সেরা চিঠি
তবুও বিশ্বাস ছিলো আপনি ফিরবেন
পিয়াস সরকার
১০ আগস্ট ২০২১, মঙ্গলবার, ৬:২৬ অপরাহ্ন
প্রিয় রুমা ম্যাম,
আপনি এক শ্রদ্ধার নাম। এক উঁচু পাহাড়ের নাম। যে পাহাড় তার ছাত্রদের পাহাড় সমান উঁচুতে উঠতে শেখাতো। আপনার ক্লাসেই শিখেছিলাম মৃত্যুসংবাদ বা অবিচুয়ারি লেখা। আফসোস! আপনার দেয়া শিক্ষাটা কাজে লাগেনি। সোমবার মৃত্যুর সংবাদটি লিখতে গিয়ে বারবার হাত আটকে যায়। লিখতে পারিনি।
ম্যাম, জানেন আপনার রেখে যাওয়া শত শত সন্তান সেদিন চোখের জল ফেলেছে।
আপনার আদরমাখা শাসন কি করে ভুলি? ৪র্থ সেমিস্টারে আমার ছিল সর্বোচ্চ সিজিপিএ। এর কারণও আপনার আদরমাখা শাসন। তৃতীয় সেমিস্টারের রেজাল্টের পর আপনি বলেছিলেন, পিয়াস- এটা মেনে নেয়া যায় না। লাস্ট দুই সেমিস্টার ধরে তোমার রেজাল্ট কমছে। তুমি ফেল থেকে পাস করো খুশি হবো। কিন্তু সিজিপিএ কমছে এটা মেনে নেয়া যায় না।
আপনি আপনার সকল শিক্ষার্থীকে মায়ের আদর দিয়েছেন। যে মায়ের প্রতি হাজারো শিক্ষার্থীর ভালোবাসা মিশ্রিত। আপনি আমাদের হৃদয়ে থাকবেন আজীবন। মৃত্যু অবধারিত- মৃত্যুই সত্য। কিন্তু কিছু মৃত্যু মেনে নেয়া কষ্টকর। প্রাণঘাতী করোনায় মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। সেই মিছিলে শামিল হলেন আপনি। রুমা ম্যাম প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। এর আগে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে। পুরো নাম কামরুন নাহার রুমা। সোমবার সকালে ঢাকায় ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
চোখের জল ফেলছি আর ভাবছি, শিক্ষক তো অনেকেই হন। কিন্তু তিনি ছিলেন বন্ধু, আপনজন। যার কাছে মন খুলে বলা যেতো মনের কথা। আচ্ছা ম্যাম বলুন তো, এতো কি তাড়া ছিল আপনার? বয়স তো সবে ৩৯।
ম্যাম আপনার সঙ্গে আমার শেষ কথা যেদিন হলো- জানতাম না আপনি করোনা আক্রান্ত। শুধু প্রয়োজনের কথাটাই সারলাম। যাক এরপর যখন জানলাম আর ফোন দেয়ার সাহস হয়নি। বিশ্বাস ছিল আপনি ফিরবেন। এরপর আপনাকে নেয়া হলো লাইফ সাপোর্টে। তবুও বিশ্বাস ছিল আপনি ফিরবেন। কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা আপনাকে যে খুব ভালোবাসে। তিনি আপনাকে নিয়ে গেছেন তার কাছে। আমরা প্রার্থনা করি, পরপারে ভালো থাকুন ম্যাম!
ইতি
আপনার ছাত্র পিয়াস সরকার
আপনি এক শ্রদ্ধার নাম। এক উঁচু পাহাড়ের নাম। যে পাহাড় তার ছাত্রদের পাহাড় সমান উঁচুতে উঠতে শেখাতো। আপনার ক্লাসেই শিখেছিলাম মৃত্যুসংবাদ বা অবিচুয়ারি লেখা। আফসোস! আপনার দেয়া শিক্ষাটা কাজে লাগেনি। সোমবার মৃত্যুর সংবাদটি লিখতে গিয়ে বারবার হাত আটকে যায়। লিখতে পারিনি।
ম্যাম, জানেন আপনার রেখে যাওয়া শত শত সন্তান সেদিন চোখের জল ফেলেছে।
আপনার আদরমাখা শাসন কি করে ভুলি? ৪র্থ সেমিস্টারে আমার ছিল সর্বোচ্চ সিজিপিএ। এর কারণও আপনার আদরমাখা শাসন। তৃতীয় সেমিস্টারের রেজাল্টের পর আপনি বলেছিলেন, পিয়াস- এটা মেনে নেয়া যায় না। লাস্ট দুই সেমিস্টার ধরে তোমার রেজাল্ট কমছে। তুমি ফেল থেকে পাস করো খুশি হবো। কিন্তু সিজিপিএ কমছে এটা মেনে নেয়া যায় না।
আপনি আপনার সকল শিক্ষার্থীকে মায়ের আদর দিয়েছেন। যে মায়ের প্রতি হাজারো শিক্ষার্থীর ভালোবাসা মিশ্রিত। আপনি আমাদের হৃদয়ে থাকবেন আজীবন। মৃত্যু অবধারিত- মৃত্যুই সত্য। কিন্তু কিছু মৃত্যু মেনে নেয়া কষ্টকর। প্রাণঘাতী করোনায় মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। সেই মিছিলে শামিল হলেন আপনি। রুমা ম্যাম প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। এর আগে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে। পুরো নাম কামরুন নাহার রুমা। সোমবার সকালে ঢাকায় ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
চোখের জল ফেলছি আর ভাবছি, শিক্ষক তো অনেকেই হন। কিন্তু তিনি ছিলেন বন্ধু, আপনজন। যার কাছে মন খুলে বলা যেতো মনের কথা। আচ্ছা ম্যাম বলুন তো, এতো কি তাড়া ছিল আপনার? বয়স তো সবে ৩৯।
ম্যাম আপনার সঙ্গে আমার শেষ কথা যেদিন হলো- জানতাম না আপনি করোনা আক্রান্ত। শুধু প্রয়োজনের কথাটাই সারলাম। যাক এরপর যখন জানলাম আর ফোন দেয়ার সাহস হয়নি। বিশ্বাস ছিল আপনি ফিরবেন। এরপর আপনাকে নেয়া হলো লাইফ সাপোর্টে। তবুও বিশ্বাস ছিল আপনি ফিরবেন। কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা আপনাকে যে খুব ভালোবাসে। তিনি আপনাকে নিয়ে গেছেন তার কাছে। আমরা প্রার্থনা করি, পরপারে ভালো থাকুন ম্যাম!
ইতি
আপনার ছাত্র পিয়াস সরকার