অনলাইন

দিনভর জাল ফেলেও জুটছেনা ইলিশ

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

৩ আগস্ট ২০২১, মঙ্গলবার, ৪:৩২ অপরাহ্ন

ভরা মৌসুমেও কাঙিক্ষত ইলিশের দেখা মিলছে না পায়রা নদীতে। আর যা মিলছে তাতে উঠছে না ট্রলারের খরচ। ফলে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন জেলেরা।

পটুয়াখালী উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের পায়রাকুঞ্জ ঘাটে সরজমিনে দেখা যায়, চলতি মৌসুমে ইলিশ শিকারের আশায় প্রতিদিনই জাল, নৌকা, ট্রলার নিয়ে দল বেধে নদীতে ছুঁটছেন জেলেরা। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নদী চষে বেড়ালেও মিলছেনা কাঙিক্ষত ইলিশ।

এলাকার জেলে মোসারেফ আকন ও মালেক সিকদার বলেন, ইলিশের ভরা মৌসুমে প্রতিদিনই আমরা ৪-৫ জন নদীতে যাই। গড়ে তিন চারটা ইলিশ পাই। যার মূল্য এক হাজার টাকার বেশি না কিন্তু ট্রালার ও তেলের খরচের পর তিন-চারশ’ টাকা। যা দিয়ে পরিবারের বাজারই হয় না। আমাদের একমাত্র পেশা ইলিশ ধরে বিক্রি করা। এই ভরা মৌসুমে মাছ ধরেই আমরা সারাবছরের আয়-রোজগার করি। তাই এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে নৌকা ও জাল কিনে নদীতে নেমেছি। কিন্তু সারা দিন জাল ফেলেও মাছ না পাওয়ায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

জেলে সোহরাব ফকির বলেন, লকডাউনের মধ্যে আমরা অন্য কোন কাজও করতে পারি নাই। সরকারিভাবে যে সাহায্য পেয়েছি তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এখন আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তানজিমুল ইসলাম বলেন, নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় ইলিশের সংঙ্কট রয়েছে। এ ছাড়াও অবৈধ বেহুন্দী জালের মাধ্যমে পোনা মাছ নিধন, নদীতে বড় বড় চর জেগে ওঠা ও নদীর মুখ মরে যাওয়ার কারনে ইলিশ মাছ অবাধে যাতায়াত করতে পারছে না। ফলে ইলিশের প্রজনন কম হচ্ছে। তবে কিছুদিনের মধ্যে পায়রা নদীতে আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আমি আশাবাদী।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status