শেরপুরে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশন

মোবাইলে সাড়ে ৩ বছর প্রেমের সম্পর্কের পর শ্রীমতি ডলি রানী বিশ্বাস থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মোছা. নিপা আক্তার (২২) প্রেমিক রাকিবুল হোসেন রাকিব (২৩)কে বিয়ে করেন। কিন্তু রাকিবুল তাকে স্ত্রীর মর্যাদায় না দেয়ায় শেরপুর শহরতলির দুবলাগাড়ি স্বামীর বাড়িতে অনশনে অবস্থান নিয়েছেন নিপা। জানা যায়, শেরপুর উপজেলার ১০নং শাহবন্দেগী ইউনিয়নের দুবলাগাড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলাম রফিকের পুত্র রাকিবের সঙ্গে বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার জামির বাড়িয়া গ্রামের শ্রী শশী কান্ত বিশ্বাসের মেয়ে শ্রীমতি ডলি রানী বিশ্বাসের মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সাড়ে ৩ বছর প্রেম শেষে গত বছরের ১৯শে আগস্ট ডলি রানী তার পিতা-মাতাকে না জানিয়ে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করেন রাকিবকে। বিয়ের পর তারা সংসারে মিলিত হয় বগুড়া শহরের নামাজগড় একটি ভাড়া বাসায়। সেখানে বেশ কিছুদিন থাকার পর রাকিব নিপাকে অস্বীকার করে চলে আসে শেরপুরে। সেইসঙ্গে রাকিব তার পিতা-মাতার হুকুমে বাড়িতে এসে বিয়ের কথা গোপন রেখে আবারও নতুন করে বিয়ে করে। এ ঘটনা জানাজানি হলে নিপা তার স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে গত ১লা আগস্ট থেকে বগুড়ার শেরপুর দুবলাগাড়ি গ্রামে রাকিবের বাড়িতে অনশনে বসে। পরে সেখানে তাকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে শেরপুর থানায় অভিযোগ দেয়া হলে স্বামী রাকিব হোসেন, তার পিতা রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন আত্মগোপনে চলে যায়। এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটি যদি পারিবারিক আদালতে বিচারের জন্য মামলা দায়ের করেন তবে ভালো হয়। নিপা আক্তার জানায়, স্বামীর ঘর ছাড়া আমার দুনিয়াতে আর কোনো ঠাঁই নাই। কারণ আমি নিজেই ধর্ম ত্যাগ করে বিয়ে করেছি।