অনলাইন

প্রেমের ফুল (১২)

নকল দাড়ি, চোখে চশমা লাগিয়ে প্রেমিকাকে নিয়ে সিনেমা হলে ঢুকলেন ক্রিকেটার

১ আগস্ট ২০২১, রবিবার, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

(বলা হয়ে থাকে প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে। এই ফাঁদে নিয়মিত পড়ছে আমজনতা থেকে শুরু করে বিশিষ্টজন। এই ধারাবাহিকে বিশিষ্টজনদের প্রেমকাহিনী প্রকাশিত হচ্ছে। আজ এক ক্রিকেটার আর চিকিৎসকের রূপকথার ভালোবাসার কাহিনী)

স্থান মুম্বাইয়ের আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট। সাল ১৯৯০। শচীন টেন্ডুলকার বিদেশে প্রথম শত রান করে ফিরছেন। মেডিকেল ছাত্রী অঞ্জলি মেহতা এয়ারপোর্টে গেছেন মা কে রিসিভ করতে। মাহেন্দ্রক্ষণে চার চোখের মিলন হল। কে জানে, মদনদেব অলক্ষ্যে বান ছুড়েছিলেন কিনা। লাভ এট ফার্স্ট সাইট। শচীন টেন্ডুলকার প্রেমে পড়লেন ছ বছরের বড় অঞ্জলি মেহতার। দুজনের ফোন নম্বর বিনিময় হল। শিল্পপতি অশোক মেহতার মেয়ে তখন জানতেন না কার প্রেমে তিনি পড়লেন। পড়াশোনায় বরাবরই সিরিয়াস অঞ্জলি ক্রিকেটের কোনো খবরই রাখতেন না। কদিন বাদে এক কমন ফ্রেন্ডের বাড়িতে আবার দেখা। প্রেমের টানে উন্মনা দুজনেই। অঞ্জলি জানতে পেরেছেন কার প্রেমে তিনি পড়েছেন। একদিন রোজা ফিল্মটি দেখার প্ল্যান হল। কিন্তু, শচীন সিনেমা হলে যাবেন কিভাবে? ছদ্মবেশ ধরলেন শচীন । মুখে চাপ দাড়ি, চোখে চশমা। কেউ বুঝতে পারেনি। হাফটাইমে শচীনের চোখের চশমা খুলে পড়ে যেতেই বিপত্তি। নিজেকে লোকাতে পারলেন না। জনতা ঘিরে ধরলো। রোজা দেখা ডকে উঠল। শচীন পালিয়ে বাঁচলেন। ১৯৯৬ সালের ২৪ মে যখন শচীন-অঞ্জলির বিয়ে হল তখন শচীন কিংবদন্তী ক্রিকেটার। অঞ্জলি সফল শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ। একটু একটু করে ক্রিকেট বুঝেছেন অঞ্জলি। ফিল্ডিং পজিশনগুলিও বুঝেছেন। শচীন-অঞ্জলির প্রথম সন্তান সারা জন্মানোর পর অঞ্জলি টেন্ডুলকারের সেই অসাধারণ সিদ্ধান্ত। প্রেমের জন্যে বিরাট আত্মত্যাগ। নিজের চিকিৎসকের সফল ক্যারিয়ার ছেড়ে দিলেন অঞ্জলি। হয়ে গেলেন শুধুই মিসেস শচীন টেন্ডুলকার। প্রেমের জন্যে নিজের সফল ক্যারিয়ারের বলিদান সম্পর্কে অঞ্জলি বলেছেন, ও সারা বছর দেশে বিদেশে ঘুরে ঘুরে ক্রিকেট খেলে বেড়ায়। ওর পরিবারটাকে তো ধরে রাখতে হবে যাতে ও স্বচ্ছন্দে নিজের খেলা খেলতে পারে। ছ বছরের বড় অঞ্জলির এই আত্মত্যাগ শচীন আজও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। অঞ্জলি, শচীন, সারা, অর্জুনকে নিয়ে সুখী টেন্ডুলকার পরিবার। বান্দ্রার বাংলোয় সময় কাটান বছর ৫৩'র অঞ্জলি আর ৪৮'র শচীন। সুখী গৃহকোন- টেন্ডুলকার পরিবারে শুধু প্ৰেম, সম্মান আর ত্যাগের আবহ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status