অনলাইন
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে উপচেপড়া ভিড়
স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে
৩১ জুলাই ২০২১, শনিবার, ১২:৫২ অপরাহ্ন
পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণায় কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষজন। রাজধানী ঢাকায় ফিরতে একদিন আগেই শনিবার সকাল থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কর্মজীবী নারী-পুরুষের উপচেপড়া ভিড় পড়েছে পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে প্রতিটি ফেরিতে গাদাগাদি করে মানুষ আসছে পাটুরিয়া ঘাটে। সেখান থেকে বিভিন্ন পন্থায় তারা রাজধানীমুখী। এতে সরকারের স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষিত হচ্ছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে পাটুরিয়া ৩ নাম্বার পন্টুনে রো রো ফেরি ভাষা শহীদ বরকত নামের ফেরি যোগে তিনটি পণ্যবোঝাই ট্রাকসহ কয়েক শতাধিক যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে আসে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার কথা থাকলেও নেই কোন স্বাস্থ্য বিধির বালাই। কর্মস্থলে ফেরার জন্য যে যেভাবে পারছে সে অনুযায়ী যাওয়ার চেষ্টা করছে, এক শত টাকা ভাড়ার বিপরীতে অতিরিক্ত আরো গুণতে হচ্ছে হাজার টাকা। আর যাদের টাকা কম তারা পাঁয়ে হেটেই রওনা দিচ্ছে চাকুরী বাঁচাতে কর্মস্থলে। ভেঙ্গে ভেঙ্গে তারা যাচ্ছেন রাজধানীতে।
ফরিদপুর থেকে আসা যাত্রী মুনসের আলী বলেন, অনেক কষ্ট করে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছি, তার পর এক প্রকার যুদ্ধ করেই ফেরিতে উঠছি এবং এখন পাটুরিয়া ঘাটে এসে পৌঁছেছি। এ ঘাটে এসে আবার নতুন এক বিপদের মধ্যে পড়েছি কারণ এক শত টাকার ভাড়া হাজার টাকা নিচ্ছে। কিছুই করার নাই যেহেতু যেতেই হবে । নয়-তো চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
যশোরের হাসনা বেগম নামের এক গার্মেন্ট কর্মী বলেন, আমি যাবো সাভারের ইপিজেড এলাকায়, গত রাতে অফিসের অ্যাডমিন থেকে ফোন দিয়েছে অফিস করতে, সঠিক সময়ে অফিসে যেতে না পারলে চাকরি চলে যাবে এমন কথা বলায় এখন কষ্ট করেই গ্রামের বাড়ি থেকে রওনা হয়েছি। আমরা যে মানুষ এ বিষয়টি কারো ভিতরে নেই, তা না হলে এইভাবে হুট করে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে আপনেরাই বলেন তো।
পাটুরিয়া ঘাটে প্রাইভেট কারের চালক সুজন মিয়া বলেন, ঘাটে তেমন গাড়ি নাই সে জন্য এখন প্রচুর চাহিদা। আর এ কারণেই ভাড়াটা একটু বেশি নিচ্ছি, ভাড়া বেশি না নিলে তো লোকসান হয়ে যাবে তার কারণ রাস্তায় বিভিন্ন জায়গা মেনেজ করে আমাদের চলতে হয়। পাটুরিয়া থেকে গাবতলী কত টাকা ভাড়া নিচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি আরো বলেন, যেখানেই নামুক না কেন প্রতি যাত্রীর জন্য ভাড়া এক হাজার টাকা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কাযার্লয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন পারাপারের জন্য ৮টি ফেরি নিয়োজিত আছে। তবে আগামীকাল থেকে যেহেতু পোশাক কারখানা খোলা সে জন্য বেশ কিছু যাত্রীরা এক প্রকার জোর করেই ফেরিতে উঠছে এবং নৌপথ পার হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে পাটুরিয়া ৩ নাম্বার পন্টুনে রো রো ফেরি ভাষা শহীদ বরকত নামের ফেরি যোগে তিনটি পণ্যবোঝাই ট্রাকসহ কয়েক শতাধিক যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে আসে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার কথা থাকলেও নেই কোন স্বাস্থ্য বিধির বালাই। কর্মস্থলে ফেরার জন্য যে যেভাবে পারছে সে অনুযায়ী যাওয়ার চেষ্টা করছে, এক শত টাকা ভাড়ার বিপরীতে অতিরিক্ত আরো গুণতে হচ্ছে হাজার টাকা। আর যাদের টাকা কম তারা পাঁয়ে হেটেই রওনা দিচ্ছে চাকুরী বাঁচাতে কর্মস্থলে। ভেঙ্গে ভেঙ্গে তারা যাচ্ছেন রাজধানীতে।
ফরিদপুর থেকে আসা যাত্রী মুনসের আলী বলেন, অনেক কষ্ট করে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছি, তার পর এক প্রকার যুদ্ধ করেই ফেরিতে উঠছি এবং এখন পাটুরিয়া ঘাটে এসে পৌঁছেছি। এ ঘাটে এসে আবার নতুন এক বিপদের মধ্যে পড়েছি কারণ এক শত টাকার ভাড়া হাজার টাকা নিচ্ছে। কিছুই করার নাই যেহেতু যেতেই হবে । নয়-তো চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
যশোরের হাসনা বেগম নামের এক গার্মেন্ট কর্মী বলেন, আমি যাবো সাভারের ইপিজেড এলাকায়, গত রাতে অফিসের অ্যাডমিন থেকে ফোন দিয়েছে অফিস করতে, সঠিক সময়ে অফিসে যেতে না পারলে চাকরি চলে যাবে এমন কথা বলায় এখন কষ্ট করেই গ্রামের বাড়ি থেকে রওনা হয়েছি। আমরা যে মানুষ এ বিষয়টি কারো ভিতরে নেই, তা না হলে এইভাবে হুট করে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে আপনেরাই বলেন তো।
পাটুরিয়া ঘাটে প্রাইভেট কারের চালক সুজন মিয়া বলেন, ঘাটে তেমন গাড়ি নাই সে জন্য এখন প্রচুর চাহিদা। আর এ কারণেই ভাড়াটা একটু বেশি নিচ্ছি, ভাড়া বেশি না নিলে তো লোকসান হয়ে যাবে তার কারণ রাস্তায় বিভিন্ন জায়গা মেনেজ করে আমাদের চলতে হয়। পাটুরিয়া থেকে গাবতলী কত টাকা ভাড়া নিচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি আরো বলেন, যেখানেই নামুক না কেন প্রতি যাত্রীর জন্য ভাড়া এক হাজার টাকা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কাযার্লয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন পারাপারের জন্য ৮টি ফেরি নিয়োজিত আছে। তবে আগামীকাল থেকে যেহেতু পোশাক কারখানা খোলা সে জন্য বেশ কিছু যাত্রীরা এক প্রকার জোর করেই ফেরিতে উঠছে এবং নৌপথ পার হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।