শেষের পাতা

মুদ্রানীতি ‘সম্প্রসারণমূলক’ -ডিসিসিআই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

৩১ জুলাই ২০২১, শনিবার, ৭:৪৯ অপরাহ্ন

মুদ্রানীতিতে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ ১৪.৮০ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২০ থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত একই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ছিল। তবে করোনার বছরে গত জুন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে এর অর্ধেকের মতো ৮.৪ শতাংশ। সরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩২.৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক গত বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। এতে বেসরকারি খাতে ১৪.৮০ শতাংশ ঋণ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এই মুদ্রানীতিকে ‘সম্প্রসারণমূলক’ বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ব্যবসায়ীদের অন্যতম বড় সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) মনে করে কোভিড আক্রান্ত অর্থনীতির এ সময়ে ঘোষিত মুদ্রানীতিটি কমবেশি সম্প্রসারণমূলক, সংকুলানমুখী তবে গতানুগতিক। বৃহস্পতিবার মুদ্রানীতি সম্পর্কে সংগঠনটি এমন প্রতিক্রিয়া জানায়।
ডিসিসিআই বলছে, সামগ্রিক অর্থনীতিতে কোভিডের নেতিবাচক প্রভাব থেকে বের হয়ে আসার প্রতি এবারের মুদ্রানীতিটি নজর দিয়েছে। তবে কোভিডের কারণে আশানুরূপ বিনিয়োগ হচ্ছে না। সামগ্রিক অর্থনীতি ও বেসরকারি খাত ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত নাও হতে পারে।
সংগঠনটি বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত মুদ্রানীতিটি কিছুটা গতানুগতিক ও ধারাবাহিক। এ নীতিতে বেসরকারি খাতকে উজ্জীবিত করতে উদ্ভাবনী কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় না। তবে সুনিদিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যকার সমন্বয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ হতে তাদের কার্যক্রমের নজরদারি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মুদ্রানীতিতে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ ১৪.৮০ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২০ থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত একই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ছিল। তবে করোনার বছরে গত জুন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে এর অর্ধেকের মতো ৮.৪ শতাংশ। সরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩২.৬ শতাংশ।
ডিসিসিআই বলছে, গত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের পেছনে ব্যয় করার জন্য ১.২৮ ট্রিলিয়ন টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। আর এই অর্থ যোগান দিতে সরকার ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভরশীল হতে পারে আর তাতে করে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বিনিয়োগ না হওয়া, দুর্বল অর্থনীতি, কোভিডে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি, বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে ধস বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কম হওয়ার অন্যতম কারণ। প্রায় ৯০ শতাংশ সিএমএসএমই স্বল্প সক্ষমতায় পরিচালিত হচ্ছে এবং নতুন বিনিয়োগেও তেমন আগ্রহী নয়।
মুদ্রানীতিতে কিছু বিষয়ের উল্লেখ নেই বলে মনে করে ডিসিসিআই। সংগঠনটি বলছে, পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ বাড়াতে সঞ্চয়পত্র, পোস্টাল সেভিংস এবং পেনশনার সেভিংস সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রে সুদের হার যৌক্তিক করা উচিত। এক্ষেত্রে ব্যাংকিং ইনস্ট্রুমেন্ট যেমন এফডিআরের মতো ব্যাংক প্রদত্ত সুদের হারের সঙ্গে বা বন্ডের রিটার্নের সঙ্গে সংগতি রেখে কিছুটা কমানো যেতে পারে। তবে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।
ব্যবসায়ীদেরে এ সংগঠন বলছে, সিএমএসএমই খাতকে পুনর্জ্জীবিত করতে আর্থিক প্রণোদনাসহ অনেক ধরনের নীতি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু ঘোষিত মুদ্রানীতিতে প্রদত্ত সুবিধাদি কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তেমন দিক-নির্দেশনা বা রোডম্যাপ দেয়া হয়নি।
তবে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হারের বিষয়টি তেমন উদ্বেগজনক নয়। টাকার মানের এ হার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে মনে করে ডিসিসিআই।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status