দেশ বিদেশ
‘জিনের বাদশা’ সেজে ৬০ লাখ টাকা প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩
স্টাফ রিপোর্টার
৫ আগস্ট ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৮:১১ অপরাহ্ন
‘জিনের বাদশা’ পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি’র সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মূল হোতা মো. আল আমিন, মো. রাসেল ও মো. সোহাগ। মুক্তা ধর বলেন, রোগ মুক্তির আশায় টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন দেখে ‘জিনের বাদশা’কে ফোন করেন চট্টগ্রামের এক নারী। ওই নারীর স্বামী বিদেশ থাকেন। তার দুরারোগ্য ব্যাধি ছিল। ফোন করলে ভুক্তভোগী নারীকে বলা হয়, তার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। জিনের বাদশা নামধারী চক্রটি ওই নারীকে বাগে আনার জন্য প্রথমে ৯৯৯ টাকা নেয়। এরপর বিভিন্ন ধাপে ‘জিনের বাদশা’র সঙ্গে কথা বলে দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় প্রায় ২২ লাখ টাকা খোয়ান ওই নারী। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রিয়জনের ক্ষতির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আত্মসাৎ করতো। গত ৬ মাসে চক্রটি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরপর ওই নারী প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে চট্টগ্রামের খুলশি থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে জিনের বাদশা পরিচয় দানকারী তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তিনি বলেন, জয়যাত্রা টিভিসহ বিভিন্ন অনলাইনে প্ল্যাটফরমে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেয়া হতো। জিনের বাদশা পরিচয়দানকারী মো. আল আমিন বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফরমসহ কেবল নেটওয়ার্কের লোকাল চ্যানেলে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করা, বিদেশে যাওয়ার সুব্যবস্থা করা, দাম্পত্যকলহ দূর করা, বিয়েতে বাধা দূর করা, অবাধ্যকে বাধ্য করা, চাকরিতে পদোন্নতি, কমদামে স্বর্ণ পাওয়াসহ সমস্যা সমাধানের জন্য বিজ্ঞাপন দিতো। মুক্তা ধর বলেন, গত ৬ মাসে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রতারক চক্রটির বিরুদ্ধে ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের জব্দ করা ব্যাংক হিসাবে ১২ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে তদন্ত করলে এর পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা হতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান ও সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।