বাংলারজমিন
বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকার নিবন্ধন করে দিচ্ছে ‘দ্যুতি’
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২ আগস্ট ২০২১, সোমবার, ৮:১০ অপরাহ্ন
করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হলে আগে নিবন্ধন করতে হয়। কিন্তু গ্রামের অধিকাংশ মানুষ জানে না, কীভাবে নিবন্ধন করতে হয়। এই কারণে অনেকে টিকা নিতে পারছেন না। এতে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তবে তাদের এই দুশ্চিন্তা দূর করে দিয়েছে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘দ্যুতি’। এই সংগঠনের সদস্যরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘সুরক্ষা অ্যাপের’ মাধ্যমে বিনামূল্যে টিকার নিবন্ধন করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি তারা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
গত ২৬শে জুলাই থেকে সংগঠনটি এই কার্যক্রম শুরু করেছে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তারা ৮০০ তালিমপুর ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের প্রায় ৮০০ মানুষের টিকার নিবন্ধন শেষ করেছে। এতে যারা টিকা নিতে না পারায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন, তাদের টিকা পাওয়ার পথ অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। এদিকে ঘরে বসে সহজে টিকার নিবন্ধন করতে পারায় এলাকার লোকজন দ্যুতির সদস্যদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
দ্যুতির সদস্য ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে টিকা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। টিকা নিতে হলে আগে নিবন্ধন করতে হয়। কিন্তু গ্রামের অধিকাংশ মানুষ জানে না, কীভাবে নিবন্ধন করতে হয়। এই অবস্থায় গ্রামের মানুষ যাতে সহজে টিকা নিতে পারে সেজন্য তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকার নিবন্ধন করার উদ্যোগ নেয় বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দ্যুতি।
গত ২৬শে জুলাই থেকে সংগঠনের সদস্যরা টিকার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর থেকে তারা প্রতিদিন সকালে গ্রামের মানুষের বাড়িতে গিয়ে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে বিনামূল্যে নিবন্ধন করে দিচ্ছেন। তাদের এই কার্যক্রমে সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস। এরইমধ্যে তারা তালিমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম গগড়া, দ্বিতীয়ারদেহী, কোনার গগড়া, চুলারকুড়ি, বড়ময়দান, ধর্মদেহী গ্রামের প্রায় ৮০০ মানুষের নিববন্ধন শেষ করতে পেরেছেন।
গতকাল সকালে ধর্মদেহী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, দ্যুতির সদস্যরা এক বাড়িতে আরেক বাড়িতে যাচ্ছেন। তারা মানুষকে টিকা নিতে উৎসাহ করছেন। টিকার নিবন্ধন করে দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। সহজে টিকার নিবন্ধন করতে পেরে মানুষজন খুশি হচ্ছেন।
ধর্মদেহী গ্রামের বাসিন্দা নিতা রানী বিশ্বাস (৬২) ও সুধীর বিশ্বাস (৮২) বলেন, করোনার ভ্যাকসিন নিতে হলে আগে রেজিস্ট্রেশন করা লাগে। কিন্তু কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় তা আমরা জানতাম না। অনেকটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। হঠাৎ দ্যুতির সদস্যরা আমাদের বাড়িতে এলেন। তারা আমাদের করোনার টিকা গ্রহণের জন্য উৎসাহ দিয়ে ফ্রিতে টিকার রেজিস্ট্রেশন করে দিয়েছেন। এখন আমরা সহজে টিকা নিতে পারবো। এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।
দ্যুতির সদস্য পিংকু দাস বলেন, গ্রামের মানুষ যাতে সহজে করোনার টিকা নিতে পারেন সেজন্য আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন সকালে আমরা গ্রামের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে দিচ্ছি। পাশাপাশি মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া সহজে নিবন্ধন করার স্বার্থে স্থানীয় বাজারে বুথ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ বিষয়ে তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস বলেন, সামাজিক সংগঠন দ্যুতির সদসর্যা একটি মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা গ্রামের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে দিচ্ছেন। বিষয়টি জেনে আমি টিকার নিবন্ধন কার্ড প্রিন্ট করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এতে মানুষের টিকা পাওয়ার পথ সহজ হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়েও করোনার টিকা দেয়া শুরু হলে মানুষ সহজে টিকা নিতে পারবেন।
