বাংলারজমিন

লকডাউনে চা ও রাবার শ্রমিকদের ছুটির দাবি ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের

স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে

২৯ জুলাই ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৪ অপরাহ্ন

করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের কারণে ১৪ দিনের চলমান সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত ও রপ্তানিমুখী গার্মেন্টসসহ সকল শিল্প কলকারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিনু্ত চা-শিল্পকে লকডাউনের আওতামুক্ত করে প্রায় ৫ লাখ চা জনগোষ্ঠীর জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটি। গতকাল বিকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত সংগঠনটির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস এক বিবৃতিতে অবিলম্বে মজুরি-রেশনসহ চা ও রাবার-শ্রমিকদের ছুটি প্রদানের দাবি জানান। তিনি বলেন- করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সারা দেশের গ্রাম-গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে এবং পরীক্ষা বিবেচনায় প্রতি ৩ জনে ১ জন করোনাভাইরাসে শনাক্ত হচ্ছে। সে রকম সময়ে দেশের ১৬৭ টি চা-বাগানের প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার চা ও রাবার শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। সরকার ঘোষিত লকডাউনের প্রথমদিনেই চানপুর চা-বাগানের ২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের বাড়ি লকডাউন করে দেন। এছাড়াও এ পর্যন্ত চণ্ডীছড়া, সুনছড়া, সাতগাঁও, মৃর্ত্তিঙ্গা, কালীঘাট, সাগরনালসহ বিভিন্ন চা-বাগানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। মালিকরা শ্রমিকদেরকে আর পাঁচটা উৎপাদন উপকরণের মতোই মনে করেন, তাই যেখানে একটি মৃত্যুও কাম্য নয় সেখানে চা-বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা-সংসদের পক্ষ থেকে চা-বাগানে করোনা সংক্রমণের হার খুবই কম এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চা-শ্রমিকরা কাজ করেন জানিয়ে লকডাউনের সময় চা-বাগান চালু রাখার আবেদন করেন।
মালিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে চা- বোর্ড ‘চা উৎপাদন’কে খাদ্য দ্রব্যের অন্তর্ভূক্ত আখ্যায়িত করে লকডাউনের আওতামুক্ত ঘোষণা দিয়ে চা-শিল্প চালু রাখার নির্দেশনা জারি করেন। চা বোর্ডের নিদেশনার সুযোগ নিয়ে চা-বাগান মালিকরা চায়ের পাশাপাশি বারার উৎপাদনও অব্যাহত রেখেছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে ‘চা উৎপাদন’কে খাদ্য দ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন চা ও রাবার জীবনরক্ষাকারী এমন কোনো জরুরি পণ্য নয় যে, এই দুর্যোগের মুহূর্তেও উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে।
মালিকপক্ষ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের কথা বললেও চা-বাগানে কার্যত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বালাই নেই বললেই চলে। কোনো কোনো বাগানে নামকাওয়াস্তে মাসে, দুই মাসে একবার একটি সাবান ও মাস্ক দিয়ে তাদের দায় সেরেছেন। এ ব্যাপারে সরকারের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরেরও কোনো ধরনের নজরদারি নেই।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status