বাংলারজমিন
দশমিনা পটুয়াখালী সড়ক যেন মরণ ফাঁদ
দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
২ আগস্ট ২০২১, সোমবার, ৮:১০ অপরাহ্ন
দশমিনা উপজেলা সদর থেকে পটুয়াখালী লোহালিয়া খেয়াঘাট পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার সড়কের দশমিনা উপজেলা অংশের ১৪ কিলোমিটার সড়কের ৭ কিলোমিটার সড়ক এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ২০০৩-০৪ অর্থবছরে ডানিডার অর্থায়নে সড়কটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করেন এলজিইডি। ওই সড়ক দিয়ে দশমিনা থেকে পটুয়াখালী, বরিশাল ও ঢাকায় প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। সড়কের দশমিনা উপজেলা অংশের মাছুয়াখালী থেকে সিকদাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, সড়কের গর্তে বর্ষার পানি-কাদা জমে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। গাড়ির হেলপার সড়কের বড় বড় গর্তে গাছের ডাল ফেলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে। সড়কে পানি জমে থাকায় মোটরসাইকেল চালকদের কাদা-পানিতে একাকার হতে হয়। দশমিনা থেকে ঢাকাগামী চেয়ারম্যান পরিবহনের ড্রাইভার আফজাল হোসেন জানান, দীর্ঘ ৪-৫ বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই ভাঙা সড়কে গাড়ি চালাচ্ছেন। দশমিনা থেকে ঢাকাগামী অন্তরা পরিবহনের ড্রাইভার মো. পলাশ জানান, গর্তে গাড়ির চাকা দেবে গেলে আর উঠানো যায় না তাই গাড়ির যাত্রী নামিয়ে গাছের ডাল ফেলে চালিয়ে যেতে হয়। তিনি আরও জানান, হেলেদুলে ৭ কিলোমিটার সড়কে গাড়ি চালিয়ে যেতে দেড় দু’ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এলজিইডি’র দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন জানান, দশমিনা অংশের মাছুয়াখালী থেকে সিকদাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কে ৪০ মিলিমিটার কার্পেটিং করে সংস্কার করার জন্য প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে একটি টিম জরিপ করার পর সড়কের টেন্ডার আহ্বান করা হবে। তিনি জানান, ২০২২ সালের জুন মাস নাগাদ সড়কটির ৭ কিলোমিটার ভাঙা অংশের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।