খেলা
এক অস্ট্রেলিয়ার জন্য ‘এত খরচ’!
ইশতিয়াক পারভেজ
২ আগস্ট ২০২১, সোমবার, ৭:৫১ অপরাহ্ন
হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে একটি ফ্লোরে বড় দুটি রুম ফাঁকা করে রাখা হয়েছে। সেখানে রাখা হয়েছে রুমে ব্যবহারের বিছানা, চাদর, বালিশ এমনকি বাথরুম পরিষ্কার করার সরঞ্জামসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরা যার প্রয়োজন নিয়ে যাচ্ছেন নিজেরাই। হোটেলে কোনো স্টাফের সাহায্য নিচ্ছেন না। টানা তিনদিন রুম থেকে একসঙ্গে কেউ বের হননি। অবশেষে গতকাল তারা এসেছেন মাঠে অনুশীলনে। তাদের বিশেষ দল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২ ঘণ্টা আগে এসে গোটা মাঠ ফাঁকা করেছে। যেন বাইরের কেউ প্রবেশ করতে না পারে। শুধুকি তাই, তাদের আসার পথে দেয়া হয়েছে ৩ স্তরের নিরাপত্তা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বলে কথা! তাইতো সফরে আসার জন্য তাদের শর্ত আর আবদারের শেষ ছিল না। ২১৫ রুমের এক গোটা হোটেলই ভাড়া করতে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। সেখানে বাংলাদেশ দল ও সিরিজ সংশ্লিষ্ট ও ৭০ জন হোটেল কর্মী ছাড়া আছে অজি ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরা। বলার অপেক্ষা রাখে না এই পাঁচ তারকা হোটেলের জন্য বিসিবিকে গুনতে হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন কোটি টাকা। কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, এই সিরিজের জন্য শুধু হোটেল বাবাদই ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে বিসিবিকে! বাকি আয়োজনে আরও যা খরচ হচ্ছে তা বলা যায় নিহায়ত কম নয়। ৩রা আগস্ট থেকে মাঠে গড়াবে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যার অপেক্ষায় এ দেশের ক্রিকেটভক্তরা।
২৯শে জুলাই ঢাকায় বিমানবন্দরে পা রেখে ইমিগ্রেশনও করতে হয়নি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে। বিমান থেকে নেমেই উঠেছে সরাসরি টিম বাসে। এটাও তাদের বিশেষ একটি শর্ত ছিল। তবে আসার আগে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে তাদের পাসপোর্ট জমা করে রাখতে হয়েছে। যা পরবর্তীতে পাঠানো হয়েছে হোটেলে। নিয়ম অনুসারে তিনদিন কোয়ারেন্টিনে অংশ নেয় অজিরা। সেখানে তাদের দুই দফায় করানো হয় কোভিড-১৯ টেস্ট। এরপরই তারা অনুশীলনের সুযোগ পায়।
হোটেলে যেভাবে কাটছে অজিদের দিন
কোয়ারেন্টিন শেষে গতকাল অস্ট্রেলিয়া দল রুম থেকে বের হয়েছে। সকালেই প্রতিটি রুমে দেয়া হয়েছে নাস্তা। দুপুরে নিচে নেমে হোটেল রেস্টুরেন্টে মধ্যাহ্নভোজ সেরে নিয়েছেন তারা। তবে পুরো প্রক্রিয়াতে হোটেলের কোনো কর্মীর সাহায্য নেয়া হচ্ছে না। বুফেতে সাজিয়ে রাখা খাবার নিজেরাই তুলে নিচ্ছেন। এমনকি দলের সঙ্গে থাকা সেফ তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন বলেই জানা গেছে। অন্যদিকে টিম অস্ট্রেলিয়ার জিমটাও একেবারে আলাদা। সেখানে যতদিন সফরে থাকবে সেটি শুধু তারাই ব্যবহার করবে। যেখানে কারো প্রবেশের অনুমতি নেই। আলাদা করা হয়েছে সুমিং পুলও। একটি সূত্রে জানায়, ‘অস্ট্রেলিয়া হোটেলে ওঠার আগে যে সব শর্ত দিয়েছে সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে। তবে তাদের জন্য হোটেলে কারো সাহায্য লাগছে না। নিজেরাই সব করে নিচ্ছে। তাদের খাবার দিতে হচ্ছে না, এমনকি এখন পর্যন্ত হোটেলে তাদের রুম থেকে শুরু করে টয়লেট পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া দল নিজেরা পরিষ্কার করে নিচ্ছে। মনে হয় না তারা যতদিন এখানে থাকবে হোটেলের কোনো স্টাফের সাহায্য নিবে।’
কেন এত খরচ!
কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ সময়ে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে প্রতিদিনে আয় প্রায় ১ থেকে দেড় কোটি টাকা। করোনার কারণে এখন সেটি কিছুটা হলেও কমেছে। পাঁচ তারকা এই হোটেলে মোট ২১৫টা রুমই বিসিবিকে ভাড়া নিতে হয়েছে। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশে আসার আগেই তাদের শর্ত মেনে ১০ দিন আগে থেকেই ৭০ জন হোটেল কর্মীসহ মোট ৮৫ জনকে রুম কোয়ারেন্টিনে রেখেছে বিসিবি। শুধু তাই নয়, হোটেল কর্মীদের জন্য রাখা ৭০টি রুমের ভাড়াও গুনতে হচ্ছে বিসিবিকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, ‘এই পাঁচ তারকা (ইন্টার কন্টিনেন্টাল) হোটেলে প্রতিদিনের আয় আনুমানিক ১ থেকে দেড় কোটি টাকা। এখানে ২৯শে জুলাই থেকে দুই দল উঠেছে আনুষ্ঠানিকভাবে। থাকবে ১০ই আগস্ট পর্যন্ত। এর আগে রুম কোয়ারেন্টিনে ছিল ১০ দিন আরও ৮৫ জনের মতো। সব মিলিয়ে সাধারণভাবে হিসাব করলেও ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকার প্রয়োজন।’
মাঠে টাইগারদের সঙ্গে হাতও মেলাবে না অজিরা!
স্পোর্টস রিপোর্টার: করোনার ভয়ে যেন জুবুথুবু অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। সুরক্ষা বলয়ের নামে দিয়ে যাচ্ছে একের পর এক শর্ত ও জানাচ্ছে আবদার। এরই মধ্যে অদ্ভুত কিছু আবদার নিয়ে হচ্ছে বেশ আলোচনা- সামালোচনা। গতকাল তারা যখন বিকেল চারটায় অনুশীলনে আসে তার আগে দলের প্রতিনিধিরা এসে মাঠ ফাঁকা করে ফেলেন। একই কাজ করবেন ৩রা আগষ্ট প্রথম ম্যাচের দিনও। তবে তাদের আরও দুটি অদ্ভুত শর্তের কথা জানা গেছে গতকাল। বাংলাদেশ দল পানি ছাড়া মাঠে কোন খাবার আনতে পারবে না। আর ম্যাচের পর সৌজন্যতা থেকে দুই দল যে হাত মেলায় সেটিও করতে পারবেনা। অজিদের এমন আবদারে অবাক হয়েছেন বিসিবির কয়েকজন পরিচালকও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পরিচালক বলেন, ‘ওদের এমন কিছু বিষয় আছে যা অন্যরকম।’ অন্যদিকে টাইগার ভক্ত-সমর্থকরা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এমন বাড়াবাড়ি ভালোভাবে নিচ্ছে না। অনেকেই সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে জানাচ্ছেন বিরূপ প্রতিক্রিয়া। অনেকেই রাগ হতাশা থেকে মন্তব্য করছেন- ‘মাঠের ক্রিকেটটা তাহলে অস্ট্রেলিয়া কেন ভার্চ্যুয়ালি খেলছে না!’
