খেলা
মোস্তাফিজের জায়গা কেউ নিতে পারবে না
স্পোর্টস রিপোর্টার
১ আগস্ট ২০২১, রবিবার, ৭:৪৭ অপরাহ্ন
৩রা আগস্ট মাঠে গড়াবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। নিজেদের মাটিতে ক্যাঙ্গারু বধের দারুণ সুযোগ টাইগারদের সামনে। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার আসেননি এই সফরে। বলা হচ্ছে এটি তাদের দ্বিতীয় সারির দল। তবে অস্ট্রেলিয়া বলে কথা! তাই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজ জয় কি সম্ভব বাংলাদেশের পক্ষে? এমন প্রশ্ন জাগার কারণটাও স্পষ্ট। এই সিরিজে খেলতে পারছেন না অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহীম । ব্যক্তিগত কারণে খেলছেন না দলের পরীক্ষিত ওপেনার লিটন কুমার দাসও। দলের সেরা পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের আছে ইনজুরি সমস্যা। তিনি এই সিরিজে খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে খেললেও দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ম্যাচ থেকে তাকে মাঠে দেখা যাবে। তাহলে কে হবে তার বিকল্প! তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন থাকলেও মোস্তাফিজের জায়গা কেউ নিতে পারবে না বলেই মনে করেন বিসিবির অভিজ্ঞ কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে দৈনিক মানবজমিনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তার কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো-
প্রশ্ন: তামিম, মুশফিক, লিটনদের অভাব কতটা ভোগাবে দলকে?
বাবুল: ওরা (তামিম, লিটন, মুশফিক) তিন জনই দলের ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই ওদের ছাড়া প্রভাব তো পড়বেই। তবে ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকার ও নাঈম শেখ ভালো করেছে জিম্বাবুয়েতে। তারা যদি ধারাবাহিকতা ধরে রাখে সেই ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জটা নেয়া সম্ভব।
প্রশ্ন: মোস্তাফিজের ইনজুরি, তাহলে বোলিং বিভাগও নড়বড়ে মনে হচ্ছে?
বাবুল: টি-টোয়েন্টিতে আমাদের বোলিংয়ের প্রধান অস্ত্র মোস্তাফিজুর রহমান। ও কিন্তু আইপিএল থেকে ধারাবাহিক ভালো বোলিং করে আসছে। আমাদের মোস্তাফিজের চারটি ওভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে স্লগ ওভারে তার ২টি ওভার দলের ভাগ্য নির্ধারণও করে দিতে পারে। ও শুনছি ইনজুরিতে, হয়তো কিছু ম্যাচ খেলতে পারবে না। এটি হলে ওর ঘাটতি আসলে কাউকে দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়। হ্যাঁ, দলে আরো পেসার আছে। কিন্তু মোস্তাফিজের বোলিংয়ের প্রভাব, সেটির ঘাটতি থেকেই যাবে। ওর রিপ্লেসমেন্ট তৈরি হয়নি।
প্রশ্ন: দলে অন্য পেসারদের ওপর কতটা ভরসা করা যায়?
বাবুল: দেখেন শুরুতেই বলেছি তাসকিন, সাইফুদ্দিনরা অবশ্যই কার্যকর বোলার। শরিফুলও ভালো করছে। কিন্তু তাদের যে বোলিং সেই তুলনায় টি-টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজের যে চারটি ওভার সেটি কাউকে দিয়ে পুরণ করা সম্ভব হবে না। তবে আমাদের যে শক্তি আছে তাতে ভরসা রাখতে হবে। আমি বলবো যারা তামিম, মোস্তাফিজদের পরিবর্তে খেলবে তাদের জন্য দারুণ সুযোগ। আমরাও দেখে নিতে পারবো যে আমাদের বিকল্প কেমন হতে পারে। তাহলে পরবতির্তে আমাদের বিকল্প খুঁজতে বেশি অপেক্ষা করতে হবে না।
প্রশ্ন: দলের স্পিন বিভাগে সাকিবের সঙ্গে কাকে দেখতে চান আক্রমণে?
বাবুল: যতটা জানি আমাদের স্পিন নির্ভর উইকেট হচ্ছে। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমাদের দেশের কন্ডিশন ও উইকেটের সুবিধা নিতে হবে। আমি বলবো সাকিব আল হাসানের ফর্মে ফেরা আমাদের জন্য ভালো দিক। এছাড়াও ওর সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ আছে। আমি মনে করি তরুণ এই স্পিন অলরাউন্ডারও সুযোগ পেলে দলের জন্য ভালো কিছু করবে। জিম্বাবুয়েতে খুব একটা ভালো না করলেও মিরপুরের উইকেটে ও কার্যকর হবে বলেই মনে হচ্ছে। এছাড়াও নাসুম আছে, আমি মনে করি ওর বলও কার্যকর হবে। স্পিনে মাহমদুুল্লাহও বল হাতে তুলে নিতে পারে। আমি বলবো স্পিন নিয়ে চিন্তার খুব কিছু নেই কারণ, সাকিব ফর্মে আছে।
প্রশ্ন: দলের শক্তির দিক কোনটাকে দেখছেন?
