বিশ্বজমিন
করোনা মহামারি, বিরূপ আবহাওয়া মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ
মানবজমিন ডেস্ক
১ আগস্ট ২০২১, রবিবার, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
একদিকে করোনা মহামারি। অন্যদিকে বিরূপ আবহাওয়া। এই দুই প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ। বর্ষকালীন দিনভর বৃষ্টিপাতে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের দক্ষিণে উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারীরা এবং কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রচণ্ড দুর্ভোগে। অনলাইন সিএনবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, শনিবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক এজেন্সি ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে বলেছে- ২৯শে জুলাই পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খারাপ আবহাওয়ার কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কমপক্ষে ৩৮০০ ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বসবাস করতেন ২১ হাজার রোহিঙ্গা। সরকারি হিসাব এবং স্থানীয় মিডিয়ার খবর অনুযায়ী কক্সবাজারে ভারি বর্ষণ এবং তার প্রেক্ষিতে ভূমিধসের ফলে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী। ইউএনএইচসিআর বলেছে, অস্থায়ী ভিত্তিতে কমপক্ষে ১৩ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তারা কোনো কমিউনিটি আবাসনে অথবা অন্য পরিবারগুলোর সঙ্গে আশ্রয় নিয়েছেন।
ইউএনএইচসিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক স্বাস্থ্য ক্লিনিক, বিতরণ কেন্দ্র, পায়খানা সহ কয়েক শত স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়ক, চলাচলের পথ এবং সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে উদ্ধারকর্মীদের অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে বাংলাদেশের শরণার্থী সংক্রান্ত ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেছেন, শরণার্থী ক্যাম্পে আটকে পড়া পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদেরকে আমরা অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী সরবরাহ দিচ্ছি। তিনি জানান, শরণার্থীদের জন্য খাদ্যের কোনো সঙ্কট নেই। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা, বাগেরহাট ও বরগুনার মতো উপকূলীয় জেলাগুলোতে লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেখানে বাড়িঘর এবং কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে আছে।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে উদ্বেগজনকভাবে। এর বিরুদ্ধে লড়ছে বাংলাদেশ। এই ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। প্রতিদিনই আক্রান্ত বা মৃত্যুর সংখ্যা নতুন রেকর্ড গড়ছে। ৩১ শে জুলাই লেখা ওই রিপোর্টে বলা হয়- সরকারি সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, এক দিনে এখানে কমপক্ষে ২১৮ জন মারা গেছেন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩৬৯ জন। এ নিয়ে ওইদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ১২ লাখ। এর মধ্যে মারা গেছেন মোট ২০,৬৮৫ জন।
ওদিকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬ জন। ওই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৪৩১। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৭ জন। প্রায় ১৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষের এ দেশে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে।
ইউএনএইচসিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক স্বাস্থ্য ক্লিনিক, বিতরণ কেন্দ্র, পায়খানা সহ কয়েক শত স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়ক, চলাচলের পথ এবং সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে উদ্ধারকর্মীদের অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে বাংলাদেশের শরণার্থী সংক্রান্ত ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেছেন, শরণার্থী ক্যাম্পে আটকে পড়া পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদেরকে আমরা অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী সরবরাহ দিচ্ছি। তিনি জানান, শরণার্থীদের জন্য খাদ্যের কোনো সঙ্কট নেই। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা, বাগেরহাট ও বরগুনার মতো উপকূলীয় জেলাগুলোতে লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেখানে বাড়িঘর এবং কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে আছে।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে উদ্বেগজনকভাবে। এর বিরুদ্ধে লড়ছে বাংলাদেশ। এই ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। প্রতিদিনই আক্রান্ত বা মৃত্যুর সংখ্যা নতুন রেকর্ড গড়ছে। ৩১ শে জুলাই লেখা ওই রিপোর্টে বলা হয়- সরকারি সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, এক দিনে এখানে কমপক্ষে ২১৮ জন মারা গেছেন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩৬৯ জন। এ নিয়ে ওইদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ১২ লাখ। এর মধ্যে মারা গেছেন মোট ২০,৬৮৫ জন।
ওদিকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬ জন। ওই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৪৩১। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৭ জন। প্রায় ১৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষের এ দেশে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে।