বিশ্বজমিন
সালমান খান থেকে রিয়া চক্রবর্তী: রাজ কুন্দ্রার আগে জেল খাটা বলিউড তারকারা
মানবজমিন ডেস্ক
৩১ জুলাই ২০২১, শনিবার, ৬:৪০ অপরাহ্ন
নানা কারণে সবসময় আলোচনায় থাকেন বলিউড তারকারা। কখনও তাদেরকে দেখা যায় আলোচনায় থাকতে স্টান্টবাজি করতেও। আবার তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই নানা কেলেঙ্কারি, মাদক কাণ্ড থেকে শুরু করে হত্যার অভিযোগও রয়েছে। এসব নিয়ে তাদের সমালোচনার মুখেতো পড়তে হয়ই, কাউকে কাউকে জেলেও যেতে হয়েছে। সম্প্রতি পর্নোগ্রাফি মামলায় জেলে গেছেন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রা। তার আগেও যেসব আলোচিত বলিউড তারকাদের জেল খাটতে হয়েছিল তাদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গালফ নিউজ।
রাজ কুন্দ্রা
গত ২০শে জুলাই পর্নোগ্রাফিক ভিডিও নির্মানের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় রাজ কুন্দ্রাকে। তিনি বর্তমানে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। ওই ঘটনায় কুন্দ্রার সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরও ১১ জন। পর্নোগ্রাফির ব্যবসা থেকে আয় করা অর্থ অনলাইন জুয়া খেলতে কাজে লাগাতেন কুন্দ্রা এমন অভিযোগও আনা হয়েছে। এ নিয়ে আলাদা তদন্ত চালাচ্ছে একটি বিশেষজ্ঞ দল। দুর্দিনে স্বামীকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন শিল্পা শেট্টিও। তিনি নিজের স্বামীকে নাকি তিনি নির্দোষ দাবি করেছেন। কুন্দ্রা এবং শিল্পা দাবি করেছেন, নির্মিত ভিডিওগুলো পর্নোগ্রাফি নয়, এগুলো ইরোটিকা।
রিয়া চক্রবর্তী
২০২০ সালের ১৪ জুন আত্মহত্যা করেন বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় তার প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে। গ্রেপ্তারের আগে এ নিয়ে বিস্তর তদন্ত চালায় পুলিশ। ২৮ দিন পর তিনি জামিন পেয়েছিলেন।
সালমান খান
২০০৭ সালে কিছুদিন জেল খাটতে হয়েছিল সালমান খানকে। ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ (১৯৯৯) সিনেমার শুটিংয়ের সময় রাজস্থানে মায়া হরিণ শিকারের দায়ে এই সাজা দেয়া হয়েছিল সালমান খানকে। ২০০২ সালে মদ্যপ অবস্থায় ফুটপাথের মানুষের ওপর গাড়ি চালিয়ে হত্যার দায়েও আদালত তাকে ৫ বছরের জেল দেন। সম্প্রতিও হরিণ শিকারের দায়ে তাকে অল্প সময়ের জন্য জেল খাটতে হয়েছিল।
সাইফ আলি খান
স্ত্রী ও শ্যালিকাকে সঙ্গে নিয়ে হোটেল তাজমহলের ওয়াসাবি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এক ব্যাবসায়ীর সঙ্গে হাতাহাতি করেন তিনি। শুধু হাতাহাতি নয় ওই ব্যক্তির নাকও ভেঙে দিয়েছিলেন সাইফ। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সাইফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার কদিনের মাথায় জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।
শাইনী আহুজা
নিজের প্রতিভা আর অভিনয় দিয়ে বলিউডে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছিলেন শাইনী আহুজা। কিন্তু ২০০৯ সালে বাড়ির পরিচারিকা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ তোলে। অভিযোগে বলা হয়েছিল, শাইনীর স্ত্রী যে সময় তার বাবা মায়ের কাছে গিয়েছিলেন, সে সময় তাকে ধর্ষণ করেছে শাইনী। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হন শাইনী। তারর মতো প্রতিভাবান অভিনেতার গ্রেপ্তারের খবরে চাঞ্চল্য পড়ে যায় সব মহলে। জীবনের এই কঠিন সময়ে শাইনীর পাশে ছিলেন তার স্ত্রী অনুপম। মূলত স্ত্রীর উদ্যোগে এবং আইনজীবীর চেষ্টায় তিন মাস কারাবাসের পরে জামিন পান শাইনী। পরে অবশ্য তার পরিচারিকা আদালতকে জানিয়েছিলেন, যৌন সহবাসে তারও সম্মতি ছিল।
সঞ্জয় দত্ত
একটি একে-৫৬ রাইফেল অবৈধভাবে রাখার দায়ে সন্ত্রাসবিরোধী টাডা আইনে গ্রেপ্তার হন বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্ত। ২০০৬ সালে এ মামলায় তার ৬ বছর সাজা হয়। অবশ্য ৪ বছরের কম সময়ের মধ্যেই মুক্তি পান এই নায়ক।