বাবুল: আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার না থাকলেও দল একেবারে দুর্বল তাও বলা যাবে না। ব্যাটিং-বোলিং কম্বিনেশনটা ভালো আছে। বিশেষ করে লম্বা ব্যাটিং লাইন আপও ভালো কিছু করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। জিম্বাবুয়েতেও ওরা ভালো করেছে। তবে আমাদের কাছে দলের অন্যতম শক্তির দিক মনে হচ্ছে বেশ কয়েকজন অলরাউন্ডারেরর খেলা। সাকিব, আফিফ, মাহমুদুল্লাহ, সাইফুদ্দিন, মেহেদীদের মতো পরীক্ষিতরা আছে। এই অলরাউন্ডাররাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারে।
প্রশ্ন: তামিম, মুশফিক, লিটনদের অভাব কতটা ভোগাবে দলকে?
বাবুল: ওরা (তামিম, লিটন, মুশফিক) তিন জনই দলের ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই ওদের ছাড়া প্রভাব তো পড়বেই। তবে ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকার ও নাঈম শেখ ভালো করেছে জিম্বাবুয়েতে। তারা যদি ধারাবাহিকতা ধরে রাখে সেই ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জটা নেয়া সম্ভব।
প্রশ্ন: মোস্তাফিজের ইনজুরি, তাহলে বোলিং বিভাগও নড়বড়ে মনে হচ্ছে?
বাবুল: টি-টোয়েন্টিতে আমাদের বোলিংয়ের প্রধান অস্ত্র মোস্তাফিজুর রহমান। ও কিন্তু আইপিএল থেকে ধারাবাহিক ভালো বোলিং করে আসছে। আমাদের মোস্তাফিজের চারটি ওভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে স্লগ ওভারে তার ২টি ওভার দলের ভাগ্য নির্ধারণও করে দিতে পারে। ও শুনছি ইনজুরিতে, হয়তো কিছু ম্যাচ খেলতে পারবে না। এটি হলে ওর ঘাটতি আসলে কাউকে দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়। হ্যাঁ, দলে আরো পেসার আছে। কিন্তু মোস্তাফিজের বোলিংয়ের প্রভাব, সেটির ঘাটতি থেকেই যাবে। ওর রিপ্লেসমেন্ট তৈরি হয়নি।
প্রশ্ন: দলে অন্য পেসারদের ওপর কতটা ভরসা করা যায়?
বাবুল: দেখেন শুরুতেই বলেছি তাসকিন, সাইফুদ্দিনরা অবশ্যই কার্যকর বোলার। শরিফুলও ভালো করছে। কিন্তু তাদের যে বোলিং সেই তুলনায় টি-টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজের যে চারটি ওভার সেটি কাউকে দিয়ে পুরণ করা সম্ভব হবে না। তবে আমাদের যে শক্তি আছে তাতে ভরসা রাখতে হবে। আমি বলবো যারা তামিম, মোস্তাফিজদের পরিবর্তে খেলবে তাদের জন্য দারুণ সুযোগ। আমরাও দেখে নিতে পারবো যে আমাদের বিকল্প কেমন হতে পারে। তাহলে পরবতির্তে আমাদের বিকল্প খুঁজতে বেশি অপেক্ষা করতে হবে না।
প্রশ্ন: দলের স্পিন বিভাগে সাকিবের সঙ্গে কাকে দেখতে চান আক্রমণে?
বাবুল: যতটা জানি আমাদের স্পিন নির্ভর উইকেট হচ্ছে। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমাদের দেশের কন্ডিশন ও উইকেটের সুবিধা নিতে হবে। আমি বলবো সাকিব আল হাসানের ফর্মে ফেরা আমাদের জন্য ভালো দিক। এছাড়াও ওর সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ আছে। আমি মনে করি তরুণ এই স্পিন অলরাউন্ডারও সুযোগ পেলে দলের জন্য ভালো কিছু করবে। জিম্বাবুয়েতে খুব একটা ভালো না করলেও মিরপুরের উইকেটে ও কার্যকর হবে বলেই মনে হচ্ছে। এছাড়াও নাসুম আছে, আমি মনে করি ওর বলও কার্যকর হবে। স্পিনে মাহমদুুল্লাহও বল হাতে তুলে নিতে পারে। আমি বলবো স্পিন নিয়ে চিন্তার খুব কিছু নেই কারণ, সাকিব ফর্মে আছে।
প্রশ্ন: দলের শক্তির দিক কোনটাকে দেখছেন?
বাবুল: আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার না থাকলেও দল একেবারে দুর্বল তাও বলা যাবে না। ব্যাটিং-বোলিং কম্বিনেশনটা ভালো আছে। বিশেষ করে লম্বা ব্যাটিং লাইন আপও ভালো কিছু করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। জিম্বাবুয়েতেও ওরা ভালো করেছে। তবে আমাদের কাছে দলের অন্যতম শক্তির দিক মনে হচ্ছে বেশ কয়েকজন অলরাউন্ডারেরর খেলা। সাকিব, আফিফ, মাহমুদুল্লাহ, সাইফুদ্দিন, মেহেদীদের মতো পরীক্ষিতরা আছে। এই অলরাউন্ডাররাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারে।