খেলা

জহিরের ব্যর্থতায় শেষ বাংলাদেশের অলিম্পিক মিশন

স্পোর্টস রিপোর্টার

২ আগস্ট ২০২১, সোমবার, ৭:৪৮ অপরাহ্ন

দৌড়ের ট্র্যাকে নামার আগে

নিজের ক্যারিয়ারসেরা টাইমিং করার লক্ষ্য নিয়ে টোকিও গিয়েছিলেন জহির রায়হান। ঢাকা ছাড়ার সময় বলেছিলেন, ‘অলিম্পিকে আমার সেরা টাইমিং টপকে যেতে পারলেই খুশি হব।’ কিন্তু সেরাটা দিতে পারলেন কোথায়? ৪০০ মিটারে জহিরের সেরা টাইমিং ৪৭.৩৪ সেকেন্ড। অথচ এবার টোকিওতে ০.৯৫ সেকেন্ড পিছিয়ে দৌড়ালেন জহির! গতকাল জহির দৌড়েছেন ৩ নম্বর হিটের ৩ নম্বর লেনে। সেখানে ৪৮.২৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে আটজনের মধ্যে অষ্টম হয়ে হিট শেষ করেন তিনি। সব মিলিয়ে ৪৭ জনের মধ্যে জহির হয়েছেন ৪৪তম। আর জহিরের ব্যর্থতার মধ্যদিয়েই শেষ হলো বাংলাদেশের টোকিও মিশন।
২০১৭ সালে কেনিয়ার নাইরোবিতে বিশ্ব যুব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠে সবার নজর কাড়েন জহির রায়হান। শেরপুরের এই অ্যাথলেট সময় নেন ৪৮ সেকেন্ড। ২০১৯ কাঠমান্ডু এসএ গেমসে জহিরকে নিয়ে পদক জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। কিন্তু দুর্ভাগ্য জহিরের, কাঠমান্ডুর উচ্চতার কারণে শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়ায় ফাইনালে উঠেও নিজেকে সরিয়ে নেন। ওই সময় অসুস্থ জহিরকে পাঠানো হয়েছিল হাসপাতালে। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় এসএ গেমসের হিটে ৪৮.২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন জহির। এ বছর জাতীয় অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে হ্যান্ড টাইমিংয়ে ৪৭.২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে ৪০০ মিটারে সোনা জিতেছিলেন জহির। তবে এসব টাইমিং যে বিশ্ব মঞ্চে স্রেফ একটা পরিসংখ্যান তা এই স্প্রিন্টার টের পেলেন হারে হারে।
করোনা মহামারির এই সময়ে টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছেন ৬ ক্রীড়াবিদ। এর মধ্যে কেবল আলোচনায় ছিলেন দুই আরচার রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী। রোমান সানা এক রাউন্ড টপকালেও দিয়া সিদ্দিকী বিদায় নিয়েছেন প্রথম রাউন্ড থেকেই। তার আগে শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকি রিও অলিম্পিকের চেয়ে বেশি খারাপ করে ঘরে ফিরেছেন সবার আগে। দুই সাঁতারু আরিফুল ইসলাম ও জুনাইনা আহমেদ যথারীতি হিট থেকে বিদায় নিলেও দুইজনই ক্যারিয়ার সেরা টাইমিং করায় সবাই তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন।
জহিরের দৌড় শেষ হওয়ার সঙ্গে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের আরেকটি অলিম্পিক মিশন। অবশ্য এর মধ্যেই একটা রেকর্ড গড়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও তা এসেছে। অলিম্পিকের ইতিহাসে পদক না জেতা সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশ। আয়তনের দিক থেকে পদক না জেতা দেশগুলোর মধ্যে কঙ্গো সবাইকে পেছনে ফেলেছে। প্রায় ২৩ লাখ বর্গ কিলোমিটারের আফ্রিকান দেশটি অলিম্পিকে ১০বার অংশ নিয়েও কোনো পদক জিততে পারেনি। এ তালিকায় কঙ্গোর পরের তিনটি দেশও আফ্রিকার। লিবিয়া, শাদ ও অ্যাঙ্গোলা। পঞ্চম দেশটি দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়া। অলিম্পিকে এখন পর্যন্ত পদক না জেতা দেশের সংখ্যা ৭০। পদকজয়ী দেশের সংখ্যা ১৩৬। এই পদক না জেতা দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার অলিম্পিকে অংশ নিয়েছে মোনাকো (২০ বার)। বাংলাদেশের পাশের দেশ মিয়ানমার অংশ নিয়েছে ১৮ বার। মাল্টা অংশ নিয়েছে ১৭ বার, বলিভিয়া ১৫ বার, নেপাল ১৪ বার। বাংলাদেশ এবার টোকিও অলিম্পিকসহ মোট ১০ বার অংশ নিলো অলিম্পিকে। প্রতিবারই ফিরেছে খালি হাতে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status