ফারদিন খান
‘প্যায়ার তুনে ক্যায়া কিয়া’ সিনেমা দিয়ে সবার কাছে পরিচিত হন বলিউড নায়ক ফারদিন খান। ২০০১ সালে কোকেইন কেনার সময় তিনি গ্রেপ্তার হন। সেসময় ৫ দিন কারাগারে থাকতে হয়েছিল তাকে। এরপর তাকে ওই মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়।
রাজ কুন্দ্রা
গত ২০শে জুলাই পর্নোগ্রাফিক ভিডিও নির্মানের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় রাজ কুন্দ্রাকে। তিনি বর্তমানে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। ওই ঘটনায় কুন্দ্রার সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরও ১১ জন। পর্নোগ্রাফির ব্যবসা থেকে আয় করা অর্থ অনলাইন জুয়া খেলতে কাজে লাগাতেন কুন্দ্রা এমন অভিযোগও আনা হয়েছে। এ নিয়ে আলাদা তদন্ত চালাচ্ছে একটি বিশেষজ্ঞ দল। দুর্দিনে স্বামীকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন শিল্পা শেট্টিও। তিনি নিজের স্বামীকে নাকি তিনি নির্দোষ দাবি করেছেন। কুন্দ্রা এবং শিল্পা দাবি করেছেন, নির্মিত ভিডিওগুলো পর্নোগ্রাফি নয়, এগুলো ইরোটিকা।
রিয়া চক্রবর্তী
২০২০ সালের ১৪ জুন আত্মহত্যা করেন বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় তার প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে। গ্রেপ্তারের আগে এ নিয়ে বিস্তর তদন্ত চালায় পুলিশ। ২৮ দিন পর তিনি জামিন পেয়েছিলেন।
সালমান খান
২০০৭ সালে কিছুদিন জেল খাটতে হয়েছিল সালমান খানকে। ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ (১৯৯৯) সিনেমার শুটিংয়ের সময় রাজস্থানে মায়া হরিণ শিকারের দায়ে এই সাজা দেয়া হয়েছিল সালমান খানকে। ২০০২ সালে মদ্যপ অবস্থায় ফুটপাথের মানুষের ওপর গাড়ি চালিয়ে হত্যার দায়েও আদালত তাকে ৫ বছরের জেল দেন। সম্প্রতিও হরিণ শিকারের দায়ে তাকে অল্প সময়ের জন্য জেল খাটতে হয়েছিল।
সাইফ আলি খান
স্ত্রী ও শ্যালিকাকে সঙ্গে নিয়ে হোটেল তাজমহলের ওয়াসাবি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এক ব্যাবসায়ীর সঙ্গে হাতাহাতি করেন তিনি। শুধু হাতাহাতি নয় ওই ব্যক্তির নাকও ভেঙে দিয়েছিলেন সাইফ। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সাইফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার কদিনের মাথায় জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।
শাইনী আহুজা
নিজের প্রতিভা আর অভিনয় দিয়ে বলিউডে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছিলেন শাইনী আহুজা। কিন্তু ২০০৯ সালে বাড়ির পরিচারিকা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ তোলে। অভিযোগে বলা হয়েছিল, শাইনীর স্ত্রী যে সময় তার বাবা মায়ের কাছে গিয়েছিলেন, সে সময় তাকে ধর্ষণ করেছে শাইনী। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হন শাইনী। তারর মতো প্রতিভাবান অভিনেতার গ্রেপ্তারের খবরে চাঞ্চল্য পড়ে যায় সব মহলে। জীবনের এই কঠিন সময়ে শাইনীর পাশে ছিলেন তার স্ত্রী অনুপম। মূলত স্ত্রীর উদ্যোগে এবং আইনজীবীর চেষ্টায় তিন মাস কারাবাসের পরে জামিন পান শাইনী। পরে অবশ্য তার পরিচারিকা আদালতকে জানিয়েছিলেন, যৌন সহবাসে তারও সম্মতি ছিল।
সঞ্জয় দত্ত
একটি একে-৫৬ রাইফেল অবৈধভাবে রাখার দায়ে সন্ত্রাসবিরোধী টাডা আইনে গ্রেপ্তার হন বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্ত। ২০০৬ সালে এ মামলায় তার ৬ বছর সাজা হয়। অবশ্য ৪ বছরের কম সময়ের মধ্যেই মুক্তি পান এই নায়ক।
ফারদিন খান
‘প্যায়ার তুনে ক্যায়া কিয়া’ সিনেমা দিয়ে সবার কাছে পরিচিত হন বলিউড নায়ক ফারদিন খান। ২০০১ সালে কোকেইন কেনার সময় তিনি গ্রেপ্তার হন। সেসময় ৫ দিন কারাগারে থাকতে হয়েছিল তাকে। এরপর তাকে ওই মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়।