বিশ্বজমিন
বিবিসির প্রতিবেদন
তালেবান-চীন যোগাযোগের পেছনে যা রয়েছে
মানবজমিন ডেস্ক
৩০ জুলাই ২০২১, শুক্রবার, ৫:৩৬ অপরাহ্ন
আফগান তালেবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধান মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার বুধবার চীন সফরে যান। চীনের উত্তরাঞ্চলীয় তিয়ানজিং শহরে তার সঙ্গে বৈঠক করেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। পাকিস্তানের মাধ্যমে আগে থেকেই তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল চীনের। তবে এবারই প্রথম তালেবানের প্রথম সাড়ির কোনো নেতা চীন সফরে গিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই তালেবান চীনের সীমান্তবর্তী বাদাকশানের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জেলা দখল করেছে। এমন অবস্থায় নিজেদের সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পরেছে চীন। ওই আলোচনা শেষে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে অস্থিতিশীলতার প্রভাব প্রতিবেশী চীনে গিয়ে পড়বে। তাই আফগানিস্তানে নতুন করে কোনো গৃহযুদ্ধ যাতে শুরু না হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে পাঁচ-দফা একটি কর্মপরিকল্পনা ওই বৈঠক থেকে ঘোষণা হয়। মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করার পর এখন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে প্রতিবেশি সকল দেশই। তবে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে চীন।
অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানকে তাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পে যুক্ত করার মোক্ষম সুযোগ পেয়েছে চীন। সেই সঙ্গে আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদের ওপর চীনের লোভ রয়েছে বলে অনেক পশ্চিমা বিশ্লেষক মনে করেন। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা র্যান্ড কর্পোরেশনের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ডেরেক গ্রসম্যান এ মাসের গোঁড়ার দিকে তার এক বিশ্লেষণে লিখেছেন, চীন নীরবে আফগানিস্তানে তাদের স্বার্থ রক্ষায় তৎপরতা শুরু করেছে।
কুয়ালালামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব চায়নার অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাহমুদ আলী মনে করেন, আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক এবং ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল নয়, চীনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দেশটির স্থিতিশীলতা। আফগানিস্তান এখন আর চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের জন্য অতি আবশ্যক নয়। মধ্য এশিয়ায় ঢোকার জন্য বা তাদের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য আফগানিস্তানকে চীনের খুব বেশি প্রয়োজন নেই। পাকিস্তান এবং ইরানের সাথে চুক্তি করে সেই লক্ষ্য তারা হাসিল করছে। কিন্তু তালেবান আরও শক্তিশালী হলে যে অরাজকতা সৃষ্টি হবে তা পাকিস্তানে এবং ইরানে চীনের শত শত কোটি ডলারের প্রকল্পকে হুমকিতে ফেলবে।
চীনের অবশ্য নিজের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তা শুরু হয়েছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের ৯০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার ঠিক ওপাশেই রয়েছে উইগুর মুসলিম অধ্যুষিত চীনা প্রদেশ শিনজিয়াং। উইগুর বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ইস্ট তুর্কেস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (এটিম) অনেক বছর ধরে এই সীমান্ত এলাকায় তৎপর। সীমান্ত পেরিয়ে তারা আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আশ্রয়-প্রশ্রয় পায়। চীন বিশ্বাস করে পাকিস্তানে বিভিন্ন সময়ে চীনা নাগরিক এবং চীনা প্রকল্পে হামলার পেছনে এটিমের হাত রয়েছে। চীন তালেবানকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, উইগুর এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিজেদের এলাকায় আশ্রয় দিতে পারবেনা তালেবান। তালেবানও পাল্টা আশ্বাস দিয়েছে যে তাদের এলাকায় চীন বিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড হতে দেবে না তারা।
অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানকে তাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পে যুক্ত করার মোক্ষম সুযোগ পেয়েছে চীন। সেই সঙ্গে আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদের ওপর চীনের লোভ রয়েছে বলে অনেক পশ্চিমা বিশ্লেষক মনে করেন। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা র্যান্ড কর্পোরেশনের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ডেরেক গ্রসম্যান এ মাসের গোঁড়ার দিকে তার এক বিশ্লেষণে লিখেছেন, চীন নীরবে আফগানিস্তানে তাদের স্বার্থ রক্ষায় তৎপরতা শুরু করেছে।
কুয়ালালামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব চায়নার অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাহমুদ আলী মনে করেন, আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক এবং ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল নয়, চীনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দেশটির স্থিতিশীলতা। আফগানিস্তান এখন আর চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের জন্য অতি আবশ্যক নয়। মধ্য এশিয়ায় ঢোকার জন্য বা তাদের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য আফগানিস্তানকে চীনের খুব বেশি প্রয়োজন নেই। পাকিস্তান এবং ইরানের সাথে চুক্তি করে সেই লক্ষ্য তারা হাসিল করছে। কিন্তু তালেবান আরও শক্তিশালী হলে যে অরাজকতা সৃষ্টি হবে তা পাকিস্তানে এবং ইরানে চীনের শত শত কোটি ডলারের প্রকল্পকে হুমকিতে ফেলবে।
চীনের অবশ্য নিজের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তা শুরু হয়েছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের ৯০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার ঠিক ওপাশেই রয়েছে উইগুর মুসলিম অধ্যুষিত চীনা প্রদেশ শিনজিয়াং। উইগুর বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ইস্ট তুর্কেস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (এটিম) অনেক বছর ধরে এই সীমান্ত এলাকায় তৎপর। সীমান্ত পেরিয়ে তারা আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আশ্রয়-প্রশ্রয় পায়। চীন বিশ্বাস করে পাকিস্তানে বিভিন্ন সময়ে চীনা নাগরিক এবং চীনা প্রকল্পে হামলার পেছনে এটিমের হাত রয়েছে। চীন তালেবানকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, উইগুর এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিজেদের এলাকায় আশ্রয় দিতে পারবেনা তালেবান। তালেবানও পাল্টা আশ্বাস দিয়েছে যে তাদের এলাকায় চীন বিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড হতে দেবে না তারা।