অলিম্পিক নারী হকিতে ভারতের ইতিহাস

অলিম্পিক নারী হকিতে ভারত প্রথম অংশ নেয় ১৯৮০ সালে। এরপর লম্বা সময় সুযোগ পায়নি ভারত। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে দ্বিতীয়বার অলিম্পিকে জায়গা করে নেয় তারা। কোনো ম্যাচ না জিতে ১২ দলের মধ্যে সবার শেষে থেকে আসর শেষ করে। পাঁচ বছর পর ভারতের নারী দল গড়েছে ইতিহাস। অলিম্পিকে ভারতের নারী হকি দলের জয় ছিল মাত্র একটি। সেটা ১৯৮০ সালে। সেই ভারত টোকিওতে উঠে গেছে সেমিফাইনালে। কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ভারত নারী হকি দল।
অলিম্পিকে তিনবারের সোনাজয়ী অস্ট্রেলিয়া নারী দল। ভারতের বিপক্ষে তাই ফেভারিট ছিল তারাই। ‘এ’ গ্রুপে দুই জয়ে চতুর্থ দল হিসেবে শেষ আটে নাম লেখায় ভারত। অন্যদিকে ‘বি’ গ্রুপে সেরা হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপ পর্বে ৫ ম্যাচের সবকটিতেই জেতে অস্ট্রেলিয়া নারী দল। সোমবার দ্বিতীয় কোয়ার্টারে জয়সূচক গোল পায় ভারত। পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করেন গুরজিত কর।
আগের দিন ভারতের পুরুষ দল নাম লেখায় সেমিফাইনালে। ৪১ বছর পর অলিম্পিকের পুরুষ হকিতে সেমিফাইনালে ওঠে ভারত। নারী দলও উঠল অলিম্পিক হকির শেষ চারে। ভারতীয় হকির ইতিহাসে পুরুষ ও নারী দল প্রথমবার উঠেছে অলিম্পিকের সেমিফাইনালে। বুধবার সেমিফাইনালে ভারত নারী দলের প্রতিপক্ষ ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে রুপাজয়ী আর্জেন্টিনা। পুরুষ দলের প্রতিপক্ষ বেলজিয়াম। যারা ২০১৬ রিও অলিম্পিকে জিতেছে রৌপ্য পদক।
বিশ্বরেকর্ডধারীকে হারিয়ে ইতিহাসে কামাচো-কুইন
মেয়েদের ১০০ মিটার হার্ডলসে বিশ্বরেকর্ডধারী যুক্তরাষ্ট্রের কেন্ড্রা হ্যারিসন। টোকিও অলিম্পিকেও ফেভারিট ছিলেন তিনি। মার্কিন তারকাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি ছিলেন জেসমিন কামাচো-কুইন। চলতি বছর দারুণ কয়েকটি পারফরমেন্স করেছেন তিনি। ফাইনালে হ্যারিসনকে পেছনে ফেলে সোনা জিতে নিয়েছেন কামাচো-কুইন। নতুন অলিম্পিক রেকর্ড গড়েছেন জেসমিন। টোকিওর অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সোমবার ১২ দশমিক ৩৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হন তিনি। টোকিওর আসরে এই প্রথম পদক জিতল পুয়ের্তো রিকো। স্বর্ণ পদক জিতে নিজ দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন কামাচো-কুইন। অলিম্পিকের অ্যাথলেটিক্সে প্রথমবার সোনা জয়ের উল্লাসে ভেসেছে পুয়ের্তো রিকো।
পুয়ের্তো রিকোর ইতিহাসে দ্বিতীয় অ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিকে সোনা জিতলেন এই ২৪ বছর বয়সী কামাচো-কুইন। রিও ডি জেনিরোর ২০১৬ আসরে দেশটিকে প্রথম অলিম্পিক সোনা টেনিস ইভেন্ট থেকে এনে দিয়েছিলেন মনিকা পুইগ।
২০১৬ সালে লন্ডনের ডায়মন্ড লীগে ১২ দশমিক ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়া হ্যারিসন টোকিওতে পেয়েছেন রুপা; সময় নিয়েছেন ১২ দশমিক ৫২ সেকেন্ড। এ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন মেগান ট্যাপার; ১২ দশমিক ৫৫ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন জ্যামাইকার এই হার্ডলার।
ব্যাডমিন্টনে ইন্দোনেশিয়ার চমক
অলিম্পিক ব্যাডমিন্টনের নারী দ্বৈতে কখনই সোনার পদক জিতেছিল না ইন্দোনেশিয়া। অবাছাই জুটি হিসেবে অলিম্পিকে খেলতে নামা গ্রেসিয়া পলি ও আপ্রিয়া রাহায়ু ফাইনালে উঠে সবাইকে চমকে দেন। স্বর্ণ পদকের লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল চতুর্থ বাছাই চীনা জুটি চেন কিং চেন ও জিয়া ই ফান। ফেভারিট প্রতিপক্ষকে সরাসরি সেটে হারিয়ে বাজিমত করেন পলি ও রাহায়ু। ২১-১৯ ও ২১-১৫ গেমে ম্যাচ জিতে নেন তারা। টোকিওতে সোনা জিতে দারুণ কীর্তিতে চীনের পাশে বসলো ইন্দোনেশিয়া। চীনের মতো অলিম্পিক ব্যাডমিন্টনের প্রতিটি ডিসিপ্লিনে স্বর্ণ জেতার নজির গড়ল ইন্দোনেশিয়া।