গত ২৬শে জুলাই থেকে সংগঠনটি এই কার্যক্রম শুরু করেছে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তারা ৮০০ তালিমপুর ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের প্রায় ৮০০ মানুষের টিকার নিবন্ধন শেষ করেছে। এতে যারা টিকা নিতে না পারায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন, তাদের টিকা পাওয়ার পথ অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। এদিকে ঘরে বসে সহজে টিকার নিবন্ধন করতে পারায় এলাকার লোকজন দ্যুতির সদস্যদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
দ্যুতির সদস্য ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে টিকা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। টিকা নিতে হলে আগে নিবন্ধন করতে হয়। কিন্তু গ্রামের অধিকাংশ মানুষ জানে না, কীভাবে নিবন্ধন করতে হয়। এই অবস্থায় গ্রামের মানুষ যাতে সহজে টিকা নিতে পারে সেজন্য তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকার নিবন্ধন করার উদ্যোগ নেয় বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দ্যুতি।
গত ২৬শে জুলাই থেকে সংগঠনের সদস্যরা টিকার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর থেকে তারা প্রতিদিন সকালে গ্রামের মানুষের বাড়িতে গিয়ে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে বিনামূল্যে নিবন্ধন করে দিচ্ছেন। তাদের এই কার্যক্রমে সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস। এরইমধ্যে তারা তালিমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম গগড়া, দ্বিতীয়ারদেহী, কোনার গগড়া, চুলারকুড়ি, বড়ময়দান, ধর্মদেহী গ্রামের প্রায় ৮০০ মানুষের নিববন্ধন শেষ করতে পেরেছেন।
গতকাল সকালে ধর্মদেহী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, দ্যুতির সদস্যরা এক বাড়িতে আরেক বাড়িতে যাচ্ছেন। তারা মানুষকে টিকা নিতে উৎসাহ করছেন। টিকার নিবন্ধন করে দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। সহজে টিকার নিবন্ধন করতে পেরে মানুষজন খুশি হচ্ছেন।
ধর্মদেহী গ্রামের বাসিন্দা নিতা রানী বিশ্বাস (৬২) ও সুধীর বিশ্বাস (৮২) বলেন, করোনার ভ্যাকসিন নিতে হলে আগে রেজিস্ট্রেশন করা লাগে। কিন্তু কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় তা আমরা জানতাম না। অনেকটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। হঠাৎ দ্যুতির সদস্যরা আমাদের বাড়িতে এলেন। তারা আমাদের করোনার টিকা গ্রহণের জন্য উৎসাহ দিয়ে ফ্রিতে টিকার রেজিস্ট্রেশন করে দিয়েছেন। এখন আমরা সহজে টিকা নিতে পারবো। এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।
দ্যুতির সদস্য পিংকু দাস বলেন, গ্রামের মানুষ যাতে সহজে করোনার টিকা নিতে পারেন সেজন্য আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন সকালে আমরা গ্রামের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে দিচ্ছি। পাশাপাশি মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া সহজে নিবন্ধন করার স্বার্থে স্থানীয় বাজারে বুথ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ বিষয়ে তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস বলেন, সামাজিক সংগঠন দ্যুতির সদসর্যা একটি মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা গ্রামের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে দিচ্ছেন। বিষয়টি জেনে আমি টিকার নিবন্ধন কার্ড প্রিন্ট করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এতে মানুষের টিকা পাওয়ার পথ সহজ হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়েও করোনার টিকা দেয়া শুরু হলে মানুষ সহজে টিকা নিতে পারবেন।