এক্সক্লুসিভ
আটা-ময়দা মুরগি, সবজি পিয়াজ-ডাল ঊর্ধ্বমুখী
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, শনিবার, ৯:১১ অপরাহ্ন
রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বেশকিছু সবজির দাম। সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর বিভিন্ন সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫-১০ টাকা করে। এ ছাড়া বেড়েছে পিয়াজ ও ডালের দাম। এদিকে চালের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও নতুন করে অস্থির হয়ে উঠেছে আটা ও ময়দার বাজার। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই পণ্য দু’টির দাম বাড়ছে। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কেজিতে আরও ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এভাবে বাড়তে থাকায় সীমিত আয়ের মানুষরা পড়েছেন বিপাকে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা আটা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৩-৩৪ টাকা। যা কয়েক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ২৭-২৮ টাকায়। প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩৬ টাকা। আটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ময়দার দামও। বাজারে এক কেজি খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকায়। যেখানে ২ সপ্তাহ আগে দাম ছিল ৩৭-৪০ টাকা। আর প্যাকেটজাত ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৮ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৪২-৪৪ টাকা।
আটা-ময়দার দাম নতুন করে বাড়ায় হতাশ অনেকেই। এরমধ্যে বাজার করতে আসা ফাইজুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চালের দাম নাগালের বাইরে। একমাত্র আটা ও ময়দার দাম ছিল নিয়ন্ত্রণে। এখন সেই আটা ময়দার দামও বাড়ছে।
এদিকে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মোকাম থেকে বেশি দাম দিয়ে আটা-ময়দা কিনতে হচ্ছে। এ কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
কাওরান বাজারের আটা ব্যবসায়ী সালাম বলেন, বস্তা প্রতি আটা-ময়দার দাম বেড়েছে ৩০০-৩৫০ টাকা। এর সঙ্গে ভ্যান ভাড়া মিলে ৪০০- ৪৫০ টাকা পড়ছে। যে কারণে বাধ্য হয়ে ৩-৫ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, গমের আন্তর্জাতিক বাজার বেশ কিছুদিন ধরে অস্থিতিশীল। ফলে এর প্রভাব দেশের বাজারেও পড়ছে।
এদিকে বাজারে বিক্রেতারা ব্রয়লার মুরগির কেজি গত সপ্তাহের মতো বিক্রি করছেন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। তবে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতিকেজি (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০-৪০, করলা ৬০, টমেটো ১০০, সিম ১২০, বরবটি ৬০ টাকা। বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। লতি ৮০ টাকা ও কাকরোল ৮০ থেকে ৬০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এ ছাড়া শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ১৫০-২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০-১৩০ টাকা, আদার দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। হলুদ ১৬০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পিয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। প্রতিকেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা।
এদিকে এই সপ্তাহে নতুন করে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে মসুর ডালের (মোটা দানা) দাম। গত সপ্তাহে যে ডালের দাম ছিল ৮৫ টাকা কেজি। এখন সেই ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। বাজারে কেজি প্রতি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এ ছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। ওদিকে আমদানি বাড়িয়ে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে এ সপ্তাহে নতুন করে বাড়েনি চালের দাম। তবে এখনও ভোক্তাদের মোটা চাল কিনতে প্রতিকেজিতে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। একইভাবে চিকন চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা পর্যন্ত।
দাম বেড়েছে সয়াবিন তেলের। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। পামওয়েল (খোলা) প্রতি লিটারের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা। পামওয়েল (সুপার) দাম ৪ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে।
বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
মাছ বাজারে রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩৮০ টাকা। মৃগেল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৮০ টাকা। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৬০০ টাকা। পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৬০ টাকা।
এদিকে, বাজারে এখন ছোট-বড় সব ধরনের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম এখনো তুলনামূলক বেশি। বড় (এক কেজির ওপরে) ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০-১৩০০ টাকা। মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকা কেজি। আর ছোটগুলো ৫০০-৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি।
আটা-ময়দার দাম নতুন করে বাড়ায় হতাশ অনেকেই। এরমধ্যে বাজার করতে আসা ফাইজুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চালের দাম নাগালের বাইরে। একমাত্র আটা ও ময়দার দাম ছিল নিয়ন্ত্রণে। এখন সেই আটা ময়দার দামও বাড়ছে।
এদিকে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মোকাম থেকে বেশি দাম দিয়ে আটা-ময়দা কিনতে হচ্ছে। এ কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
কাওরান বাজারের আটা ব্যবসায়ী সালাম বলেন, বস্তা প্রতি আটা-ময়দার দাম বেড়েছে ৩০০-৩৫০ টাকা। এর সঙ্গে ভ্যান ভাড়া মিলে ৪০০- ৪৫০ টাকা পড়ছে। যে কারণে বাধ্য হয়ে ৩-৫ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, গমের আন্তর্জাতিক বাজার বেশ কিছুদিন ধরে অস্থিতিশীল। ফলে এর প্রভাব দেশের বাজারেও পড়ছে।
এদিকে বাজারে বিক্রেতারা ব্রয়লার মুরগির কেজি গত সপ্তাহের মতো বিক্রি করছেন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। তবে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতিকেজি (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০-৪০, করলা ৬০, টমেটো ১০০, সিম ১২০, বরবটি ৬০ টাকা। বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। লতি ৮০ টাকা ও কাকরোল ৮০ থেকে ৬০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এ ছাড়া শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ১৫০-২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০-১৩০ টাকা, আদার দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। হলুদ ১৬০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পিয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। প্রতিকেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা।
এদিকে এই সপ্তাহে নতুন করে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে মসুর ডালের (মোটা দানা) দাম। গত সপ্তাহে যে ডালের দাম ছিল ৮৫ টাকা কেজি। এখন সেই ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। বাজারে কেজি প্রতি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এ ছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। ওদিকে আমদানি বাড়িয়ে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে এ সপ্তাহে নতুন করে বাড়েনি চালের দাম। তবে এখনও ভোক্তাদের মোটা চাল কিনতে প্রতিকেজিতে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। একইভাবে চিকন চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা পর্যন্ত।
দাম বেড়েছে সয়াবিন তেলের। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। পামওয়েল (খোলা) প্রতি লিটারের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা। পামওয়েল (সুপার) দাম ৪ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে।
বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
মাছ বাজারে রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩৮০ টাকা। মৃগেল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৮০ টাকা। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৬০০ টাকা। পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৬০ টাকা।
এদিকে, বাজারে এখন ছোট-বড় সব ধরনের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম এখনো তুলনামূলক বেশি। বড় (এক কেজির ওপরে) ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০-১৩০০ টাকা। মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকা কেজি। আর ছোটগুলো ৫০০-৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি।