কলাপাড়ায় সড়কগুলোর বেহাল দশা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ৩৭ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ কারণে উপজেলা সদরের সঙ্গে ইউনিয়নগুলোর সড়ক যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। উপজেলা এলজিইডি’র তথ্য মতে, পাটুয়াহাট- ধানখালী কলেজ ২.২৩ কিলোমিটার, মহিপুর- নিজামপুর তালতলী খেয়াঘাট ৪.৫ কিলেমিটার, চাপলীবাজার- আলীপুরবাজার ১১.৯৫ কিলোমিটার, বানাতীবাজার-উওর লালুয়া লোন্দাঘাট ৫.৫৫ কিলোমিটার, লালুয়া- ধানখালী উওর লালুয়ার বাজার ২.৫ কিলোমিটার তারিকাটা- নিশানবাড়ীয়া গামরবুনিয়া ৬.৫ কিলোমিটার কলাপাড়া-মধ্য টিয়াখালীর বাজার ৪.২ কিলোমিটার, মহিপুর খালগোড়া-ভারানীরপুল ৬ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। এ ছাড়া ড্রেনেজ সমস্যার কারণে পানি জমে সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সরজমিন কয়েকটি রাস্তা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কগুলো চলাচলের একবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চাপলীবাজার-আলীপুর সড়কের অবস্থা খারাপ থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকসহ পথচারীরা। গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে বিপাকে পড়ছেন অনেক পর্যটক। এই সড়ক দিয়ে পর্যটন এলাকা গঙ্গামতি, মিস্ত্রিপাড়া, কুয়াকাটা এলাকায় ঘুরতে গিয়ে তারা বিড়ম্বনায় পড়েন। মহিপুর-আলীপুর সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। পাটুয়াহাট- ধানখালী কলেজ পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা একেবারেই বেহাল। বানাতি বাজার থেকে উওর লালুয়া পর্যন্ত রাস্তার ইট ও খোয়া উঠে মাটির রাস্তায় পরিণত হয়েছে। মহিপুর-নিজামপুর তালতলী খেয়াঘাট রাস্তায় দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ইটের খোয়া অনেক জায়গা নেই। লালুয়ার বাজার ওষুধ ব্যবসায়ী রেদওয়ান জানান, লালুয়ার বাজারে মূল রাস্তার পাকা অংশ ভেঙে গিয়ে মাটি বেরিয়ে পড়েছে। রাস্তা সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। লক্ষ্মীবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা ফয়সাল জানান, চাপলীবাজার থেকে আলীপুর বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার করা হয়নি। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে মনে হয় সাগরের মাঝে ট্রলার নিয়ে কোথাও যাচ্ছি।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মহর আলী জানান, যেসব রাস্তা চলাচলের জন্য অনুপযোগী তা সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করা হবে।