বাংলারজমিন
চিলমারীতে জনস্রোত
চাকরি বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিরছে কর্মজীবী মানুষ
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
৩১ জুলাই ২০২১, শনিবার, ১:২৪ অপরাহ্ন
করোনা আতঙ্ক উপেক্ষা করে জনস্রোত নেমেছে চিলমারীর বিভিন্ন ঘাটে। নেই স্বাস্থ্যবিধি, মুখে নেই মাস্ক, পা ফেলানোর জায়গা নেই নৌ-যানগুলোতে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। হয়রানির শিকার যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে। দ্বিগুণ ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো হলেও অজ্ঞাত কারণে নীরব প্রশাসন।
জানা গেছে, চলমান লকডাউনে হঠাৎ শিল্পকারখানা খোলার নির্দেশের সাথে সাথে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গমনকারীরা যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। একদিকে করোনায় সংক্রমণ বাড়ছে, বাড়ছে মৃত্যুর হার অপরদিকে লকডাউন উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামের চিলমারীর রমনা, জোড়গাছ, ফকিরেরহাট ঘাটে নেমেছে জন স্রোত। অনায়াসে একটির পর একটি নৌকাসহ নৌ-যান গুলো ছেড়ে দিচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে। এমনকি বালু উত্তোলনকারী ড্রেজারও ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানুষ। একদিকে যাত্রী নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত, সাথে ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে যেতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে কর্মজীবীরা।
সরেজমিন রমনা ঘাটে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষের জনস্রোত নেমেছে। নৌকা এবং বালুর ড্রেজারে উঠতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। শুধু তাই নয় উঠতে গিয়ে অনেকে পড়ে যাচ্ছেন নদীতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানুষের চাপে ইতিমধ্যে দু’টি নৌকা ভেঙে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। কারখানা খুলে দেয়া হচ্ছে শুনেই ছুটে এসেছেন রমনাঘাটে সাজেদুল, মমিনুল, সাহেদ, কথা হলে তারা জানান, লকডাউন বাস চলাচল বন্ধ তাই নৌকা দিয়ে পার হয়ে রাজিবপুর হয়ে কর্মস্থল ঢাকা যাবেন। কারণ কারখানা খোলা হবে তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছেন। এসময় অনেকে জানান, যদি শিল্পকারখানা খুলে দেয়াও হবে তাহলে কেন বাস চলাচল স্বাভাবিক করা হচ্ছে না, কর্মজীবী মানুষকে কেন হয়রানি করা হচ্ছে। বালুর ড্রেজারে যাত্রী হয়ে রাজিবপুর যাচ্ছেন শহিদুল, আকবর তারা বলেন, এখানে নেয়া হয়েছে অতিরিক্ত যাত্রী এর উপর ভাড়া নেয়া হচ্ছে আগের তুলনায় দ্বিগুণ। ঘাটে টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব থাকা কয়েকজন জানান, আমাদের কি করার আছে মানুষ তো মানছে না। দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হলেও কোন রশিদ দেয়া হচ্ছে না বলে জানালেন যাত্রীরা। ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ঘাটে দায়িত্বরতরা। ঘাটে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও তাদের কোন ভূমিকা দেয়া যায়নি।
তবে একটি সূত্রে জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেনের নিকটতম আত্মীয় ঘাট নেয়ায় অনিয়ম হলেও কেউ কথা বলছেন না এবং প্রশাসন নীরব রয়েছেন। কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ে সুযোগ নেই, কেউ আদায় করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, ঘাটে টোল চার্ট না থাকায় ভাড়া নিয়ে জটিলতা দেখা দেয় এবং অতিরিক্ত যাত্রী যেন উঠানো না হয় সে বিষয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক।
জানা গেছে, চলমান লকডাউনে হঠাৎ শিল্পকারখানা খোলার নির্দেশের সাথে সাথে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গমনকারীরা যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। একদিকে করোনায় সংক্রমণ বাড়ছে, বাড়ছে মৃত্যুর হার অপরদিকে লকডাউন উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামের চিলমারীর রমনা, জোড়গাছ, ফকিরেরহাট ঘাটে নেমেছে জন স্রোত। অনায়াসে একটির পর একটি নৌকাসহ নৌ-যান গুলো ছেড়ে দিচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে। এমনকি বালু উত্তোলনকারী ড্রেজারও ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানুষ। একদিকে যাত্রী নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত, সাথে ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে যেতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে কর্মজীবীরা।
সরেজমিন রমনা ঘাটে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষের জনস্রোত নেমেছে। নৌকা এবং বালুর ড্রেজারে উঠতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। শুধু তাই নয় উঠতে গিয়ে অনেকে পড়ে যাচ্ছেন নদীতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানুষের চাপে ইতিমধ্যে দু’টি নৌকা ভেঙে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। কারখানা খুলে দেয়া হচ্ছে শুনেই ছুটে এসেছেন রমনাঘাটে সাজেদুল, মমিনুল, সাহেদ, কথা হলে তারা জানান, লকডাউন বাস চলাচল বন্ধ তাই নৌকা দিয়ে পার হয়ে রাজিবপুর হয়ে কর্মস্থল ঢাকা যাবেন। কারণ কারখানা খোলা হবে তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছেন। এসময় অনেকে জানান, যদি শিল্পকারখানা খুলে দেয়াও হবে তাহলে কেন বাস চলাচল স্বাভাবিক করা হচ্ছে না, কর্মজীবী মানুষকে কেন হয়রানি করা হচ্ছে। বালুর ড্রেজারে যাত্রী হয়ে রাজিবপুর যাচ্ছেন শহিদুল, আকবর তারা বলেন, এখানে নেয়া হয়েছে অতিরিক্ত যাত্রী এর উপর ভাড়া নেয়া হচ্ছে আগের তুলনায় দ্বিগুণ। ঘাটে টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব থাকা কয়েকজন জানান, আমাদের কি করার আছে মানুষ তো মানছে না। দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হলেও কোন রশিদ দেয়া হচ্ছে না বলে জানালেন যাত্রীরা। ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ঘাটে দায়িত্বরতরা। ঘাটে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও তাদের কোন ভূমিকা দেয়া যায়নি।
তবে একটি সূত্রে জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেনের নিকটতম আত্মীয় ঘাট নেয়ায় অনিয়ম হলেও কেউ কথা বলছেন না এবং প্রশাসন নীরব রয়েছেন। কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ে সুযোগ নেই, কেউ আদায় করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, ঘাটে টোল চার্ট না থাকায় ভাড়া নিয়ে জটিলতা দেখা দেয় এবং অতিরিক্ত যাত্রী যেন উঠানো না হয় সে বিষয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক।