এক মেয়ে। সারাদিন গেম খেলে সময় পার করে। বারণ করলেও শোনে না। স্কুল খোলা থাকলে কিছুটা হলেও ওদের মোবাইল আসক্তি কমবে। আর যেন স্কুল বন্ধ না দেয় সরকার। এদিকে তার মতো খুশি স্কুলের পাশে গড়ে ওঠা স্টেশনারি, ভাসমান দোকানদাররাও। বহুদিন পর স্কুলের শিক্ষার্থীদের হৈ হুল্লোর শব্দ তারাও বেশ উপভোগ করছেন। স্কুলের ঘণ্টার শব্দ, শিশুরা খেলাধুলায় মেতে উঠবে স্কুল কার্যক্রম এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে, কালিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে একটি দাখিল মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসাতেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। শিক্ষার্থীরা জানায়, দীর্ঘদিন পর তারা মাদ্রাসায় আসতে পেরে অনেক খুশি। তাদের এ খুশিতে শিক্ষক, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকরাও খুশি। মাদ্রাসা খোলার প্রথমদিন শিক্ষকরাও তাদের সঙ্গে হাসিখুশিভাবে কুশলবিনিময় করেছেন। শিক্ষাকরা জানান, টানা বাসায় থাকতে থাকতে আমরা সবাই অনেক ক্লান্ত ছিলাম। মাদ্রাসা খোলায় খুব ভালো লাগছে।
অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই স্কুলে দুই শিফটে শিক্ষার্থীদের ক্লাস হয়। সকালের শিফটে বালিকা ও বিকালের শিফটে বালকদের ক্লাস হয়। কথা হয় স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহমুদা বেগমের সঙ্গে। তিনি মানবজমিনকে জানান, তাদের স্কুল দুই শিফটে শিক্ষার্থীদের ক্লাস হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে বলা হয়। সে অনুযায়ী অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে সকাল সকাল স্কুলে চলে আসেন। তিনি আরো জানান, সকালের শিফটে তৃতীয় শ্রেণির ২৭০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৭ জন শিক্ষার্থী এবং ৫ম শ্রেণির ৩২৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮১ জন উপস্থিত ছিল। অর্থাৎ ৫৯৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২৮ জন উপস্থিত হয়েছে। অপরদিকে, বিকালের শিফটে তৃতীয় শ্রেণির ৩০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৫ জন এবং ৫ম শ্রেণির ২৭২জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৯ জন উপস্থিত ছিল। অর্থাৎ ৫৭২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৫৪ জন উপস্থিত হয়। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলেছে। এখানকার অভিভাবকরা বেশির ভাগ কর্মমুখী। মা-বাবারা তেমন একটা সচেতন নয়। তবে তিনি মনে করেন আজ থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে।
সরজমিন দেখা যায়, স্কুল আঙিনার দুই পাশের দুই ভবনে নির্ধারিত সময় সকাল ৯টায় ক্লাস শুরু হয়। প্রতিটি ক্লাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে বসানো হয়েছে। কোনো বেঞ্চেই দু’জনের বেশি বসতে দেয়া হয়নি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সবার মুখে ছিল মাস্ক। স্কুলে আসতে পেরে তাদের বেশ খুশি দেখা গিয়েছে। কথা হয় অভিভাবক রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, স্কুল খোলার কারণে সরকারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। তাদের এক ছেলে এক মেয়ে। সারাদিন গেম খেলে সময় পার করে। বারণ করলেও শোনে না। স্কুল খোলা থাকলে কিছুটা হলেও ওদের মোবাইল আসক্তি কমবে। আর যেন স্কুল বন্ধ না দেয় সরকার। এদিকে তার মতো খুশি স্কুলের পাশে গড়ে ওঠা স্টেশনারি, ভাসমান দোকানদাররাও। বহুদিন পর স্কুলের শিক্ষার্থীদের হৈ হুল্লোর শব্দ তারাও বেশ উপভোগ করছেন। স্কুলের ঘণ্টার শব্দ, শিশুরা খেলাধুলায় মেতে উঠবে স্কুল কার্যক্রম এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে, কালিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে একটি দাখিল মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসাতেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। শিক্ষার্থীরা জানায়, দীর্ঘদিন পর তারা মাদ্রাসায় আসতে পেরে অনেক খুশি। তাদের এ খুশিতে শিক্ষক, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকরাও খুশি। মাদ্রাসা খোলার প্রথমদিন শিক্ষকরাও তাদের সঙ্গে হাসিখুশিভাবে কুশলবিনিময় করেছেন। শিক্ষাকরা জানান, টানা বাসায় থাকতে থাকতে আমরা সবাই অনেক ক্লান্ত ছিলাম। মাদ্রাসা খোলায় খুব ভালো লাগছে।