খেলা

লকডাউনের বাবার কাজ বন্ধ

রিকশা চালাচ্ছে শিশু শিক্ষার্থী

মো. আবু শাহেদ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে

৪ আগস্ট ২০২১, বুধবার, ৬:৫৬ অপরাহ্ন

হাটহাজারীতে অভাবের তাড়নায় এক শিশু শিক্ষার্থী রিকশা চালাচ্ছে। ১২ বছরের শিশুটির নাম ইয়াছিন। যে বয়সে বাবা-মায়ের আদর আর বই-খাতা নিয়ে স্কুলে থাকার কথা সেই বয়সে সে রিকশাচালক। ভাগ্যবিড়ম্বিত শিশুটি পরিবারের আর্থিক টানাপড়েনের সংসারে অর্থের জোগান দিতে রিকশা চালাচ্ছে। দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে গতকাল কথা হয়, এই শিশু শিক্ষার্থী ইয়াছিনের সঙ্গে। তার বাড়ি পৌরসভার আলীপুর গ্রামে। বাড়ির পাশে স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো সে। অটোপাশে ষষ্ঠ শ্রেণিতেও উঠেছে। কিন্তু করোনায় লকডাউনে দু’মুঠো খাবার জোটে না! লেখাপড়ার আগ্রহ থাকলেও অভাবের কারণে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আর বিদ্যালয়ে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। ইয়াছিন জানায়, বছর খানেক আগে মা মারা গেছেন। বাবা নিজেও একজন রিকশাচালক। কিন্তু করোনায় লকডাউনের কারণে বাবাকে পুলিশ রিকশা চালাতে দেয় না। আর আমাকে পুলিশ কিছু বলে না, তাকিয়ে থাকে! বয়সে ছোট বলে অনেকে আমার রিকশায় ওঠে না। তারা বলে আমি ছোট, রিকশা ফেলে দেবো! আসলে আমারটা তো অটোরিকশা, চালাইতেও তেমন কষ্ট হয় না। কষ্ট না করলে খাবো কি? ছোট বোনটা বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষা করে।
করোনার লকডাউনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রিকশা চালায় বলে ইয়াছিন জানায়। সারাদিন কাজ করে পরদিন বিছানা থেকে উঠতে পারি না। তারপরও সকাল থেকে হাটহাজারী বাজার, বাসস্ট্যান্ড, কলেজ গেট, কাচাড়ি সড়ক, মাদ্রাসা গেটসহ পৌরসদরের অলিতে গলিতে রিকশা চালাতে হয়। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় তাই মাস্ক পরিনা। সারাদিনে ৫-৬শ’ টাকা ইনকাম হয়। বাবাকে রিকশার ভাড়া দেই ৩০০ টাকা, বাকিগুলো নিয়ে সংসার চলে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status