বিশ্বজমিন
আফগানিস্তানে তালেবানদের সঙ্গে সেনাদের তীব্র লড়াই চলছে
মানবজমিন ডেস্ক
১ আগস্ট ২০২১, রবিবার, ১১:১০ পূর্বাহ্ন
আফগানিস্তানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হেরাত, লস্করগাঁ এবং কান্দাহার দখলে নেয়ার জন্য সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করছে তালেবানরা। দেশটির দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের এসব শহরে সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কতক্ষণ টিকে থাকতে পারে, তা এখন দেখার বিষয়। অনলাইন বিবিসি বলছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই তালেবানদের মধ্যে যেন জোয়ার এসেছে। তারা গ্রামীণ এলাকা দখল করার পর এখন দ্রুততার সঙ্গে শহরাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফলে ওইসব শহরে মানবিক সঙ্কটের বড় রকম আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে তারা আফগানিস্তানের অর্ধেকটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে রিপোর্টে বলা হচ্ছে। এর মধ্যে ইরান ও পাকিস্তান সীমান্তের সঙ্গে সীমান্ত অঞ্চলগুলোও রয়েছে। এগুলো তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার তালেবানরা লস্করগাঁয়ে বড় রকম সাফল্য অর্জন করেছে। এদিন তারা সেখানকার সরকারি অফিসগুলো থেকে মাত্র কয়েক শত মিটার দূরে অবস্থান করছিল। কিন্তু রাতের বেলা তারা সেখান থেকে পিছনে সরে যায়। কিছু দিনের মধ্যে এটা তাদের এমন দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। আফগানিস্তানের কমান্ডার বলেছেন, শুক্রবার তালেবানদের বিরুদ্ধে হামলায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সদস্য নিহত হয়েছে।
বর্তমানে তালেবানাদের দৃষ্টি রয়েছে শহরগুলোর ওপর। পরিস্থিতি ঘোলাটে। কিন্তু হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্করগাঁ বর্তমানে সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে রয়েছে। এখানে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটিশ অনেক সেনা তাদের জীবন হারিয়েছেন। তালেবানপন্থি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন সব ভিডিও পোস্ট করা হচ্ছে, যেখানে দেখানো হচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা শহরের প্রাণকেন্দ্রে পৌঁছে গেছে।
তাদেরকে পিছু হটাতে সেখানে পাঠানো হয়েছে আফগানিস্তানের বিশেষ বাহিনীকে। কিন্তু স্থানীয় একজন অধিবাসী বলেছেন, ওইসব তালেবানকে পিছু হটানো যায়নি। তারা আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে। সাধারণ অনেক মানুষের বাড়িতে অবস্থান পোক্ত করেছে তালেবানরা। ফলে তাদেরকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরো দীর্ঘস্থায়ী এবং রক্তাক্ত যুদ্ধে দৃশ্যত অপেক্ষা করছে এখন।
কান্দাহারের একজন এমপি গুল আহমেদ কামিন বিবিসিকে বলেছেন, তার শহর এখন তালেবানদের হাতে পড়ার মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে। এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মানবিক বিপর্যয় অত্যাসন্ন। তিনি আরো বলেন, প্রতি ঘণ্টায় পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটছে। ২০ বছরের মধ্যে ওই শহরে এই প্রথম যুদ্ধ হচ্ছে। তার মতে, কান্দাহারকে বর্তমানে তালেবানরা তাদের বড় ফোকাস হিসেবে নিয়েছে। তারা অস্থায়ীভিত্তিতে এই শহরকে তাদের রাজধানী বানাতে চায়। যদি এই শহর তালেবানদের দখলে চলে যায়, তাহলে অন্য ৫ থেকে ৬ টি প্রদেশও নিয়ন্ত্রণ হারাবে।
গুল আহমেদ কামিন বলেন, শহরের কয়েকদিকে অবস্থান নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। টোলো নিউজ বলেছে, তীব্র সংঘর্ষ হচ্ছিল। অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হেরাতের ভিতরে প্রবেশ করেছে তালেবান। যদি ওই শহর তালেবানের দখলে চলে যায়, তাহলে সেখানে বসবাসকারী বিপুল পরিমাণ বেসামরিক জনগণের কারণে সরকারি সেনারা ভারি অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে না। অন্য ৫টি স্থানে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীকে সাপোর্ট দিতে আকাশপথে হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। একটি বিমানবন্দর আফগান সেনারা তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষমত হয়েছে। এর কাছে জাতিসংঘের একটি অফিসের বাইরে একজন প্রহরীকে শুক্রবার হত্যা করা হয়েছে। একে তালেবানের ইচ্ছাকৃত হামলা বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। শহরের দু’একটি জায়গাকে নিরাপদ বলে মনে করছেন অধিবাসীরা। কিছু মানুষ নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য হাতে তুলে নিচ্ছেন অস্ত্র।
