প্রথম পাতা
বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়বে কিনা সিদ্ধান্ত আজ
স্টাফ রিপোর্টার
৩ আগস্ট ২০২১, মঙ্গলবার, ৮:১৮ অপরাহ্ন
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বসছে সরকারের নীতিনির্ধারকরা। আজ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মোট ১২ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এসব মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ১৬ জন সচিব এতে অংশ নেবেন। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা সভায় অংশ নেবেন। সংক্রমণ ঠেকাতে অন্তত ১০ দিন বিধিনিষেধ বাড়ানোর জন্য গত শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সুপারিশ করা হয়। এদিন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, যেভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, আমরা কীভাবে এ সংক্রমণ সামাল দেব? রোগীদের কোথায় জায়গা দেব? তিনি আরও বলেন, সংক্রমণ যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে কি পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব? অবস্থা খুবই খারাপ হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এসব বিবেচনাতেই আমরা বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার এখনো ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে। তবে জীবন-জীবিকার স্বার্থে কিছুক্ষেত্রে শিথিলতাও থাকতে পারে। এ বিষয়ে এ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস সংক্রমণে গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে আরও ২৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৯৮৯ জন। মোট ৫৩ হাজার ৪৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। আগের দিন ২৩১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১৪ হাজার ৮৪৪ জন। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আগামী ৫ই আগস্টের পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, হোটেল রেস্তরাঁ স্বাভাবিক নিয়মে খোলা রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ রেস্তরাঁ মালিক সমিতি। সোমবার সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রেস্টুরেন্ট মালিকরা বলেছেন, পুরোপুরি খোলা সম্ভব না হলে অর্ধেক আসনে বসিয়ে হোটেল-রেস্তরাঁ চালু করতে দেয়া হোক। তারা বলছেন, চলমান বিধিনিষেধে রেস্তরাঁগুলো শুধু অনলাইন/টেকওয়ের মাধ্যমে খাবার বিক্রি করতে পারছে। কিন্তু এ সেবার অন্তর্ভুক্ত রেস্তরাঁর সংখ্যা সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ শতাংশ। এ কারণে সারা দেশে প্রায় ৮০ শতাংশ রেস্তরাঁ বন্ধ রয়েছে। বন্ধ থাকায় দিশাহারা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে এ খাতের উদ্যোক্তারা। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জানান, সরকারের কাছে তারা বারবার আবেদন জানিয়ে আসছেন স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক গণপরিবহন খুলে দেয়ার জন্য। কিন্তু তারা কোনো অগ্রগতি দেখছেন না। গণপরিবহন মালিকদের সঙ্গে এ নিয়ে সরকারের কোনো বৈঠকও হয়নি বলে জানান তিনি।