২৯শে জুলাই ঢাকায় বিমানবন্দরে পা রেখে ইমিগ্রেশনও করতে হয়নি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে। বিমান থেকে নেমেই উঠেছে সরাসরি টিম বাসে। এটাও তাদের বিশেষ একটি শর্ত ছিল। তবে আসার আগে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে তাদের পাসপোর্ট জমা করে রাখতে হয়েছে। যা পরবর্তীতে পাঠানো হয়েছে হোটেলে। নিয়ম অনুসারে তিনদিন কোয়ারেন্টিনে অংশ নেয় অজিরা। সেখানে তাদের দুই দফায় করানো হয় কোভিড-১৯ টেস্ট। এরপরই তারা অনুশীলনের সুযোগ পায়।
হোটেলে যেভাবে কাটছে অজিদের দিন
কোয়ারেন্টিন শেষে গতকাল অস্ট্রেলিয়া দল রুম থেকে বের হয়েছে। সকালেই প্রতিটি রুমে দেয়া হয়েছে নাস্তা। দুপুরে নিচে নেমে হোটেল রেস্টুরেন্টে মধ্যাহ্নভোজ সেরে নিয়েছেন তারা। তবে পুরো প্রক্রিয়াতে হোটেলের কোনো কর্মীর সাহায্য নেয়া হচ্ছে না। বুফেতে সাজিয়ে রাখা খাবার নিজেরাই তুলে নিচ্ছেন। এমনকি দলের সঙ্গে থাকা সেফ তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন বলেই জানা গেছে। অন্যদিকে টিম অস্ট্রেলিয়ার জিমটাও একেবারে আলাদা। সেখানে যতদিন সফরে থাকবে সেটি শুধু তারাই ব্যবহার করবে। যেখানে কারো প্রবেশের অনুমতি নেই। আলাদা করা হয়েছে সুমিং পুলও। একটি সূত্রে জানায়, ‘অস্ট্রেলিয়া হোটেলে ওঠার আগে যে সব শর্ত দিয়েছে সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে। তবে তাদের জন্য হোটেলে কারো সাহায্য লাগছে না। নিজেরাই সব করে নিচ্ছে। তাদের খাবার দিতে হচ্ছে না, এমনকি এখন পর্যন্ত হোটেলে তাদের রুম থেকে শুরু করে টয়লেট পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া দল নিজেরা পরিষ্কার করে নিচ্ছে। মনে হয় না তারা যতদিন এখানে থাকবে হোটেলের কোনো স্টাফের সাহায্য নিবে।’
কেন এত খরচ!
কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ সময়ে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে প্রতিদিনে আয় প্রায় ১ থেকে দেড় কোটি টাকা। করোনার কারণে এখন সেটি কিছুটা হলেও কমেছে। পাঁচ তারকা এই হোটেলে মোট ২১৫টা রুমই বিসিবিকে ভাড়া নিতে হয়েছে। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশে আসার আগেই তাদের শর্ত মেনে ১০ দিন আগে থেকেই ৭০ জন হোটেল কর্মীসহ মোট ৮৫ জনকে রুম কোয়ারেন্টিনে রেখেছে বিসিবি। শুধু তাই নয়, হোটেল কর্মীদের জন্য রাখা ৭০টি রুমের ভাড়াও গুনতে হচ্ছে বিসিবিকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, ‘এই পাঁচ তারকা (ইন্টার কন্টিনেন্টাল) হোটেলে প্রতিদিনের আয় আনুমানিক ১ থেকে দেড় কোটি টাকা। এখানে ২৯শে জুলাই থেকে দুই দল উঠেছে আনুষ্ঠানিকভাবে। থাকবে ১০ই আগস্ট পর্যন্ত। এর আগে রুম কোয়ারেন্টিনে ছিল ১০ দিন আরও ৮৫ জনের মতো। সব মিলিয়ে সাধারণভাবে হিসাব করলেও ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকার প্রয়োজন।’
মাঠে টাইগারদের সঙ্গে হাতও মেলাবে না অজিরা!
স্পোর্টস রিপোর্টার: করোনার ভয়ে যেন জুবুথুবু অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। সুরক্ষা বলয়ের নামে দিয়ে যাচ্ছে একের পর এক শর্ত ও জানাচ্ছে আবদার। এরই মধ্যে অদ্ভুত কিছু আবদার নিয়ে হচ্ছে বেশ আলোচনা- সামালোচনা। গতকাল তারা যখন বিকেল চারটায় অনুশীলনে আসে তার আগে দলের প্রতিনিধিরা এসে মাঠ ফাঁকা করে ফেলেন। একই কাজ করবেন ৩রা আগষ্ট প্রথম ম্যাচের দিনও। তবে তাদের আরও দুটি অদ্ভুত শর্তের কথা জানা গেছে গতকাল। বাংলাদেশ দল পানি ছাড়া মাঠে কোন খাবার আনতে পারবে না। আর ম্যাচের পর সৌজন্যতা থেকে দুই দল যে হাত মেলায় সেটিও করতে পারবেনা। অজিদের এমন আবদারে অবাক হয়েছেন বিসিবির কয়েকজন পরিচালকও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পরিচালক বলেন, ‘ওদের এমন কিছু বিষয় আছে যা অন্যরকম।’ অন্যদিকে টাইগার ভক্ত-সমর্থকরা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এমন বাড়াবাড়ি ভালোভাবে নিচ্ছে না। অনেকেই সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে জানাচ্ছেন বিরূপ প্রতিক্রিয়া। অনেকেই রাগ হতাশা থেকে মন্তব্য করছেন- ‘মাঠের ক্রিকেটটা তাহলে অস্ট্রেলিয়া কেন ভার্চ্যুয়ালি খেলছে না!’