বাংলারজমিন
কলাপাড়ায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
১ আগস্ট ২০২১, রবিবার, ৭:৩৫ অপরাহ্ন
টানা সাতদিনের ভারি বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন উপকূলীয় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লক্ষাধিক মানুষ। পানিতে তলিয়ে থাকায় এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। উনুন জ্বলেনি অনেকের ঘরে। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক দিয়ে চলাচল। তলিয়ে গেছে ১৫ শ’ পুকুর ও মাছের ঘের। মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় তিন কোটি ৬০ লাখ টাকার। পচে গেছে উপকূলীয় এলাকার ২৫ শ’ হেক্টর আমনের বীজতলা। সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে মৌসুমী সবজি চাষিরা। উপজেলায় খরিপ-২ মৌমুমে ৭ শ’ ৪০ হেক্টর জমিতে চাষকৃত শাকসবজি অর্ধেকটা নষ্ট হয়ে গেছে। নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে লালুয়া, ধানখালী, চম্পাপুর, মহিপুর ইউপি’র অধিকাংশ বেড়িবাঁধ। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ। চরম সংকট দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের। কলাপাড়া পৌরসভা সংলগ্ন টিয়াখালী ইউনিয়নের মোর্তজার কালভার্ট, মতির ঢালা, চুনু্ন ব্যাপারির কালভার্ট এবং ফোর লেন ও সিক্স লেন কালভার্ট আটকিয়ে প্রভাবশালীদের মাছচাষ করার এসব এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অনেক টাকা পয়সা খরচ করে কৃষিকাজ করি। এ বছর টানা বৃষ্টিরপাতের কারণে গাছের গোড়ায় পানি জমে গাছ পচে মরে গেছে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, টানা সাতদিনের ভারি বর্ষণে এই উপজেলায় ১৫ শ’ পুকুর ও ঘের তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিক তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ জানান, উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের খরিপ-২ মৌসুমের শাকসবজি এবং আমন বীজতলা ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো. শহিদুল হক জানান, ভারি বর্ষণের ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে শুকনা খাবার ক্রয়ের জন্য ৫০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও মহিপুর, লালুয়া, চম্পাপুর, ধানখালী, ইউপির পানিবন্দি মানুষের জন্য জরুরি খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।