বাংলারজমিন
এ কেমন নিষ্ঠুরতা...
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
৪ আগস্ট ২০২১, বুধবার, ৭:১৬ অপরাহ্ন
রাতের আঁধারে ফয়সল নামে এক কৃষকের লিজকৃত প্রায় এক একর কৃষি জমিতে লাগানো লাউ গাছের গোড়া কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জগন্নাথপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আজাদ মিয়ার বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন ফয়সল আহমদ নামের এক কৃষক। ওই বাড়িতে বসবাস করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা জাতের শাক-সবজি সাফল্যের সঙ্গে চাষ করে আসছেন। চাষ করা এসব শাক-সবজি জেলা সদরের বিভিন্ন হাটে বিক্রি হয়ে থাকেন। এ বছর বাড়ির আশপাশে স্থানীয়দের কাছ থেকে লিজ নিয়ে প্রায় এক একর কৃষি জমির উপর শীতকালীন সবজি লাউ লাগালে তাতে লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়। গতকাল রাতে দুর্বৃত্তরা বাঁশের বেড়া ভেঙে ক্ষেতে প্রবেশ করে প্রতিটি লাউ গাছের গোড়া কেটে দেয়। ধ্বংস হয়ে যায় পুরো লাউ ক্ষেত। স্ত্রীর গহনা বিক্রি আর লোনের টাকা দিয়ে কৃষক ফয়সল ও তার সহযোগী কৃষি শ্রমিক হোসেন মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে লাউ ক্ষেতে প্রথমে চারা রোপণ করেন। ৩ মাসের বেশি সময় নিজেদের ঘাম আর শ্রম দিয়ে গড়ে তোলা লাউ ক্ষেতে ব্যয় হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কৃষক ফয়সল। কান্না জড়িত কণ্ঠে ফয়সল আহমদ জানান, ৩ মাস ধরে ৪ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করতেন লাউ ক্ষেতে। স্ত্রীর গহনা বিক্রি, গরু বিক্রি আর লোন নিয়ে তিলে তিলে গড়ে তোলা তার সব স্বপ্নই শেষ। আমার কারো সঙ্গে শত্রুতা নেই। কে বা কারা আমার এই ক্ষতি করল তাও জানা নেই। তিনি জানান, গত সোমবার রাত ১২টার দিকে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘুম থেকে উঠে লাউ ক্ষেতে গিয়ে দেখেন লাউ ক্ষেতের বাঁশের বেড়া ভেঙে প্রতিটি লাউয়ের গোড়া কেবা কারা কেটে দেয়। তিনি আরও জানান ৪ বছর আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও তাতে কোনো প্রতিকার পাইনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী ক্ষতিগ্রস্ত লাউ ক্ষেত পরিদর্শন শেষে জানান, জগন্নাথপুর গ্রামে ফয়সল আহমদ নামে একজন কৃষক লাভের আশায় লাউ ক্ষেত করেছিলেন। খুব সুন্দর ফসল হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য কেবা কারা রাতে লাউগাছগুলো কেটে দেয়। এতে তার পুরো প্রকল্পই নষ্ট হয়ে যায়। ওই কৃষকের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন আমরা পরবর্তীতে কৃষি ঋণ প্রাপ্তিসহ সব ধরনের কৃষি সহযোগিতা করব। মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ছিনুল হক জানান, বিষয়টি নিয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে খোঁজ নিয়ে পরবর্তীতে আইনগত প্রদক্ষেপ নেয়া হবে।
জানা গেছে, জগন্নাথপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আজাদ মিয়ার বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন ফয়সল আহমদ নামের এক কৃষক। ওই বাড়িতে বসবাস করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা জাতের শাক-সবজি সাফল্যের সঙ্গে চাষ করে আসছেন। চাষ করা এসব শাক-সবজি জেলা সদরের বিভিন্ন হাটে বিক্রি হয়ে থাকেন। এ বছর বাড়ির আশপাশে স্থানীয়দের কাছ থেকে লিজ নিয়ে প্রায় এক একর কৃষি জমির উপর শীতকালীন সবজি লাউ লাগালে তাতে লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়। গতকাল রাতে দুর্বৃত্তরা বাঁশের বেড়া ভেঙে ক্ষেতে প্রবেশ করে প্রতিটি লাউ গাছের গোড়া কেটে দেয়। ধ্বংস হয়ে যায় পুরো লাউ ক্ষেত। স্ত্রীর গহনা বিক্রি আর লোনের টাকা দিয়ে কৃষক ফয়সল ও তার সহযোগী কৃষি শ্রমিক হোসেন মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে লাউ ক্ষেতে প্রথমে চারা রোপণ করেন। ৩ মাসের বেশি সময় নিজেদের ঘাম আর শ্রম দিয়ে গড়ে তোলা লাউ ক্ষেতে ব্যয় হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কৃষক ফয়সল। কান্না জড়িত কণ্ঠে ফয়সল আহমদ জানান, ৩ মাস ধরে ৪ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করতেন লাউ ক্ষেতে। স্ত্রীর গহনা বিক্রি, গরু বিক্রি আর লোন নিয়ে তিলে তিলে গড়ে তোলা তার সব স্বপ্নই শেষ। আমার কারো সঙ্গে শত্রুতা নেই। কে বা কারা আমার এই ক্ষতি করল তাও জানা নেই। তিনি জানান, গত সোমবার রাত ১২টার দিকে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘুম থেকে উঠে লাউ ক্ষেতে গিয়ে দেখেন লাউ ক্ষেতের বাঁশের বেড়া ভেঙে প্রতিটি লাউয়ের গোড়া কেবা কারা কেটে দেয়। তিনি আরও জানান ৪ বছর আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও তাতে কোনো প্রতিকার পাইনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী ক্ষতিগ্রস্ত লাউ ক্ষেত পরিদর্শন শেষে জানান, জগন্নাথপুর গ্রামে ফয়সল আহমদ নামে একজন কৃষক লাভের আশায় লাউ ক্ষেত করেছিলেন। খুব সুন্দর ফসল হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য কেবা কারা রাতে লাউগাছগুলো কেটে দেয়। এতে তার পুরো প্রকল্পই নষ্ট হয়ে যায়। ওই কৃষকের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন আমরা পরবর্তীতে কৃষি ঋণ প্রাপ্তিসহ সব ধরনের কৃষি সহযোগিতা করব। মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ছিনুল হক জানান, বিষয়টি নিয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে খোঁজ নিয়ে পরবর্তীতে আইনগত প্রদক্ষেপ নেয়া হবে।