মত-মতান্তর
রাতের রাজা কারা?
ওমর শরীফ
৩ আগস্ট ২০২১, মঙ্গলবার, ১২:২৪ অপরাহ্ন
এমনিতে খুব দুঃসহ এক সময়। প্রতিদিন মৃত্যুর স্কোর বোর্ড দেখে ক্লান্ত। কবে এই পরিস্থিতি পাল্টাবে বলতে পারেন না কেউই। এমন কঠিন এক সময়েও ভিন্ন কিছু খবর চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। দুই নারীর গ্রেপ্তারের ঘটনা ফলাও করে প্রচার পেয়েছে ঢাকার মিডিয়ায়। গোয়েন্দা পুলিশ তাদের বাসা থেকে উদ্ধার করেছে মদ, ইয়াবা, সিসা। বলা হচ্ছে, তারা মডেল কন্যা। তারা রাতের রানী। দিনের বেলায় ঘুমান। রাতে বাসায় আয়োজন করেন পার্টির। উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের বাসায় ডেকে নেন। তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি-ভিডিও ধারণ করে রাখেন। পরবর্তীতে এসব ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করেন।
ইতিমধ্যে ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম মৌ নামে ওই দুই নারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ তাদের রিমান্ডেও নিয়েছে। ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা অবশ্য অতীতে নানা কর্মকা-ের জন্য আলোচিত ছিলেন। অন্যদিকে, মরিয়ম মৌ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঢাকার অভিজাত পাড়ায় অনেক কিছুই আমাদের সাধারণের ধারণার বাইরে। খুব কম ঘটনাই প্রকাশ্যে আসে। কিছু দিন আগে ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনির অভিযোগ ও মামলা ঘিরে তোলপাড় হয়ে গেল। সে ঘটনার রেশ সম্ভবত এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে খবরে এলেন দুই কথিত নারী মডেল। কিন্তু কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনও খোলাসা নয়। তাদের বাসায় মদ, ইয়াবা আর সিসা থাকার ছবি প্রকাশ পেয়েছে। আজকের সংবাদপত্রে বিস্তারিত এসেছে তাদের উশৃঙ্খল জীবনের কথা। কীভাবে ক্লাব থেকে ছেলেদের তারা বাসায় নিয়ে যেতেন সে বিবরণীও আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু সেই ছেলে বা পুরুষরা কারা তা এখনো খোলাসা নয়। ব্ল্যাকমেইলের শিকার পুরুষরা কোনো মামলা এখন পর্যন্ত দায়ের করেননি। তারা কি নাবালক না সাবালক তাও স্পষ্ট নয়। খুব কম বয়সী হলেতো তারা ঢাকার অভিজাত ক্লাবেও গভীর রাতে প্রবেশ করতে পারার কথা নয়।
শত শত বছর ধরেই এটা বলা হয়ে থাকে, আইনের চোখে সবাই সমান। যদিও অতীতে দেখা গেছে, কেউ কেউ হয়তো একটু বেশিই সমান। নারী বলেই কাউকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়ার সুযোগ নেই। আবার ফৌজদারী অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযোগও স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। আইনের সমতার বিধানের প্রয়োগের মাধ্যমেই কেবল আইনের শাসন কায়েম সম্ভব।
ইতিমধ্যে ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম মৌ নামে ওই দুই নারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ তাদের রিমান্ডেও নিয়েছে। ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা অবশ্য অতীতে নানা কর্মকা-ের জন্য আলোচিত ছিলেন। অন্যদিকে, মরিয়ম মৌ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঢাকার অভিজাত পাড়ায় অনেক কিছুই আমাদের সাধারণের ধারণার বাইরে। খুব কম ঘটনাই প্রকাশ্যে আসে। কিছু দিন আগে ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনির অভিযোগ ও মামলা ঘিরে তোলপাড় হয়ে গেল। সে ঘটনার রেশ সম্ভবত এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে খবরে এলেন দুই কথিত নারী মডেল। কিন্তু কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনও খোলাসা নয়। তাদের বাসায় মদ, ইয়াবা আর সিসা থাকার ছবি প্রকাশ পেয়েছে। আজকের সংবাদপত্রে বিস্তারিত এসেছে তাদের উশৃঙ্খল জীবনের কথা। কীভাবে ক্লাব থেকে ছেলেদের তারা বাসায় নিয়ে যেতেন সে বিবরণীও আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু সেই ছেলে বা পুরুষরা কারা তা এখনো খোলাসা নয়। ব্ল্যাকমেইলের শিকার পুরুষরা কোনো মামলা এখন পর্যন্ত দায়ের করেননি। তারা কি নাবালক না সাবালক তাও স্পষ্ট নয়। খুব কম বয়সী হলেতো তারা ঢাকার অভিজাত ক্লাবেও গভীর রাতে প্রবেশ করতে পারার কথা নয়।
শত শত বছর ধরেই এটা বলা হয়ে থাকে, আইনের চোখে সবাই সমান। যদিও অতীতে দেখা গেছে, কেউ কেউ হয়তো একটু বেশিই সমান। নারী বলেই কাউকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়ার সুযোগ নেই। আবার ফৌজদারী অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযোগও স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। আইনের সমতার বিধানের প্রয়োগের মাধ্যমেই কেবল আইনের শাসন কায়েম সম্ভব।