বাংলারজমিন
অবশেষে মামলা করলেন সেই নরসুন্দর
বরগুনা প্রতিনিধি
২৯ জুলাই ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:০৯ অপরাহ্ন
বরগুনার বামনা উপজেলার ৩নং বামনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম জমাদ্দারের হামলার শিকার সেই নরসুন্দর অসীম চন্দ্র শীল (৩০) অবশেষে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার ১০ দিন পর পুলিশ সুপারের সহায়তায় গত মঙ্গলবার গভীর রাতে মামলা করেন তিনি। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি বামনা ইউনিয়নের গোলাঘাটা গ্রামের বিমল চন্দ্র শীলের ছেলে।
এর আগে গত ২৬শে জুলাই বরগুনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন হামলার শিকার অসীম চন্দ্র শীল। তিনি বলেন, সদ্য সমাপ্ত হওয়া ইউপি নির্বাচনে আমি ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খালেক জোমাদ্দারের কর্মী ছিলাম। নির্বাচনে আমার প্রার্থী পরাজিত হওয়ার পর সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার আমাকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেন। ঘটনার দিন গত ১৭ই নভেম্বর চেয়ারম্যানের এক কর্মী আমাদের এক ছোট ভাইকে মারধর করে। আমরা বিষয়টি তাকে জানাতে বামনা বৈকালীন বাজারে যাই। আমরা তার কাছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে হামলা চালায় চেয়ারম্যান অনুসারী ফরিদ, বাপ্পি, ফোরকান, ইমরান ও রাজু জোমাদ্দার। হামলায় আমার মাথা ফেটে যায়। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা প্রতিবেশী জহিরুল ইসলাম উজ্জল, ফকরুল ইসলাম কমল আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তারাও গুরুতর আহত হন। আমাকে স্থানীয়রা বাজারের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করান। সেখানের চিকিৎসকরা আমার মাথায় সেলাই দিয়ে ব্যান্ডেজ করার সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার এসে আমাকে হাসপাতালের বেড থেকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে আসেন। সেখানে থাকা তার গ্যাং বাহিনী আমাকে পাইপ দিয়ে পেটাতে থাকে। পরে উত্তেজিত চেয়ারম্যানের বাহিনী আমার বাবার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও ভাঙচুর শুরু করে। তখন বামনা থানার ওসি মো. বশিরুল আলম লাঠিচার্জ শুরু করলে তারা পলিয়ে যায়।
বামনা থানার ওসি মো. বশিরুল আলম বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে অসীম চন্দ্র শীল বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হামলায় আহতদের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্যাতিতদের পক্ষে এজাহার নিয়ে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৬শে জুলাই বরগুনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন হামলার শিকার অসীম চন্দ্র শীল। তিনি বলেন, সদ্য সমাপ্ত হওয়া ইউপি নির্বাচনে আমি ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খালেক জোমাদ্দারের কর্মী ছিলাম। নির্বাচনে আমার প্রার্থী পরাজিত হওয়ার পর সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার আমাকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেন। ঘটনার দিন গত ১৭ই নভেম্বর চেয়ারম্যানের এক কর্মী আমাদের এক ছোট ভাইকে মারধর করে। আমরা বিষয়টি তাকে জানাতে বামনা বৈকালীন বাজারে যাই। আমরা তার কাছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে হামলা চালায় চেয়ারম্যান অনুসারী ফরিদ, বাপ্পি, ফোরকান, ইমরান ও রাজু জোমাদ্দার। হামলায় আমার মাথা ফেটে যায়। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা প্রতিবেশী জহিরুল ইসলাম উজ্জল, ফকরুল ইসলাম কমল আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তারাও গুরুতর আহত হন। আমাকে স্থানীয়রা বাজারের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করান। সেখানের চিকিৎসকরা আমার মাথায় সেলাই দিয়ে ব্যান্ডেজ করার সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার এসে আমাকে হাসপাতালের বেড থেকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে আসেন। সেখানে থাকা তার গ্যাং বাহিনী আমাকে পাইপ দিয়ে পেটাতে থাকে। পরে উত্তেজিত চেয়ারম্যানের বাহিনী আমার বাবার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও ভাঙচুর শুরু করে। তখন বামনা থানার ওসি মো. বশিরুল আলম লাঠিচার্জ শুরু করলে তারা পলিয়ে যায়।
বামনা থানার ওসি মো. বশিরুল আলম বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে অসীম চন্দ্র শীল বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হামলায় আহতদের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্যাতিতদের পক্ষে এজাহার নিয়ে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।