বাংলারজমিন
ঢাকায় ফিরতে বাংলাবাজার ঘাটে মানুষের ঢল (ভিডিও)
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
১ আগস্ট ২০২১, রবিবার, ১:০০ অপরাহ্ন
কর্মস্থলে যোগ দিতে পথের সকল ভোগান্তি মাথায় নিয়ে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজারো যাত্রী। রোববার (১ আগস্ট) ভোর থেকে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে রয়েছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। লঞ্চ চালু হওয়ায় ফেরিতে পার হওয়ার ভোগান্তি কিছুটা কমেছিল যাত্রীদের। তবে দুপুর ১২টার পর আবারও লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার নির্দেশনা থাকায় লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড় বেশি রয়েছে। এদিকে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগেই লঞ্চ বন্ধ করে দেয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। ফেরিঘাটেও যানবাহনের বাড়তি চাপ রয়েছে। ঘাটে আটকে থাকা যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীরাও পদ্মা পার হচ্ছে।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিকদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাস ও লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে। বাস চলাচল শুরু করলেও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে মাইক্রোবাস, মাহিন্দ্রা, পিকআপ, মোটরসাইকেলে করেও ঘাটে আসছে যাত্রীরা। সকল যানবাহনেই বাড়তি ভাড়ার চাপ রয়েছে। তাছাড়া ভোর ছয়টা থেকে নৌরুটে লঞ্চ চলাচল করলেও বেলা ১১টার দিকে লঞ্চ বন্ধ করে দেয় লঞ্চ মালিক সমিতি। শিমুলিয়া পাড়ে লঞ্চগুলোকে বাড়তি যাত্রী বহনের দায়ে জরিমানা করায় তারা লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখে।
লঞ্চ মালিকেরা জানান, শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ধারণ ক্ষমতার কম যাত্রী নিয়েই লঞ্চ চলছে। তবে যাত্রীদের প্রচ- চাপ থাকায় নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর হচ্ছে। তারপরও অতিরিক্ত যাত্রী আমরা বহন করছি না। অথচ শিমুলিয়া পাড়ে গিয়ে যাত্রী নামানোর সাথে সাথেই আমাদের লঞ্চকে জরিমানা করা হচ্ছে। এই লোকসান গুনতে রাজি নই আমরা। একারনে বেলা ১১টাতেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ঢাকাগামী যাত্রীরা জানান, এই রুটে বাড়তি ভাড়া গুনেই গন্তব্য যেতে হয়। এখন ডাবলেরও বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। ঘাটে আসতে সব গাড়িতেই বাড়তি ভাড়া। আমরা নি¤œ আয়ের মানুষ। বেতনের বেশির ভাগই খরচ হয়ে যায় যানবাহনে। এই কষ্টের দিনে ভাড়া কেন অতিরিক্ত রাখবে? কেউ কিছু বলে না। আমরা দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে শুধু ছুটে বেড়াই!
