বাংলারজমিন
আড়িয়াল খাঁ নদে বিলীন শতাধিক ঘরবাড়ি
সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
৫ আগস্ট ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৭:১৮ অপরাহ্ন
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদে পানি কিছুটা কমলেও ব্যাপক এলাকাজুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত ১৫ দিনে অব্যাহত ভাঙনের কারণে চরনাছিরপুর ইউনিয়নের মফিজউদ্দিন হাজীর কান্দি, ওয়াহেদ জমাদ্দারের কান্দি, হালিম হাওলাদারের কান্দি, নাজির মাহমুদ হাজীর কান্দি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি, প্রায় শতাধিক একর ফসলি জমির বোনা আউশ ও আমন ধান এবং মূল্যবান গাছপালাসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ভাঙন কবলিত এলাকা হচ্ছে চরমানাইর ইউনিয়নের আদেলউদ্দিন মোল্লার কান্দি, চর অর্জুন পট্টি, আমির খাঁর কান্দি, রহমত উল্লাহ মাতুব্বর এর কান্দি, এবং ঢেউখালি ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া ঘাট এলাকা। ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে ওই এলাকার লোকজন বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়াও ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে মফিজউদ্দিন হাজির কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিয়ারচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ বহু ঘরবাড়ি ও নানা স্থাপনা। এতে আতঙ্কে আছে চরাঞ্চলের হাজারো পরিবার। মফিজউদ্দিন কান্দি গ্রামের শামসুদ্দিন মুন্সি বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি নদী ভাঙনের শিকার হয়। ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
ভাঙন রোধে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, ভাঙন রোধে আমরা প্রাথমিকভাবে ঢেউখালী ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া ঘাট এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রম চলমান রেখেছি। চরনাছিরপুর ইউনিয়নে ভাঙন কবলিত এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ভাঙন রোধে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, ভাঙন রোধে আমরা প্রাথমিকভাবে ঢেউখালী ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া ঘাট এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রম চলমান রেখেছি। চরনাছিরপুর ইউনিয়নে ভাঙন কবলিত এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।