দেশ বিদেশ

কুশীলবরা এখনো সক্রিয়: ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার

২ আগস্ট ২০২১, সোমবার, ৮:০৯ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পনের ও একুশে আগস্টের হত্যাকাণ্ডের কুশীলবরা এখনো সক্রিয়। তারা উন্নয়ন, শান্তি ও স্বস্তির বাংলাদেশ চায় না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়া তাদের গাত্রদাহ। তারা চায় সংঘাতে জর্জরিত রক্তময় প্রান্তর। উন্নয়ন, শান্তি ও স্বস্তির বাংলাদেশ তারা চায় না। গতকাল তার বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ছিল তাদের অপমৃত্যু হয়েছে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনি, ক্ষমা করেও না। এদেশে যারা রক্তাক্ত আগস্ট ঘটিয়েছিল, যারা বেনিফিশিয়ারি তাদের বিচার প্রকৃতির আদালতেই সম্পূর্ণ হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, তিন নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড মূলত আওয়ামী লীগ ও জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতেই করা হয়েছিল। পনের আগস্ট, তিন নভেম্বর ও একুশে আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, চলমান করোনা সংকটে অসহায়, দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ালেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি সঠিক সম্মান প্রদর্শন করা হবে এবং তার আত্মা শান্তি পাবে। ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ১৫ই আগস্ট। নির্মমতার দিক থেকে এমন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের নজির পৃথিবীতে আর নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জগতে অন্যান্য হত্যাকাণ্ডে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি, টার্গেট করা হয়নি অবলা নারীকে, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে। তিনি বলেন, সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুই নন, তার সহধর্মিণী মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম মুজিবসহ নৃশংসভাবে নিহত হন পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ। ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ই আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে থাকেনি, তারা পরবর্তীতে তিন নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে জেলের অভ্যন্তরে কারাকক্ষে হত্যা করেছে। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। পনের আগস্ট প্রাইম টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রাইম টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ী নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কারখানার আশেপাশের শ্রমিকদের নিয়ে প্রথমে কারখানা চালু করবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অনেক প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের দ্রুত কাজে যোগ দেয়ার নোটিশ দিয়েছে। এতে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে লোকজন রাজধানীমুখী হচ্ছে। তাতে সংক্রমণের হার বেড়ে যেতে পারে। মন্ত্রী বলেন, একদিনের মধ্যে শ্রমিকদের ফিরে আসার নির্দেশনায় ফেরিঘাটগুলোতে রীতিমতো ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হয়। এভাবে শ্রমিকদের হঠাৎ করে ঢাকায় ফিরে আসতে পথে পথে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। এ দোষটা কার? এর দায় কে বহন করবে? যারা ভোগান্তিতে আছে তারা এক কথায় সরকারের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। কিন্তু সরকারের সঙ্গে তো ব্যবসায়ীদের এমন কথা ছিল না। এতে করোনা সংক্রমণ বিপর্যস্ত অবস্থায় যাবে এবং সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে। দেশ ও সমাজের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status