বিশ্বজমিন
বাইডেন প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেন ২ মুসলিম
মানবজমিন ডেস্ক
৩১ জুলাই ২০২১, শনিবার, ১:২৬ অপরাহ্ন
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এটর্নি রাশেদ হুসেইনকে ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (আইআরএফ) বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ হিসেবে মনোনীত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের কমিশনার হিসেবে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিনি খিজর খানকে মনোনীত করেছেন বাইডেন। তার সরকারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে এটাই কোনো মুসলিমকে মনোনয়ন দেয়া। বর্তমানে রাশেদ হুসেইন (৪১) জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে পার্টনারশিপস অ্যান্ড গ্লোবাল এনগেজমেন্টের পরিচালক। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। হোয়াইট হাউজ থেকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি এমন একটি প্রশাসন গড়ে তুলবেন- যা যুক্তরাষ্ট্রকে দেখাশোনা করবে, সব ধর্মবিশ্বাসের মানুষের প্রতিফলন ঘটাবে। এই ঘোষণা প্রেসিডেন্টের সেই প্রতিশ্রুতিকে বড় করে তুলেছে। ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ হিসেবে প্রথম কোনো মুসলিম হিসেবে তিনি মনোনয়ন দিচ্ছেন রাশেদ হুসেইনকে।
রাশেদ এর আগে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় নিরাপত্তা ডিভিশনে সিনিয়র কাউন্সেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনে তিনি ওআইসিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত, স্ট্র্যাটেজিক কাউন্টার টেরোরিজম কমিউনিকেশনে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত এবং হোয়াইট হাউজ কাউন্সিলের ডেপুটি এসোসিয়েট ছিলেন। দূত হিসেবে তিনি ওআইসি, জাতিসংঘ, বিদেশি সরকারসমূহ, নাগরিক সমাজের সংগঠনসহ বহুবিধ সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষা, উদ্যোগ, স্বাস্থ্য, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও অন্য বিষয়কে বিস্তৃত করার জন্য কাজ করেছেন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষায় তিনি কাজ করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশানে যোগ দেয়ার আগে তিনি হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটিতে কাজ করেন। সেখানে তিনি জুডিশিয়ারি আইন বিষয়ক ক্লার্ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ইয়েল ল স্কুল থেকে তিনি জুরিস ডক্টর ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানে ইয়েল ল জার্নালে তিনি সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সম্পন্ন করেছেন পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে আরবি এবং ইসলামিক স্টাডিজ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। জর্জটাউটন ল সেন্টার, জর্জটাউন স্কুল অব ফরেন সার্ভিসে তিনি এডজাঙ্কট প্রফেসর হিসেবে শিক্ষাদান করেছেন। উর্দু, আরবি এবং স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলতে পারেন তিনি।
অন্যদিকে খিজর খান হলেন ২০০৪ সালে ইরাক যুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন হুমায়ুন খানের পিতা। তাকে এবং তার স্ত্রী গজালা খানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বেশ তোলপাড় হয়। ২০১৬ সালে ডেমোক্রেট ন্যাশনাল কনভেনশনে দেয়া এক বক্তব্যের কারণে এই দম্পতি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ওই বক্তব্যে তারা তখনকার রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। ২০১৫ সালের আগে খিজর খান প্রকাশ্য রাজনীতিতে আসেননি। ১৯৮০র দশকে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের ভক্ত ছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তখনকার রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প মুসলিমদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আহ্বান জানান। এর ফলে তিনি রিপাবলিকান প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
রাশেদ এর আগে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় নিরাপত্তা ডিভিশনে সিনিয়র কাউন্সেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনে তিনি ওআইসিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত, স্ট্র্যাটেজিক কাউন্টার টেরোরিজম কমিউনিকেশনে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত এবং হোয়াইট হাউজ কাউন্সিলের ডেপুটি এসোসিয়েট ছিলেন। দূত হিসেবে তিনি ওআইসি, জাতিসংঘ, বিদেশি সরকারসমূহ, নাগরিক সমাজের সংগঠনসহ বহুবিধ সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষা, উদ্যোগ, স্বাস্থ্য, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও অন্য বিষয়কে বিস্তৃত করার জন্য কাজ করেছেন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষায় তিনি কাজ করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশানে যোগ দেয়ার আগে তিনি হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটিতে কাজ করেন। সেখানে তিনি জুডিশিয়ারি আইন বিষয়ক ক্লার্ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ইয়েল ল স্কুল থেকে তিনি জুরিস ডক্টর ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানে ইয়েল ল জার্নালে তিনি সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সম্পন্ন করেছেন পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে আরবি এবং ইসলামিক স্টাডিজ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। জর্জটাউটন ল সেন্টার, জর্জটাউন স্কুল অব ফরেন সার্ভিসে তিনি এডজাঙ্কট প্রফেসর হিসেবে শিক্ষাদান করেছেন। উর্দু, আরবি এবং স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলতে পারেন তিনি।
অন্যদিকে খিজর খান হলেন ২০০৪ সালে ইরাক যুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন হুমায়ুন খানের পিতা। তাকে এবং তার স্ত্রী গজালা খানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বেশ তোলপাড় হয়। ২০১৬ সালে ডেমোক্রেট ন্যাশনাল কনভেনশনে দেয়া এক বক্তব্যের কারণে এই দম্পতি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ওই বক্তব্যে তারা তখনকার রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। ২০১৫ সালের আগে খিজর খান প্রকাশ্য রাজনীতিতে আসেননি। ১৯৮০র দশকে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের ভক্ত ছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তখনকার রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প মুসলিমদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আহ্বান জানান। এর ফলে তিনি রিপাবলিকান প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।