শেষের পাতা
৩ দিন ধরে করোনায় মৃত স্বামীর লাশ পাহারায় স্ত্রী!
চাঁদপুর প্রতিনিধি
৫ আগস্ট ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৮:২২ অপরাহ্ন
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় ৩ দিন ধরে স্বামী সুভাষ চন্দ্র দাস (৬৫)-এর লাশ পাহারা দিয়ে রাখেন স্ত্রী। ৩ দিন পর মঙ্গলবার মৃতদেহটি সৎকার করা হয়েছে। করোনা উপসর্গে মৃত্যু হওয়ায় তিনি মৃত্যুর বিষয়টি গোপন রেখেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ। মৃত ব্যক্তি হাজীগঞ্জ বাজারের ডিগ্রি কলেজ রোডের জমিদারবাড়িতে বসবাস করতেন। হাজীগঞ্জ পৌর এরাকার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুমন তপদার জানান, শনিবার হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ রোডের একটি বাসায় সুভাষ চন্দ্র দাস মারা যায়। মৃত্যুর পর তার স্ত্রী বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় ৩ দিন ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখেন। মঙ্গলবার বিকালে পার্শ্ববর্তীরা বিষয়টি টের পেয়ে ঘরের দরজা খুলে দেখেন সুভাষের মৃতদেহ পড়ে আছে আর পাশে স্ত্রী বসে আছেন। তাদের এক ছেলে দুই মেয়ে সবাই ঢাকা থাকেন। কিন্তু এমন ঘটনা সম্পর্কে সন্তানদের মা কিছুই জানায়নি। প্রত্যক্ষদর্শী রাজন সাহা ও পার্থ সাহা বলেন, তাদের ঘরের দরজা কয়েকদিন ধরে বন্ধ দেখতে পাই। আমরা এগিয়ে দেখি ভেতর থেকে গন্ধ বের হচ্ছে। দরজা খোলার জন্য বললে তেমন কোনো সাড়া না পেয়ে আমরা দরজা ভেঙে ফেলি। ঘরে ঢুকে দেখি কাপড়ে মোড়ানো স্বামীর লাশ পড়ে আছে, পাশে তার স্ত্রী বসে আছেন। পরে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুনুর রশীদ, ওসি (তদন্ত) ইব্রাহীম খলিল ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তি করোনা উপসর্গে মারা যায়। কিন্তু জানাজানি হলে সমস্যা হতে পারে এমন ভয়ে তার স্ত্রী মৃত লাশ নিয়ে ৩ দিন ঘরের দরজা আটকে পাশে বসেছিল। তবে ওই নারী মানসিক প্রতিবন্ধী বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে, ওই এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে প্রায় অর্ধশত মানুষ করোনায় আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তি করোনা উপসর্গে মারা যায়। কিন্তু জানাজানি হলে সমস্যা হতে পারে এমন ভয়ে তার স্ত্রী মৃত লাশ নিয়ে ৩ দিন ঘরের দরজা আটকে পাশে বসেছিল। তবে ওই নারী মানসিক প্রতিবন্ধী বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে, ওই এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে প্রায় অর্ধশত মানুষ করোনায় আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।