বাংলারজমিন
রূপগঞ্জে ইমামের দেয়া ফতোয়া নিয়ে উত্তেজনা
স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ থেকে
৩১ জুলাই ২০২১, শনিবার, ৬:৩২ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি মসজিদের ইমামের ফতোয়া দেয়াকে কেন্দ্র করে সেখানকার বাসিন্দাদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইমামের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তারা। আশঙ্কা রয়েছে যেকোনো সময় সেখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের। উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের তালাশকুট জামে মসজিদে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, কায়েতপাড়ার তালাশকুট গ্রামে সমাজবাসীর জন্য একটি ঈদগাঁহ করার প্রয়োজন দেখা দেয়। পরে তারা কবরস্থানের নামে থাকা জমিতে ঈদগাঁহ করার জন্য সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় তালাশকুট গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার কয়েকজন বিষয়টি ইমাম আল আমিন বিন আহসানের সঙ্গে আলোচনা করার কথা বলেন। গত ঈদুল ফিতরের দিন বিষয়টি সমাজবাসী ইমামকে জানালে তিনি কবরস্থানের জমিতে ঈদগাঁহ হবে না বলে ফতোয়া দেন। এ নিয়ে সে সময় সেখানে বেশ বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পশ্চিমপাড়ার লোকজনের কথা অগ্রাহ্য করে পূর্বপাড়ার লোকজন মিলে কবরস্থানের জমিতে ঈদগাঁহ স্থাপন করেন। বিষয়টি ইমামের আত্মসম্মানে আঘাত করায় তিনি গত ১৬ই জুলাই জুমার নামাজের সময় মসজিদে চাকরি না করার ঘোষণা দেন। পরে গত ঈদুল আজহার নামাজ পরিয়ে তিনি চাকরি ছেড়ে চলে যান। কিন্ত পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দাদের অনুরোধে গতকাল ফের জুমার নামাজের চাকরিতে যোগ দিয়ে নামাজ পড়াতে আসেন। এতে মসজিদে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই মসজিদ ছেড়ে অন্যত্র নামাজ আদায় করেন। নামাজের পর তালাশকুট পূর্বপাড়া এবং পশ্চিমপাড়াবাসী ইমামের পক্ষে বিপক্ষে মুখোমুখি অবস্থান করছেন। সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো সময় সেখানে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে তালাশকুট পূর্বপাড়া এলাকার হাজী ইউছুফ আলী বলেন, সমাজবাসীর প্রয়োজনে একটি ঈদগাঁহ করতে চাইলে ইমাম পশ্চিমপাড়ার লোকজনের পরামর্শে ঈদগাঁহ না করার পক্ষে মত দেন। তারপরও সমাজের লোকজন ঈদগাঁহ করেছে। আমরা তো ইমামকে বিদায় করিনি। তিনি স্বেচ্ছায় নিজের মর্জিতে চলে গেছেন। তাহলে আবার কেন চাকুরিতে যোগ দেবেন। পশ্চিমপাড়া এলাকার হাজী মহিবুর রহমান জানান, ইমাম হচ্ছে একটি সমাজের ইসলামের পথপদর্শক। আমাদের ইমাম কোরআন সুন্নাহর আলোকে যেটা বলেছেন সেটা তারা ক্ষমতার জোরে অগ্রাহ্য করেছেন। হাদিসের বাইরে গিয়ে জোর করে ঈদগাঁহ স্থাপন করেছেন। কিন্ত তারপরও ইমাম বিদায় করতে তারা উঠেপড়ে লেগেছেন। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বলেন, তালাশকুট গ্রামবাসীদের উত্তেজনার খবর পেয়ে বিষয়টি মীমাসাংর জন্য জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি মিটমাট করার চেষ্টা করছেন।
এ ব্যাপারে তালাশকুট পূর্বপাড়া এলাকার হাজী ইউছুফ আলী বলেন, সমাজবাসীর প্রয়োজনে একটি ঈদগাঁহ করতে চাইলে ইমাম পশ্চিমপাড়ার লোকজনের পরামর্শে ঈদগাঁহ না করার পক্ষে মত দেন। তারপরও সমাজের লোকজন ঈদগাঁহ করেছে। আমরা তো ইমামকে বিদায় করিনি। তিনি স্বেচ্ছায় নিজের মর্জিতে চলে গেছেন। তাহলে আবার কেন চাকুরিতে যোগ দেবেন। পশ্চিমপাড়া এলাকার হাজী মহিবুর রহমান জানান, ইমাম হচ্ছে একটি সমাজের ইসলামের পথপদর্শক। আমাদের ইমাম কোরআন সুন্নাহর আলোকে যেটা বলেছেন সেটা তারা ক্ষমতার জোরে অগ্রাহ্য করেছেন। হাদিসের বাইরে গিয়ে জোর করে ঈদগাঁহ স্থাপন করেছেন। কিন্ত তারপরও ইমাম বিদায় করতে তারা উঠেপড়ে লেগেছেন। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বলেন, তালাশকুট গ্রামবাসীদের উত্তেজনার খবর পেয়ে বিষয়টি মীমাসাংর জন্য জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি মিটমাট করার চেষ্টা করছেন।