মো. জাফর নামের এক যুবক বলেন, সকাল থেকে লঞ্চ চলছিল। ঘাটে আসলাম আর লঞ্চও বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ ১২ টায় বন্ধ করার কথা ছিল। লঞ্চ না ছাড়লে আবার ফেরিতে যেতে হবে।
অপর এক যাত্রী বলেন, ফেরিতে গরু-ছাগলের মতো যাত্রীদের পার হতে হয়। রোদ আর গরমে দুই ঘন্টা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ফেরিতে। লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকলে ভোগান্তি কমতো।'
লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, 'বাংলাবাজার ঘাট থেকে প্রশাসনের উপস্থিতিতেই গুনে গুনে যাত্রী তোলা হয় লঞ্চে। ঘাটে হাজার হাজার যাত্রীর চাপ। এর মধ্যেও লঞ্চগুলো ধারণ ক্ষমতার কম যাত্রী নিয়েই ছেড়ে যাচ্ছে। অথচ শিমুলিয়া পাড়ে যাওয়ার পর জরিমানা করা হচ্ছে লঞ্চগুলোকে। এ কারণে লঞ্চ মালিকেরা লঞ্চ না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ১১টা থেকে সিদ্ধান্ত মতে আমরা লঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছি।
বিআইডব্লিউটিএ'র বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ভোর ছয়টা থেকে লঞ্চ চালু হয়েছিল। তবে লঞ্চ মালিক সমিতি ১১টার দিকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিকদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাস ও লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে। বাস চলাচল শুরু করলেও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে মাইক্রোবাস, মাহিন্দ্রা, পিকআপ, মোটরসাইকেলে করেও ঘাটে আসছে যাত্রীরা। সকল যানবাহনেই বাড়তি ভাড়ার চাপ রয়েছে। তাছাড়া ভোর ছয়টা থেকে নৌরুটে লঞ্চ চলাচল করলেও বেলা ১১টার দিকে লঞ্চ বন্ধ করে দেয় লঞ্চ মালিক সমিতি। শিমুলিয়া পাড়ে লঞ্চগুলোকে বাড়তি যাত্রী বহনের দায়ে জরিমানা করায় তারা লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখে।
লঞ্চ মালিকেরা জানান, শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ধারণ ক্ষমতার কম যাত্রী নিয়েই লঞ্চ চলছে। তবে যাত্রীদের প্রচ- চাপ থাকায় নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর হচ্ছে। তারপরও অতিরিক্ত যাত্রী আমরা বহন করছি না। অথচ শিমুলিয়া পাড়ে গিয়ে যাত্রী নামানোর সাথে সাথেই আমাদের লঞ্চকে জরিমানা করা হচ্ছে। এই লোকসান গুনতে রাজি নই আমরা। একারনে বেলা ১১টাতেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ঢাকাগামী যাত্রীরা জানান, এই রুটে বাড়তি ভাড়া গুনেই গন্তব্য যেতে হয়। এখন ডাবলেরও বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। ঘাটে আসতে সব গাড়িতেই বাড়তি ভাড়া। আমরা নি¤œ আয়ের মানুষ। বেতনের বেশির ভাগই খরচ হয়ে যায় যানবাহনে। এই কষ্টের দিনে ভাড়া কেন অতিরিক্ত রাখবে? কেউ কিছু বলে না। আমরা দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে শুধু ছুটে বেড়াই!
মো. জাফর নামের এক যুবক বলেন, সকাল থেকে লঞ্চ চলছিল। ঘাটে আসলাম আর লঞ্চও বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ ১২ টায় বন্ধ করার কথা ছিল। লঞ্চ না ছাড়লে আবার ফেরিতে যেতে হবে।
অপর এক যাত্রী বলেন, ফেরিতে গরু-ছাগলের মতো যাত্রীদের পার হতে হয়। রোদ আর গরমে দুই ঘন্টা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ফেরিতে। লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকলে ভোগান্তি কমতো।'
লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, 'বাংলাবাজার ঘাট থেকে প্রশাসনের উপস্থিতিতেই গুনে গুনে যাত্রী তোলা হয় লঞ্চে। ঘাটে হাজার হাজার যাত্রীর চাপ। এর মধ্যেও লঞ্চগুলো ধারণ ক্ষমতার কম যাত্রী নিয়েই ছেড়ে যাচ্ছে। অথচ শিমুলিয়া পাড়ে যাওয়ার পর জরিমানা করা হচ্ছে লঞ্চগুলোকে। এ কারণে লঞ্চ মালিকেরা লঞ্চ না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ১১টা থেকে সিদ্ধান্ত মতে আমরা লঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছি।
বিআইডব্লিউটিএ'র বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ভোর ছয়টা থেকে লঞ্চ চালু হয়েছিল। তবে লঞ্চ মালিক সমিতি ১১টার দিকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।