আফগানিস্তানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিশেষ দূত টমাস রিকলাসন বলেন, তিনি মনে করেন এই যুদ্ধ আরো খারাপ রূপ ধারণ করেছে। তার আশঙ্কা, তালেবানরা যে মানসিকতা দেখাচ্ছে, তাতে তারা তাদের সেই আগের অবস্থানেই রয়ে গেছে। তারা আফগানিস্তানকে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায়। ওদিকে বৃটিশ সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল ডেভিড রিচার্ডস সতর্ক করে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করা হলে তাতে ধসে পড়বে আফগানিস্তানের সেনাদের নৈতিক শক্তি। তাতে তালেবানরা নিয়ন্ত্রণ নেবে। হয়তো তারা আবার আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের হুমকি হয়ে উঠতে পারে। সামনের সময়ে আরো ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে অনেক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনও।
শনিবার তালেবানরা লস্করগাঁয়ে বড় রকম সাফল্য অর্জন করেছে। এদিন তারা সেখানকার সরকারি অফিসগুলো থেকে মাত্র কয়েক শত মিটার দূরে অবস্থান করছিল। কিন্তু রাতের বেলা তারা সেখান থেকে পিছনে সরে যায়। কিছু দিনের মধ্যে এটা তাদের এমন দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। আফগানিস্তানের কমান্ডার বলেছেন, শুক্রবার তালেবানদের বিরুদ্ধে হামলায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সদস্য নিহত হয়েছে।
বর্তমানে তালেবানাদের দৃষ্টি রয়েছে শহরগুলোর ওপর। পরিস্থিতি ঘোলাটে। কিন্তু হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্করগাঁ বর্তমানে সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে রয়েছে। এখানে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটিশ অনেক সেনা তাদের জীবন হারিয়েছেন। তালেবানপন্থি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন সব ভিডিও পোস্ট করা হচ্ছে, যেখানে দেখানো হচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা শহরের প্রাণকেন্দ্রে পৌঁছে গেছে।
তাদেরকে পিছু হটাতে সেখানে পাঠানো হয়েছে আফগানিস্তানের বিশেষ বাহিনীকে। কিন্তু স্থানীয় একজন অধিবাসী বলেছেন, ওইসব তালেবানকে পিছু হটানো যায়নি। তারা আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে। সাধারণ অনেক মানুষের বাড়িতে অবস্থান পোক্ত করেছে তালেবানরা। ফলে তাদেরকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরো দীর্ঘস্থায়ী এবং রক্তাক্ত যুদ্ধে দৃশ্যত অপেক্ষা করছে এখন।
কান্দাহারের একজন এমপি গুল আহমেদ কামিন বিবিসিকে বলেছেন, তার শহর এখন তালেবানদের হাতে পড়ার মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে। এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মানবিক বিপর্যয় অত্যাসন্ন। তিনি আরো বলেন, প্রতি ঘণ্টায় পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটছে। ২০ বছরের মধ্যে ওই শহরে এই প্রথম যুদ্ধ হচ্ছে। তার মতে, কান্দাহারকে বর্তমানে তালেবানরা তাদের বড় ফোকাস হিসেবে নিয়েছে। তারা অস্থায়ীভিত্তিতে এই শহরকে তাদের রাজধানী বানাতে চায়। যদি এই শহর তালেবানদের দখলে চলে যায়, তাহলে অন্য ৫ থেকে ৬ টি প্রদেশও নিয়ন্ত্রণ হারাবে।
গুল আহমেদ কামিন বলেন, শহরের কয়েকদিকে অবস্থান নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। টোলো নিউজ বলেছে, তীব্র সংঘর্ষ হচ্ছিল। অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হেরাতের ভিতরে প্রবেশ করেছে তালেবান। যদি ওই শহর তালেবানের দখলে চলে যায়, তাহলে সেখানে বসবাসকারী বিপুল পরিমাণ বেসামরিক জনগণের কারণে সরকারি সেনারা ভারি অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে না। অন্য ৫টি স্থানে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীকে সাপোর্ট দিতে আকাশপথে হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। একটি বিমানবন্দর আফগান সেনারা তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষমত হয়েছে। এর কাছে জাতিসংঘের একটি অফিসের বাইরে একজন প্রহরীকে শুক্রবার হত্যা করা হয়েছে। একে তালেবানের ইচ্ছাকৃত হামলা বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। শহরের দু’একটি জায়গাকে নিরাপদ বলে মনে করছেন অধিবাসীরা। কিছু মানুষ নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য হাতে তুলে নিচ্ছেন অস্ত্র।
আফগানিস্তানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিশেষ দূত টমাস রিকলাসন বলেন, তিনি মনে করেন এই যুদ্ধ আরো খারাপ রূপ ধারণ করেছে। তার আশঙ্কা, তালেবানরা যে মানসিকতা দেখাচ্ছে, তাতে তারা তাদের সেই আগের অবস্থানেই রয়ে গেছে। তারা আফগানিস্তানকে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায়। ওদিকে বৃটিশ সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল ডেভিড রিচার্ডস সতর্ক করে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করা হলে তাতে ধসে পড়বে আফগানিস্তানের সেনাদের নৈতিক শক্তি। তাতে তালেবানরা নিয়ন্ত্রণ নেবে। হয়তো তারা আবার আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের হুমকি হয়ে উঠতে পারে। সামনের সময়ে আরো ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে অনেক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনও।